X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বারী সিদ্দিকীর অবস্থার অবনতি

বিনোদন রিপোর্ট
১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:২২আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:৩০

বারী সিদ্দিকী রবিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল নাগাদ জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও নন্দিত বংশীবাদক বারী সিদ্দিকীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে। এমনটাই জানালেন তার বড় ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী।
তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম ২৪ ঘণ্টা অতিক্রম করার পর কিছুটা উন্নতি হবে। কিন্তু এখন শুনছি অবস্থা আরও খারাপের দিকে গেছে। ডাক্তার বলেছেন, আপনারা দোয়া করেন। এছাড়া আপাতত কিছু করার দেখছি না।’
এর আগে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বারী সিদ্দিকীকে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে হার্ট অ্যাটাক করেন এই শিল্পী। আধাঘণ্টার মধ্যে অচেতন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে লাইফ সাপোর্ট দেন।
সাব্বির সিদ্দিকী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই আব্বার কিডনির সমস্যা। প্রায় দুই বছর ডায়ালাইসিস চলছিল। তবে শুক্রবার রাতে মেজর হার্ট অ্যাটাক করেন। এরপর ডাক্তাররা লাইফ সাপোর্টে নিয়ে যান তাকে। এখন আমাদের আসলে দোয়া আর অপেক্ষা করা ছাড়া কিছুই করার দেখছি না। সবাই উনার জন্য একটু দোয়া করবেন।’
এদিকে চিকিৎসকদের মতে, বারী সিদ্দিকীর দুটি কিডনি অকার্যকর।
বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও বংশীবাদক বারী সিদ্দিকী। তিনি মূলত গ্রামীণ লোকসংগীত ও আধ্যাত্মিক ধারার গান করে থাকেন। তার গাওয়া ‘শুয়া চান পাখি’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘সাড়ে তিন হাত কবর’, ‘তুমি থাকো কারাগারে’, ‘রজনী’ প্রভৃতি গানের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
বারী সিদ্দিকী ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলায় এক সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে পরিবারের কাছে গান শেখায় হাতেখড়ি হয়। মাত্র ১২ বছর বয়সেই নেত্রকোনার শিল্পী ওস্তাদ গোপাল দত্তের অধীনে তার আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষ সহ অসংখ্য গুণী শিল্পীর সরাসরি সান্নিধ্য লাভ করেন। ওস্তাদ আমিনুর রহমান একটি কনসার্টের সময় বারী সিদ্দিকীকে অবলোকন করেন এবং তাকে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন। পরবর্তী ছয় বছর ধরে তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমানের অধীনে প্রশিক্ষণ নেন।
সত্তরের দশকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গে যুক্ত হন বারী। ওস্তাদ গোপাল দত্তের পরামর্শে ক্লাসিক্যাল মিউজিকের উপর পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে বাঁশির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন ও বাঁশির ওপর উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে প্রশিক্ষণ নেন। নব্বইয়ের দশকে ভারতের পুনে গিয়ে পণ্ডিত ভিজি কার্নাডের কাছে তালিম নেন। দেশে ফিরে এসে লোকগীতির সাথে ক্লাসিক মিউজিকের সম্মিলনে গান গাওয়া শুরু করেন।
দীর্ঘদিন সংগীতের সঙ্গে জড়িত থাকলেও সবার কাছে বারী সিদ্দিকী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পান ১৯৯৯ সালে হ‌ুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর। এই ছবিতে তার গাওয়া ছয়টি গানই  ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
কানের ধ্রুপদি বিভাগে শ্যাম বেনেগালের ‘মন্থন’
কান উৎসব ২০২৪কানের ধ্রুপদি বিভাগে শ্যাম বেনেগালের ‘মন্থন’
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা