X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সে সিনেমা হল গড়ার অনুমতি পাননি রাজ্জাক

বিনোদন রিপোর্ট
২৬ আগস্ট ২০১৭, ১৯:৩৫আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০১৭, ০১:১৯

নায়করাজ রাজ্জাক ১৯৮৪ সালে ঢাকার উত্তরায় অভিনেতা রাজ্জাক গড়ে তোলেন বিপণি বিতান রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স। আপাদমস্তক চলচ্চিত্রপ্রেমী নায়করাজ ওই ভবনে একটি সিনেমা হল বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে তাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন তার জ্যেষ্ঠ ছেলে বাপ্পারাজ। শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (বিএফডিসি) ৮ নম্বর ফ্লোরে রাজ্জাক স্মরণে শোকসভা ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার।

শোকসভায় রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স প্রসঙ্গে বাপ্পারাজ বলেন, ‘একটা ভুল ধারণা আছে, উনি (রাজ্জাক) সিনেমা হলের নামে মার্কেট করেছেন। কমপ্লেক্স গড়ার অনুমতিটা সিনেমা হলের কথা বলে নিয়েছেন। না, মার্কেট করা হবে উল্লেখ করে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। মার্কেটটা ওখানে মার্কেট হিসেবেই তৈরি করা হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা সিনেমা হল করার জন্য চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু রাজউক অনুমতি দেয়নি। তাছাড়া ভবনটিতে অনেক পিলার। সেগুলো ভেঙে জায়গা বের করে সিনেমা হল বানানোর সুযোগ ছিল না।’
এখানেই থেমে যেতে চাননি রাজ্জাক। এরপর ভবনের ওপরেও সিনেমা হল করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু তখনও তাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে দাবি বাপ্পারাজের। তার ভাষ্য, ‘কিছুদিন আগেও ওখানে বিসিকের একটি মিলনায়তন ছিল, ওটাও আমরা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম সিনেমা হল করার জন্য। কিন্তু পাশে একটি স্কুল থাকায় অনুমতি দেওয়া হয়নি।’

বাবাকে নিয়ে বলছেন বাপ্পারাজ (ছবি: সংগৃহীত) রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স নিয়ে অনেকের ভুল ধারণা আছে জানিয়ে বাপ্পারাজ আরও বলেছেন, ‘অনেকের এ ধারণা যে ভুল তা পরিষ্কার করে দিলাম। রাজ্জাক সাহেব অবৈধভাবে বানাননি, তিনি সৎ থেকেই মার্কেট বানিয়েছেন। রাজ্জাক সাহেব যদি অবৈধ পথ বেছে নিতেন তাহলে উত্তরায় লক্ষ্মীকুঞ্জ (বাড়ি) এবং মার্কেট আরও চার-পাঁচটা থাকতো তার। তিনি তা করেননি।’

স্মৃতিচারণ করছেন সুচন্দা (ছবি: সংগৃহীত) সভায় এসেছিলেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা। তাদের অনেকে স্মৃতিচারণা করেন। রাজ্জাককে স্মরণ করতে গিয়ে সবাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কেউ আবেগে কেঁদেছেনও। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য— অভিনেত্রী সুজাতা, সুচন্দা, রোজিনা, চম্পা, নূতন, অরুণা বিশ্বাস, অভিনেতা সোহেল রানা, ফারুক, আলমগীর, মিশা সওদাগর, রাজ্জাকের কনিষ্ঠ ছেলে সম্রাট, পরিচালক আমজাদ হোসেন, মুশফিকুর রহমান গুলজার প্রমুখ। শোকসভা সঞ্চালনা করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।

স্মৃতিচারণ করছেন চম্পা (ছবি: সংগৃহীত) রাজ্জাক ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র। গত ২১ আগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের এই প্রবাদ পুরুষ। ৭৫ বছর বয়সে চিরবিদায় নিলেন তিনি। 
পাঁচ দশক ধরে বাংলা চলচ্চিত্রে শাসন করেছেন নায়করাজ রাজ্জাক। সুদীর্ঘ অভিনয় জীবনে ৫০০টির বেশি বাংলা এবং উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন গুণী এই শিল্পী। এছাড়া ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি। অভিনেতা পরিচয়ের পাশাপাশি রাজ্জাক ছিলেন সফল চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক।

/জেএইচ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
ঢাকায় পুনর্মিলন সেরে ক্যাঙ্গারুর দেশে...
ঢাকায় পুনর্মিলন সেরে ক্যাঙ্গারুর দেশে...
ঢাকার জ্যাম আর গরম নিয়ে প্রেমের গান!
ঢাকার জ্যাম আর গরম নিয়ে প্রেমের গান!
তামান্নার শুভ সূচনা
তামান্নার শুভ সূচনা
ওটিটিতে মঞ্চনাটক ‘নেতা যে রাতে নিহত হলেন’
ওটিটিতে মঞ্চনাটক ‘নেতা যে রাতে নিহত হলেন’
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান!
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান!