X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা গণহত্যার ‘প্রমাণ না পাওয়ার’ দাবি মিয়ানমারের

বিদেশ ডেস্ক
০৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০৩:২৯আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০৩:৩২

রোহিঙ্গা নির্যাতনের ভিডিও-র একটি দৃশ্য মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মংডুতে রোহিঙ্গা মুসলিমদের কোন ধরনের গণহত্যা বা ধর্মীয় নিপীড়নের অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ার দাবি করেছে দেশটির সরকারের গঠিত তদন্ত কমিশন। রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর চার পুলিশ কর্মকর্তাকে আটকের ঘটনার একদিন পর তদন্ত কমিশনের রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে মিয়ানমারের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, ‘মংডুর বাঙালি অধিবাসীদের সংখ্যা, মসজিদ ও ধর্মীয় স্থাপনাই প্রমাণ করে সেখানে কোনও গণহত্যা বা নিপীড়নের ঘটনা ঘটেনি’।

কমিশন দাবি করেছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর তাদের জানিয়েছে যে দায়িত্বে থাকা কারও বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অবৈধ আটক, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ সেগুলোর বিষয়ে যথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারা প্রস্তুত রয়েছে।

ধর্ষণের বিষয়ে তদন্তের সময় গ্রামবাসী ও স্থানীয় নারীদের সঙ্গে কথা বলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রমাণ পায়নি বলে ওই রিপোর্টে দাবি করেছে তদন্ত কমিশন।

আর অগ্নিসংযোগ, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর মাসের ৯ তারিখে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এলাকায় সন্ত্রাসীদের সমন্বিত হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর তার দায় চাপানো হয় রোহিঙ্গাদের ওপর। আর তখন থেকেই শুরু হয় সেনাবাহিনীর দমন প্রক্রিয়া।জাতিসংঘের মতে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের রাখাইন রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৮৬ জন। এখন পর্যন্ত ঘরহারা হয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। পালাতে গিয়েও গুলি খেয়ে মরতে হচ্ছে তাদের। মিয়ানমারে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাস করে। কিন্তু, সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা তাদেরকে দেশটির নাগরিক হিসেবে স্বীকার তো করেই না বরং এসব রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দাবি করে থাকে। রাখাইন রাজ্যে এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টির পরেও চলমান দমন প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বীকার করে দায় এড়াতে চাইছে দেশটির সরকার। রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের বাড়িঘর পোড়াচ্ছে বলেও দাবি করছে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিশ্চিত করেই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবেই চেনে। জাতিসংঘের অবস্থানও আলাদা নয়। 

এ পরিস্থিতিতে অভিযোগগুলো তদন্তের ঘোষণা দিয়েছিল মিয়ানমার। তবে গঠিত তদন্ত কমিশন নিয়ে খোদ মিয়ানমারে বিতর্ক ছিল। কারণ তদন্ত কমিশনের প্রধান করা হয়েছে একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে, যাকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র কালো তালিকাভুক্ত করেছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

/এএ/

 

সম্পর্কিত
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
সর্বশেষ খবর
পরিবারের অভাব দূর করতে সিঙ্গাপুরে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন রাকিব
পরিবারের অভাব দূর করতে সিঙ্গাপুরে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন রাকিব
কেমন চলছে ভারতের লোকসভার দ্বিতীয় দফার ভোট?
কেমন চলছে ভারতের লোকসভার দ্বিতীয় দফার ভোট?
সাফের আগে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে সাবিনাদের ম্যাচ
সাফের আগে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে সাবিনাদের ম্যাচ
কানের ধ্রুপদি বিভাগে শ্যাম বেনেগালের ‘মন্থন’
কানের ধ্রুপদি বিভাগে শ্যাম বেনেগালের ‘মন্থন’
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ