X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে, বেড়েছে ফিচার ফোন

হিটলার এ. হালিম
২৩ মার্চ ২০১৮, ০৮:০৪আপডেট : ২৩ মার্চ ২০১৮, ০৮:০৭

ফিচার ফোন দেশে থ্রিজি চালু আছে কয়েক বছর ধরে। ফোরজি সবে চালু হয়েছে। তারপরও গত দুই বছরে স্মার্টফোন ব্যবহারের হার একেবারে বাড়েনি বললেই চলে। ২০১৭ সালে দেশে স্মার্টফোনের আমদানির পরিমাণ ছিল ৮০ লাখ, ২০১৬ সালেও একই পরিমাণ স্মার্টফোন আমদানি করা হয়েছে। মোবাইলফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বিএমপিআইএ-এর হিসাব অনুযায়ী, স্মার্টফোনের প্রবৃদ্ধির পরিমাণ মাত্র এক শতাংশ। কিন্তু ফিচার বা বার ফোনের প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশ।

বিএমপিআইএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালে দেশে স্মার্টফোনের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৭ শতাংশ যা ২০১৭ সালে ১ শতাংশে নেমে এসেছে।

বিএমপিআইএ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে দেশে ফিচার ফোন আমদানির পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৬০ লাখ। ২০১৬ সালে এই পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৩০ লাখ। স্মার্টফোনের প্রবৃদ্ধি এক শতাংশ ও ফিচার ফোনের প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশ। তবে সব দেশের মোবাইলফোন মিলিয়ে এ বাজারের প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছরের শুরু থেকে স্মার্টফোনের চাহিদা বেড়েছে। গতে মাসে ফোরজি চালুর পরে স্মার্টফোনের চাহিদা ঊর্ধমুখী। চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রবৃদ্ধির তালিকায় ফিচার ফোনকে ছাড়িয়ে যাবে স্মার্টফোন- এমনটাই আশা সংশ্লিষ্টদের। 

স্মার্টফোন জানা গেছে, গত বছর দেশে ৯ হাজার কোটি টাকার ৩ কোটি ৪৪ লাখ মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি করা হয়। এতে আর্থিক মূল্যের হিসেবে স্মার্টফোন বিক্রিতে শীর্ষে ছিল স্যামসাং। প্রতিবেদন বলছে, ২০১৬ সালের চেয়ে ২০১৭ সালে ৩০ লাখেরও বেশি মোবাইল ফোন সেট আমদানি করা হয়েছে। ফিচার ও স্মার্টফোন মিলিয়ে সিম্ফনির স্থান ওপরে থাকলেও স্মার্টফোন বিক্রিতে বাজারমূল্যে সর্বোচ্চ মার্কেট শেয়ার নিয়ে এগিয়ে ছিল স্যামসাং।

জানা যায়- ২০১৭ সালে টাকার হিসেবে স্মার্টফোন বিক্রিতে স্যামসাংয়ের শেয়ার ছিল ২৬ শতাংশ; সিম্ফনির ২১, হুয়াওয়ের ১৩, অপোর ১০, ওয়ালটনের ৬, লাভার ৫, শাওমির ৪, আইটেল ও নকিয়ার ৩ এবং অন্যান্য ব্র্যান্ডের শেয়ার ছিল ৯ শতাংশ।

মোবাইলফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বিএমপিআইএ-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক জানান, গত বছর বেশ কিছু কারণে স্মার্টফোন বিক্রি আগের বছরের সমান হয়েছে। গত বছর ৮০ লাখ স্মার্টফোন বিক্রি হলেও তা আগের বছরের চেয়ে বেশি নয়। এর পেছনে মোবাইলফোন আমদানিতে বাড়তি কর আরোপ একটি বড় বিষয় বলে তিনি মনে করেন। এ কারণে কম দামের স্মার্টফোনের গ্রোথ (প্রবৃদ্ধি) হয়নি। এছাড়া অবৈধ পথে (গ্রে মার্কেট) দেশে স্মার্টফোনের প্রবেশ বেড়েছে, যা বৈধ আমদানির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ‘অরিজিনাল’ হিসাবে তা যুক্ত হয়নি। তবে এ বছর স্মার্টফোনের বিক্রি অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে বলে আশা করছি।

মোবাইলফোন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন- স্মার্টফোনের প্রবৃদ্ধি বেশি না হওয়ার পেছনে রয়েছে এর দাম, বাড়তি কর ইত্যাদি। আগামী বাজেটে মোবাইলের ওপর থেকে যদি বাড়তি কর প্রত্যাহার করা হয় তাহলে স্মার্টফোনের দাম কমবে, বাজারও বাড়বে।

এ ব্যাপারে শাওমি মোবাইলের পরিবেশক এসইবিএল-এর প্রধান নির্বাহী দেওয়ান কানন জানান, প্রতিবেদন অনুসারে শাওমির অবস্থান মোটামুটি ঠিকই আছে। ২০১৮ সালে এই অবস্থান পরিবর্তন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে এক বছরের পরিসংখ্যান দেওয়া হলেও প্রকৃত অর্থে আমরা ব্যবসা করেছি ২০১৭ সালের শেষ ৫ মাস। এ বছর ফোরজি চালু হয়েছে। বাজারে স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়ছে। আশা করছি এবার প্রবৃদ্ধি ভালো হবে।’

 

/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া
টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া
গাজায় ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দিলো ইসরায়েল
গাজায় ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দিলো ইসরায়েল
সবজির কেজি এখনও ৬০ টাকার বেশি, ২০০ ছাড়িয়েছে ব্রয়লার
সবজির কেজি এখনও ৬০ টাকার বেশি, ২০০ ছাড়িয়েছে ব্রয়লার
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ