ব্রিটিশ সংসদ হাউস অব কমন্স-এ সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপিদের ভোটে পাস হওয়া ব্রেক্সিট বিল অনুমোদন পেয়েছে। টানা তিনদিন বিতর্কের পর কোনও সংশোধন ছাড়াই বুধবার বিলটি অনুমোদিত হলো। এর ফলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে আসার আলোচনা শুরুর জন্য ইইউ চুক্তির ৫০ ধারা অনুসরণ করতে পারবেন।
সংসদে বিলটি উত্থাপিত হওয়ার পর পক্ষে ভোট দেন ৪৯৪ জন ব্রিটিশ এমপি। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১২২ জন। ফলে ৩৭২ ভোটে বিলটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়।
বিলটির অনুমোদন সংসদে ঘোষণার সময় এক একটি লজ্জা বলে চিৎকার করতে শোনা যায়। তবে টরি সরকারদলীয় এমপিরা হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান।
বিলটি এখন হাউস অব লর্ডসে পাঠানো হবে। বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার আগে হাউস অব লর্ডস অধিকতর যাচাই-বাছাই করবে। মার্চের শেষের দিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রেক্সিট বিলের ভোট দেওয়া নিয়ে জেরেমি করবিনের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টির ৫২ জন এমপি বিদ্রোহ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক এবং রোশনারা আলি। সর্বশেষ বুধবার লেবার পার্টির ছায়া সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী ক্লাইভ লেওয়েস বিলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ছায়া সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। রক্ষণশীলদের মধ্যে একমাত্র সাবেক চ্যান্সেলর ক্লার্ক বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
যুক্তরাজ্য সরকার আগামী মার্চে ইউরোপীয় নেতাদের সম্মেলনে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরুর জন্য আইন পাস করতে আগ্রহী। সরকারের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে হাউস অব লর্ডস-কে বলা হয়েছে, আগামী ৭ মার্চের মধ্যে তারা নতুন ব্রেক্সিট বিলের পাস করতে আগ্রহী।
চলতি বছরের ৯ মার্চ মাল্টায় দুই দিনের ইউরোপীয়ান কাউন্সিল সামিটে অংশ নেবেন ইইউ-ভুক্ত ২৮টি দেশের সরকারপ্রধানরা। পার্লামেন্টের অনুমোদন সাপেক্ষে সেখানে বিষয়টি তুলে ধরতে চান থেরেসা মে। সূত্র: আইটিভি।
/এএ/