দুদিনের ভারী বর্ষণের কারণে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় সারাদেশের সঙ্গে বান্দবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
গতকাল পাহাড় ধসের ঘটনায় নিখোঁজ কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা, পোস্টে মাস্টার, স্বাস্থ্য কর্মী ও ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের জন্য দ্বিতীয় দিনের মতো কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকর্মীরা।
দুই দিনের ভারী বর্ষণে বান্দরবানের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। শহরের শেরে বাংলানগর, ইসলামপুর, কাশেমপাড়ার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। উজানের পানির ঢলে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বাজালিয়া নামক এলাকায় রাস্তার উপর পানি উঠে যাওয়ায় সারাদেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে এই সড়কে চলাচলকারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে বান্দরবান-রুমা সড়কের দলিয়ান পাড়া এলাকায় গতকাল পাহাড় ধসের ঘটনায় ৫ জন নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজ ৫ জনের মধ্যে গতকাল বিকেল ৩টার দিকে এক জনের লাশ উদ্ধার হলেও বাকী ৪ জনকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি। সোমবার (২৪জুলাই) সকাল থেকে সেনা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও রেড ক্রিসেন্টের একটি যৌথ টিম উদ্ধার তৎপরতায় নেমেছে। ভারী বর্ষণ অব্যহত থাকায় উদ্ধার কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন, কৃষি ব্যাংক, রুমা শাখার কর্মকর্তা গৌতম নন্দি, রুমা উপজেলা পোস্ট মাস্টার রবিউল আলম, রুমা উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মী মুন্নি বড়ুয়া ও রুমা সাংগু জুনিয়র হাই স্কুলের ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থী মেসিং মারমা।
/জেবি/
আরও পড়তে পারেন: নীলফামারীতে পাটের বাম্পার ফলন: সুদিন ফিরছে সোনালি আঁশে