X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাসদ বিতর্ক: অসময়ে, তবে অসত্য নয়

প্রভাষ আমিন
২১ জুন ২০১৬, ১২:৫৩আপডেট : ২১ জুন ২০১৬, ১২:৫৫

প্রভাষ আমিন দেশ এখন এক দারুণ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। জঙ্গিরা তালিকা করে করে ভিন্নমতাবলম্বী, ভিন্ন ধর্মাবলম্বী, এমনকি নারীদেরও কুপিয়ে হত্যা করছে। এই সময়ে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে যখন শুভ শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের প্রয়োজন, তখন হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুলের ‘জাসদ বোমা’টি ফাটানো ঠিক হয়েছে কিনা; এ নিয়ে তর্ক হতেই পারে, হচ্ছেও। কারণ ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম প্রধান শক্তি জাসদ। একটি নয়, দুটি জাসদ ১৪ দলীয় জোটের শক্তি বাড়াচ্ছে। জাসদ একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু সরকারের তথ্যমন্ত্রী এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব, এমনকি আওয়ামী লীগের যে কোনও নেতা বা মন্ত্রীর চেয়েও বেশি সরব। ১৩ জুন ছিল সোমবার। সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিশ্চয়ই ছিলেন সৈয়দ আশরাফ এবং হাসানুল হক ইনু দুজনই। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর দুপুরে হাসানুল হক ইনু গুপ্তহত্যা বন্ধে সরকারের ওপর আস্থা রাখতে বললেন। আর বিকেলে সৈয়দ আশরাফ বললেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল জাসদ। তার অভিযোগ, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল জাসদ। সরকারে থাকা দুই মন্ত্রীর এমন অবস্থানে আমরা আমজনতা বিভ্রান্ত হয়ে যাই। অনেকেই বলছেন, সৈয়দ আশরাফের বক্তব্য ১৪ দলীয় জোটের ঐক্য নষ্ট করবে। পরদিন জাসদ নেতা অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন প্রধানমন্ত্রীকে তার মন্ত্রীকে থামানোর আহবান জানান। তার পরদিন হাসানুল হক ইনু বলেন, ইতিহাস চর্চার সময় নয় এখন। মূল আলোচনাটা আসলে এখানে, এখন কেন? টাইমিং নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কিন্তু সৈয়দ আশরাফ যা বলেছেন, তা কি খুব ভুল বলেছেন?
এমনিতে সৈয়দ আশরাফ খুব মৃদুভাষী। আলতু-ফালতু কথা বলেন না। ক্যামেরা দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়েন না। বরং নিজেকে আড়াল করে রাখতেই পছন্দ করেন। তাই সেই সৈয়দ আশরাফ যখন কিছু বলেন, তখন সেটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হয়। এই কথাটা কামরুল ইসলাম বললে, আমি ‘পাত্তা’ই দিতাম না। সৈয়দ আশরাফ হঠকারিতার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জাসদের উদাহরণ টেনেছেন। এটা অস্বীকার করার জো নেই, বাংলাদেশে হঠকারী রাজনীতির প্রসঙ্গ আসলে জাসদের নাম আসতেই হবে। ৭২ থেকে ৭৫, বিশেষ ৭৪-৭৫ সালে জাসদ রাজনীতির নামে যা করেছে; তার তুল্য কিছু নেই। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর ভাষায় বিএনপির ‘আগুন সন্ত্রাস’ও তার কাছে নস্যি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও, ভারতীয় হাইকমিশনারকে অপহরণের চেষ্টা, এমপি খুন, থানা লুট, পাটের গুদামে আগুন- জাসদ যা করেছে; বাংলাদেশে আর কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে ততটা সহিংস হওয়া সম্ভব নয়। এখন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, হঠকারিতার বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি সরব তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আমার ধারণা, তিনি কাছ থেকে হঠকারিতার ভয়াবহতা দেখেছেন, তাই এর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার।

অনেকে বলেন, জাসদের জন্মটা অনিবার্য ছিল। কিন্তু নয়মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বিজয়ের একবছরেরও কম সময়ের মধ্যে জাসদের মতো একটি উগ্র-হঠকারী দলের জন্ম আদৌ অনিবার্য ছিল কিনা, তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সংশয় আছে। এটা ঠিক, স্বাধীনতা আমাদের মধ্যে বিপুল প্রত্যাশারও জন্ম দিয়েছিল। সবাই ভেবেছিল পাকিস্তানিদের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটলে সবার জীবন বদলে যাবে। কিন্তু এই ভাবনাটাই ছিল অবাস্তব। কারণ পাকিস্তানিদের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটলেও সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে থাকা বৈষম্য তো আর চাইলেই রাতারাতি দূর করে ফেলা যায় না। তাই যুদ্ধের পর এক শ্রেণির মানুষের জীবন রাতারাতি বদলে গেলেও সাধারণ মানুষের ভাগ্য যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই রয়ে যায়। তাই প্রবল প্রত্যাশার বিপরীতে তীব্র হতাশা সৃষ্টি হয়। রাজনৈতিক শূন্যতা নয়, মানুষের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির আকাশ-পাতাল ফারাকের সুযোগটাই নিয়েছিল জাসদ। অবাস্তব প্রত্যাশার বিপরীতে অলিক স্বপ্ন দেখিয়ে মাঠে আসে জাসদ। তাই দ্রুত এক ধরনের ফাপা জনপ্রিয়তাও পেয়ে যায়। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশে অর্থনীতি-অবকাঠামো পুনর্গঠনে দরকার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা, তখন জাসদের মতো একটি হঠকারী দলের আবির্ভাব দেশের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। আজ যখন জাসদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই, পাল্টা হই চই শুরু হয়ে যায়, এখন ঐক্যের সময়, এখন এসব নিয়ে কথা না বলাই ভালো। কিন্তু তাদের কাছে বিনয়ের সঙ্গে একটা প্রশ্ন করতে চাই, ৭২ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা কি এখনকার চেয়ে কম ছিল? সত্য কথা বললেই যে ঐক্য টুটে যায়, তা কিভাবে আরও টেকসই করা যায় তা নিয়ে ভাবা উচিত। নইলে বারবার এ রকম বিপদে পড়বে অতি প্রয়োজনীয় এই ঐক্য।

সৈয়দ আশরাফ অভিযোগ করেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল জাসদ। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, খুনিদের সাজাও হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়ার কোনও পর্যায়েই জাসদের নাম আসেনি। তাই এ অভিযোগকে নিছক রাজনৈতিক বলে উড়িয়ে দেওয়া যায়। তবে আদালতের মতো করে বিবেচনা না করে রাজনৈতিকভাবে বিবেচনা করলে; সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যাবে। জাসদ নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদল সম্প্রতি বলেছেন, ‘আমরা (জাসদ) মুজিবের রক্তাক্ত বিরোধিতা করেছিলাম এবং তার পতনও চেয়েছিলাম।’ সত্যি বলেছেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ১৯৭৮ সালে হওয়ার কথা ছিল দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীনদের পতনের জন্য নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা। কিন্তু ক্ষমতায় যেতে তর সইছিল না জাসদের। তারা জাসদের পাশাপাশি সশস্ত্র গণবাহিনী ও বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা গঠন করেছিল। একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীনদের পতন চাইতেই পারে, তাদের বিরোধিতাও করতে পারে। কিন্তু জাসদের সব চেষ্টা ছিল অরাজনৈতিক, অগণতান্ত্রিক, হঠকারী। ফারুক-রশিদরা যা করেছে, সুযোগ পেলে জাসদ তা করতো না, এমন কোনও গ্যারান্টি কে দিতে পারবেন। ১৫ আগস্ট সকালে দু’জন রাজনীতিবিদ স্বেচ্ছায় বাংলাদেশ বেতারের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। তারা হলেন কর্নেল তাহের এবং হাসানুল হক ইনু। তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন না, এটা ঠিক। কিন্তু সুবিধা নেওয়ার চেষ্টায় পিছপা হননি। জাসদের আরেক বিভ্রান্তির নাম কর্নেল তাহের। বীর মুক্তিযোদ্ধা এই স্বাপ্নিক সৈনিকে এখনও বুঁদ হয়ে আছেন অনেকেই। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও তার ‘নিঃশঙ্ক চিত্তের চেয়ে বড় কোনও সম্পদ নেই’ স্লোগান আরও অনেকের মতো আপ্লুত করে আমাকেও। সমাজ পরিবর্তনে কর্নেল তাহেরের লক্ষ্যের মহত্ত্ব নিয়ে আমার কোনও সংশয় নেই। কিন্তু তথাকথিত বিপ্লবের প্রক্রিয়া নিয়ে ঘোরতর প্রশ্ন আছে। ৭৫’এর ৭ নভেম্বর যা হয়েছে, তা বিপ্লব নয়, নিছক হঠকারিতা, সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টা। ৭ নভেম্বরই আসলে কবর হয়ে গেছে জাসদের বিভ্রান্তির, হঠকারিতার। সেখানেই দলটি বিলুপ্ত হয়ে গেলে নস্টালজিয়া হয়ে মানুষের স্মৃতিতে টিকে থাকতে পারতো জাসদ। জিয়াউর রজমানের কাঁধে ভর দিয়ে বিপ্লব করতে গিয়ে ধসে যায় জাসদ। ফাঁসির দড়িতে ঝুলে তার খেসারত দিতে হয়েছে কর্নেল তাহেরকে। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের আফিম খাইয়ে জাসদ লাখো মেধাবী তরুণকে আকৃষ্ট করেছিল। জাসদ নেতারা সেই তরুণদের বিপ্লবের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর সেই তরুণদের দেখলে কষ্টে আমার বুক ভেঙে যায়। জাসদ নেতাদের প্রতি ক্ষোভ হয়। অন্য কোনও অপরাধে না হোক, একটি মেধাবী প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেওয়ার দায় তাদেরকে নিতেই হবে। ৭ নভেম্বর কর্নেল তাহের যে বিপ্লব করতে চেয়েছিলেন, তা কি সিরাজুল আলম খানের লাখো তরুণকে স্বপ্ন দেখানো সেই বিপ্লব? কর্নেল তাহেরের বিপ্লব সফল হলেই কি বাংলাদেশে ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র’ কায়েম হয়ে যেতো? মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ বদলে ফেলার উত্তেজনায় টগবগ করছিলেন লাখো তরুণ। সেই সুযোগটাই নিয়েছেন রাজনীতির রহস্যপুরুষ সিরাজুল আলম খান। বড় বড় আদর্শ আর স্বপ্নের কথা বললেও আমার ধারণা জাসদের পুরোটাই ছিল ফাঁপা। আমার ধারণা শেখ ফজলুল হক মনির সঙ্গে পুরোনো ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে পরাজয় নিশ্চিত জেনে সিরাজুল আলম খান বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের আফিম আমদানি করেছিলেন। লাখো তরুণকে মহৎ বিপ্লবের স্বপ্ন দেখানো অবশ্যই বড় কৃতিত্ব। সেই কৃতিত্ব অবশ্যই সিরাজুল আলম খানকে দিতে হবে। কিন্তু আমার বিশ্বাস আর কেউ না জানলেও সিরাজুল আলম খান ঠিকই জানতেন এবং জানেন যে পুরো বিষয়টাই ছিল ‘ভাওতাবাজি’। শেখ মনির প্রতি বিদ্বেষের কারণেই বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই ব্যক্তিগত প্রতিশোধপরায়নতাকে বিপ্লবের মহত্ত্বের আবরণ দিতে পেরেছিলেন তিনি নিপুণভাবে। কিন্তু জাসদের মশাল লাখো মেধাবী তরুণকে আলোর পথ দেখানোর বদলে তাদের স্বপ্ন পুড়িয়ে ছাড়খার করে দেয়। হায়রে বিপ্লব, হায়রে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র!

ভাঙতে ভাঙতে যেভাবে অণু পরমাণুতে বিভক্ত হয়ে গেছে জাসদ, তাতে এখনও যে তাদের নিয়ে রাজনীতিতে আলোচনা হয় এটাই বড় কৃতিত্ব। তবে জাসদের এখনকার রাজনীতির সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোনও ফারাক নেই। তাই অনেকে বলেন, বাইরে থেকে থেকে এত গালি খাওয়ার চেয়ে জাসদ আওয়ামী লীগে বিলীন হয়ে গেলেই পারে। এই প্রশ্নের উত্তর হতে পারে, জাসদের সুবিধাবাদী চরিত্রে। বড় দলের ছোট নেতা হওয়ার চেয়ে ছোট দলের বড় নেতা হওয়া অনেক ভালো। জোট করার ক্ষেত্রে দর কষাকষি করা যায়। আর জাসদ যে সবসময় আওয়ামী লীগের সঙ্গেই জোট বাধবে, এমন কোনও কথাও তো নেই। স্রেফ আওয়ামী বিরোধিতা করতে যাদের জন্ম, সেই জাসদ এখন আওয়ামী লীগের লেজুড়। তাই রাজনীতিতে আসলেই শেষ কথা বলে কিছু নেই। ৭ নভেম্বর জিয়া বেঈমানী না করলে তো হয়তো বিএনপির জন্মই হতো না, হয়তো জাসদই থাকতো আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ।

জাসদের বিরুদ্ধে কিছু বললেই, তারা বলেন- ৪০ বছর পর এই আলোচনা কেন? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর জামায়াতও একই যুক্তি দিয়েছিল। ৪৫ বছর পর জামায়াত নেতাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হতে পারলে ৪০ বছর পর জাসদকে নিয়ে আলোচনা করা যাবে না কেন? অভিযোগটা সত্য না মিথ্যা তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে ইতিহাস চর্চার কোনও আলাদা সময় নেই। ইতিহাস একটি চলমান প্রক্রিয়া। আর সদ্য সবসময় সত্য।

তবে সৈয়দ আশরাফ এই সময়ে কেন এই সময়ে এই বোমা ফাটালেন, তা নিয়ে আমার একটু সংশয় আছে। শেখ হাসিনা মুখ না খোলা পর্যন্ত এটা পরিষ্কার হওয়া যাবে না। তবে সৈয়দ আশরাফ নিজে থেকে এত বড় অভিযোগ এনেছেন, মনে হয় না। তবে সৈয়দ আশরাফের কাছে আমার প্রশ্ন, জাসদের একজনকে মন্ত্রী করায় যদি আওয়ামী লীগকে প্রায়শ্চিত করতে হয়, তাহলে তিনি তার দলকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন না কেন? তার এই আপত্তিগুলো আওয়ামী লীগের দলীয় ফোরামে বা অন্তত ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকে আলোচনা করতে পারতেন। দলের সাধারণ সম্পাদক অন রেকর্ড এ ধরনের কথা বললে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। সাধারণ কর্মীদের কাছে ভুল বার্তা যায়। তবে একাধিকবার জাসদের ওপর আওয়ামী লীগ নেতাদের আক্রমণের পর মনে হতেই পারে, জাসদ বা হাসানুল হক ইনুকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই মাঝে মাঝে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়। এটা আসলে জাসদকে তার অতীতের কথা মনে করিয়ে দেয়াও হতে পারে। আসলে জাসদকে সবসময় সত্যের মুখোমুখি হওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয়, তারা যদি আনুষ্ঠানিকভাবে ৭২-৭৫’এর রাজনীতির ভুলটা স্বীকার করে জাতির কাছে, বিভ্রান্ত লাখো তরুণের কাছে ক্ষমা চায়, তাহলে আলোচনাটা কমে আসবে। 

লেখক: অ্যাসোসিয়েট হেড অব নিউজ

আরও পড়তে পারেন: ১৯ প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি চার ব্যাংক

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
দেশের জন্য কাজ করতে আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
দেশের জন্য কাজ করতে আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
নির্মোহ মূল্যায়নের খোঁজে জাসদ
নির্মোহ মূল্যায়নের খোঁজে জাসদ
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ