কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সাংবাদিক আনিছুর রহমানকে প্রকাশ্যে পেটানোয় দায়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন সবুজ ও তার দুই সহযোগীসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) রাতে মামলা নথিভুক্ত করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান।
আসামিরা-হলেন উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ, একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ও সবুজের সহযোগী নুরুন্নবী (৩৯) এবং জাকির হোসেন (২৮)।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আনিছুর রহমান দৈনিক সংবাদ পত্রিকার রৌমারী উপজেলা প্রতিনিধি।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে আওয়ামী লীগ নেতা সবুজের নেতৃত্বে সাংবাদিক আনিছকে বেদম মারধর করেন অভিযুক্তরা। এ সময় আনিছকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেন আনিছ। ঘটনার রাতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী। অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করতে টালবাহানা করে পুলিশ। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। পরে ঘটনার দুই দিনপর বৃহস্পতিবার রাতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।
সাংবাদিক আনিছ জানান, মঙ্গলবার রাতে তারাবি নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার পথে কর্তিমারী বাজারে তার ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন সবুজ, নুরুন্নবী ও জাকির হোসেনসহ তাদের সহযোগীরা। একপর্যায়ে বেধড়ক মারধরসহ তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। অভিযুক্তদের নানা অপকর্ম নিয়ে অনুসন্ধান ও তা প্রকাশের জেরে এই হামলা বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ ও মাদক কারবারি নুরুন্নবীসহ তার লোকজন আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টা করে। বিলম্বে হলেও পুলিশ মামলা নিয়েছে। এখন আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই।
আওয়ামী লীগ নেতা ও মাসলা অন্যতম প্রধান আসামি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ সাংবাদিক আনিছের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। ঘটনার পর তিনি দাবি করেন, মারপিট নয়, আনিছের সঙ্গে কিছু বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়েছে।
ওসি আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিন-চার জনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।