পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ না করায় উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে ও তেল আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার এক প্রস্তাবে কাপড় ও তাদের শ্রমিক রফতানির উপর নিষেধজ্ঞারও আহ্বান জানায় তারা। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুইদিন আগেই জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেলি কঠোর পদক্ষেপের কথা জানিয়েছিলেন। সোমবার তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ১১ সে্প্টেম্বর ভোটের জন্য অপেক্ষা করছে। তবে জাতিসংঘের রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়ার দা্বি এমন পদক্ষেপ নেওয়াটা বেশি আগে হয়ে যাবে।
এই প্রস্তাবে সরাসরি কিম জংকে লক্ষ্য করা হয়েছে। তার ও ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্যের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার কথা চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের কালোতালিকায় কিমকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। এতে করে বৈশ্বিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন তিনি। এই তালিকায় পড়তে পারেন আরও চারজন সিনিয়র কমকর্তা।
তবে এই প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়ার মিত্র চীনের সমর্থন আছে কিনা ত জানা যায়নি।
আল-জাজিরার সাংবাদিক রোজিল্যান্ড জর্ডান বলেন, এই প্রস্তাব চীন ও রাশিয়ার বিরোধের মুখে পড়তে পারে। বিশেষ করে তেল নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে চীনের বিরোধীতা করার সম্ভাবনা খুবই বেশি। নতুন এই প্রস্তাবের আগে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি তাকে আশ্বস্ত করেছে উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে প্রথমের সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা নেই ট্রাম্পের।