জেমস বন্ড সিরিজের প্রথম ছবি ‘ড. নো’র (১৯৬২) অভিনেত্রী ইউনিস গেসন আর নেই। শুক্রবার (৮ জুন) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বন্ডকন্যা সিলভিয়া ট্রেঞ্চ চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। বন্ড সিরিজের দ্বিতীয় ছবি ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’-এ আবারও বন্ডকন্যা হন তিনি। একই নায়িকার দুটি বন্ড ছবিতে কাজের রেকর্ড আর নেই।
টুইটারে শনিবার (৯ জুন) বিকালে ইউনিস গেসনের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেকের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে গেছেন তিনি। তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।’
প্রযোজক মাইকেল জি. উইলসন ও বারবারা ব্রকোলি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রথম বন্ডকন্যা ইউনিস গেসনের প্রয়াণে আমরা শোকাহত। আমরা তার পরিবারের সমব্যথী।’
‘ড. নো’তে প্রথমবার জেমস বন্ড চরিত্রে অভিনয় করেন ব্রিটিশ তারকা শন কনারি। শুটিংয়ে বিখ্যাত সংলাপ, ‘বন্ড, জেমস বন্ড’ প্রথমবার আওড়াতে তাকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন ইউনিস গেসন। ছবিটির একটি দৃশ্যে ক্যাসিনোতে তাস খেলতে দেখা গেছে তাদেরকে। একপর্যায়ে তাকে বাজির পুরস্কার নিতে বলে সিলভিয়া।
তখন জেমস বন্ড উত্তর দেন, ‘আপনার সাহসের তারিফ করতে হয়। মিস...?’ এরপর বন্ডকন্যা নিজের নাম এভাবে বলেন, ‘ট্রেঞ্চ, সিলভিয়া ট্রেঞ্চ। আপনি সত্যিই ভাগ্যবান, মিস্টার...?’ নায়িকার মতো করেই বন্ড তখন নিজের নাম বলেন, ‘বন্ড, জেমস বন্ড।’
তবে ‘বন্ড, জেমস বন্ড’ সংলাপটি আওড়াতে গিয়ে বেশ হিমশিম খাচ্ছিলেন শন কনারি। ২০১২ সালে এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান ইউনিস গেসন। তার ভাষ্য ছিল, ‘বন্ড, জেমস বন্ড বলতে গিয়ে তিনি বারবার বলে ফেলছিলেন, শন বন্ড, জেমস কনারি! এ কারণে উত্তেজিত হতে দেখা গেছে পরিচালক টেরেন্স ইয়াংকে।’
এরপর শন কনারিকে পানীয়র জন্য নিয়ে যান ইউনিস গেসন। ফিরে এসে ঠিকঠাক সংলাপটি আওড়াতে পেরেছিলেন কনারি। যদিও ‘ড. নো’র মতো ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’ ছবিতেও ইউনিসের কণ্ঠ শোনা যায়নি। কারণ ষাট ও সত্তর দশকে বন্ডকন্যাদের ডাবিং করানো হতো ভয়েস আর্টিস্ট নিকি ভ্যান ডার জিলকে দিয়ে।
১৯২৮ সালে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল সারেতে জন্মেছিলেন ইউনিস গেসন। বন্ডকন্যা হওয়ার আগে ভৌতিক ধাঁচের ছবি ‘দ্য রিভেঞ্জ অব ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’-এ অভিনয় করেন তিনি। জেমস বন্ড সিরিজের দুটি ছবিতে কাজের পর ‘দ্য সেইন্ট’ ও ‘দ্য অ্যাভেঞ্জার্স’-এর মতো জনপ্রিয় টিভি সিরিজে দেখা গেছে তাকে।
* ‘ড. নো’ ছবির জনপ্রিয় দৃশ্য:
সূত্র: বিবিসি