X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঘুরে দাঁড়িয়েছে মোংলা বন্দর

আবুল হাসান, মোংলা
২৩ নভেম্বর ২০১৯, ১০:০৬আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ১০:০৮

মোংলা সমুদ্রবন্দরে বিদেশি জাহাজ পণ্য খালাসে বিদেশি জাহাজ আসার রেকর্ড করেছে মোংলা সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ। গত অক্টোবর মাসে এ বন্দরে ৯৩টি বিদেশি জাহাজ ভিড়েছে। বন্দর সূত্র জানিয়েছে, এক দশক আগেও ব্যয়ভার বহনে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হতো কর্তৃপক্ষকে। ২০০৮ সাল থেকে এ বন্দরে গাড়ি, খাদ্যশস্য, সার ও ক্লিকার আমদানি এবং হিমায়িত পণ্য রফতানি হওয়ার কারণে লোকসান কাটিয়ে বর্তমানে বন্দরটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
বন্দরে জাহাজ বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রমিকদের কাজও বেড়েছে। মোংলা বন্দরের শ্রমিক সর্দার মো. ইস্রাফিল হাওলাদার ও শাজাহান সিদ্দিকি বলেন, ২০০৮ সালের আগে এ বন্দর মৃতপ্রায় হয়ে পড়েছিল। দিনের পর দিন বন্দরের পশুর চ্যানেল জাহাজ শূন্য থাকতো। শ্রমিকদের এক সময় না খেয়ে দিন কাটাতে হতো। অভাবের তাড়নায় অনেকে বাড়িঘর বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন বলে জানান শ্রমিক সর্দাররা। তারা বলেন, এখন এ বন্দরে যে পরিমাণ জাহাজ আসছে তাতে কাজ করতে শ্রমিকরা হিমশিম খাচ্ছেন।
অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং বন্দরকে ঘিরে সরকারের নানা পরিকল্পনার কারণে জাহাজের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, মোংলা বন্দর এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান। গত পাঁচ অর্থবছরে বন্দরে আসা জাহাজের সংখ্যা বেড়েছে, আয়ও বেড়েছে।
বন্দরে পণ্য খালাস তিনি বলেন, গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জাহাজ এসেছে ৪১৬টি, আয় হয়েছে এক শ’ ৭০ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জাহাজ এসেছে ৪৮২টি, আয় হয়েছে এক শ’ ৯৬ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জাহাজ এসেছে ৬২৩টি, আয় হয়েছে দুই শ’ ২৯ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০১৭-১৮ বছরে জাহাজ এসেছে ৭৮৪টি, আয় হয়েছে দুই শ’ ৭৬ কোটি ১৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাহাজ এসেছে ৯১২টি, আয় হয়েছে তিন শ’ ২৯ কোটি ১২ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
অতীতে একসঙ্গে এত জাহাজ বন্দরে ভিড়েনি উল্লেখ করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মোজাম্মেল হক বলেন, মোংলা বন্দর এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এ বন্দরে নতুন নতুন জাহাজ আসছে। গত মাসে রেকর্ড সংখ্যক জাহাজ এসেছে এ বন্দরে। বিদেশি জাহাজ থেকে ১১ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন পণ্য হ্যান্ডেলিং হয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা এসব পণ্য থেকে বন্দরের ৩২ কোটি ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
তিনি জানান, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং বন্দরকে ঘিরে সরকারের নানা পরিকল্পনার কারণে এ বন্দরে জাহাজের সংখ্যা বেড়েছে। আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে এ বন্দরে প্রায় আট হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বন্দরের চিত্র পাল্টে যাবে।

 

 

/ওআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আ.লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা মঙ্গলবার
আ.লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা মঙ্গলবার
ভারতের মণিপুরে আবারও জাতিগত সহিংসতা
ভারতের মণিপুরে আবারও জাতিগত সহিংসতা
বাংলা গানের উন্নয়ন ও বিকাশে ‘অংশীজন সভা’
বাংলা গানের উন্নয়ন ও বিকাশে ‘অংশীজন সভা’
দায়িত্ব নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে যা বললেন র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র
দায়িত্ব নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে যা বললেন র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু