পূর্ব-ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে (৩১ মে মধ্যরাতের পর থেকে) মোবাইল ফোনের অনিবন্ধিত সিম বন্ধ হয়ে গেলেও গ্রাহক চাইলে তার সিমটি নতুন করে কিনে নিয়ে নিবন্ধন করে চালু করতে পারবেন। বন্ধ হওয়ার পর দুই মাস সিম নিবন্ধন করা যাবে না— এমন নিয়ম শিথিল করে এ ঘোষণা দিয়েছে টেলিযোগোযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
জানতে চাইলে বিটিআরসির সচিব সরওয়ার আলম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সোমবার পর্যন্ত সারাদেশে ১০ কোটি ৪৮ লাখ ৬৫ হাজার সিম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়। আজ (মঙ্গলবার) শেষ দিনে আরও কিছু সিম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রাহকদের স্বার্থের কারণেই নিয়ম শিথিল করে ১ জুন থেকেই বন্ধ সিম নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এজন্য সিম ব্যবহারকারীকে ১৫০-২০০ টাকা খরচ করে তার সিম (মোবাইল নম্বরটিই) কিনতে হবে। যদিও এই সুযোগ দুই মাস পরে তথা আগস্ট থেকে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু কমিশন গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় ভোগান্তি কমাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কমিশনের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনও সিম ১৮ মাস (৫৪০ দিন) বন্ধ থাকলে সেই সিমের মালিকানা হারাবেন গ্রাহক। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে ১৫ মাস (৪৫০ দিন) সময় পার হওয়ার পর মোবাইল ফোন অপারেটররা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বন্ধ সিমটি পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে চালু করার জন্য গ্রাহককে অনুরোধ করবে। এরপরও সিম নিবন্ধন করা না হলে ১৮ মাস পরে ওই সিমটির মালিকানা ব্যবহারকারীর থাকবে না। মোবাইল ফোন অপারটরগুলো ওই সিম নতুন করে বাজারে ছাড়তে পারবে।
এদিকে মঙ্গলবার সারাদিন রাজধানীর মিরপুর, আগারগাঁও ও ফার্মগেট এলাকা ঘুরে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর কাস্টমার কেয়ার সেন্টারগুলোতে সিম নিবন্ধন করতে আসা গ্রাহকদের ভিড় দেখা গেছে। তবে কোথাও থেকে সার্ভার ডাউন থাকার খবর পাওয়া যায়নি। রিটেইল পয়েন্টগুলোতেও ভিড় দেখা গেছে। কাস্টমার কেয়ার বা রিটেইল পয়েন্টগুলোর আশেপাশের স্টুডিও এবং ফটোকপির দোকানগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
জানতে চাইলে গ্রামীণফোনের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেইন জানান, গ্রামীণফোনের নিবন্ধিত সিম সংখ্যা ৪ কোটি ৫০-৬০ লাখ হতে পারে। তিনি জানান, গত শনিবার পর্যন্ত ৪ কোটি ৪০ লাখ সিম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।
রবি সূত্রে জানা গেছে, তাদের দুই কোটি ১৬ লাখের মতো সিম নিবন্ধিত হয়েছে।
অনিবন্ধিত সিমের মধ্যে ইন্টারনেট মডেম, ট্যাব এবং মোবাইল সিম চালিত ডিভাইসগুলো থাকতে পারে বলে মনে করছেন মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা মনে করেন, মোবাইল ফোনে এসএমএস এবং ভয়েস সেবার মাধ্যমে জানানো গেলেও ওই মাধ্যমগুলোতে জানানো সম্ভব হয়নি। ফলে বিরাট একটা সংখ্যার সিম নিবন্ধনের বাইরে থাকতে পারে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা সাড়ে ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: মামলায় আসক্ত মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর!
ফেসবুকে লাইক দিয়ে বরখাস্ত হলেন শিক্ষক
/এইচএএইচ/এজে