শেরপুরে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় আব্দুল মজিদ লুদু (৫৪) নামে এক ব্যক্তিকে ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার (৬ আগস্ট ) দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুসলেহ উদ্দিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। মজিদ লুদু শেরপুর সদর উপজেলার পূর্ব কুমরি গ্রামের কালু শেকের ছেলে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, ২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নে নির্যাতনের শিকার শিশু (১৩)একটি দাখিল মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ওই ছাত্রী প্রতি দিনের মতো মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে চার সন্তানের বাবা আব্দুল মজিদ লুদু মেয়েটিকে অস্ত্র দেখিয়ে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মেয়েকে না পেয়ে তার বাবা-মা ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করলে ওই বছরের ২০ মার্চ মেয়ের মা বাদী হয়ে শেরপুর আদালতে অপহরণকারী আব্দুল মজিদ লুদু এবং সহযোগী হিসেবে তার ভাই হাবিবুর রহমানকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ৮ মাস পর ২০০৮ সালের ৯ আগস্ট পুলিশ শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের সাতানিপাড়া এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারী মজিদ লুদুকে আটক করে। পরে তদন্ত শেষে ৩০ আগস্ট শেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দুলাল সরকার দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। আদালতে আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে রবিবার আব্দুল মজিদ লুদুকে ৩০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন। মামলার অপর আসামির অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
/জেবি/
আরও পড়তে পারেন: ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন