পদ্মা নদীতে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ড্রেজিং কাজ শুরু হয়েছে। রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক নৌবন্দর স্থাপনে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে নৌবন্দর হলে বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। বিনিয়োগ বাড়বে। শিল্পায়নের জন্য বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজশাহীতে আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বহুগুন বেড়ে যাবে।’
সোমবার (৩ জুন) দুপুরে রাজশাহী নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী সিটির কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা লিটনকে এ সংবর্ধনা দেন।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘রাজশাহীতে দীর্ঘ দিনেও শিল্পায়ন হয়নি। রাজশাহীর উন্নয়ন করতে হলে, শিল্পায়নের প্রসার ঘটাতে হবে। এটি করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জেলার জন্য প্রধানমন্ত্রী তিনটি শিল্পাঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে— বিসিক-২, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও চামড়া শিল্পপার্ক। এই তিনটি শিল্পাঞ্চলে কোনও ভুয়া উদ্যোক্তাকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে না।’
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মেয়র বলেন, ‘আমাকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীবাসীকে গর্বিত করেছেন। ২০০৮ সালে প্রথম দফায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলাম। প্রথম মেয়াদে অনেক কাজ শুরু করেছিলাম, যার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে হয়তো এত দিনে অনেক দূর এগিয়ে যেতাম।’
খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, “রাজশাহীর উন্নয়নে ইতোমধ্যে চায়নার বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ‘পাওয়ার চায়না’র সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সেই অনুয়ায়ী, তারা মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করবে। আগামী ৫০ বছরে ধাপে ধাপে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন হবে।”
অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেন সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক। রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাওগাতুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, মেয়র পত্নী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী। আরও উপস্থিত ছিলেন, রাসিকের প্যানেল মেয়র-৩ মোসা. তাহেরা খাতুন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এএফএম আঞ্জুমান আরা বেগম প্রমুখ।