জাপান তার ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে জেরুজালেমে তাদের দূতাবাস সরিয়ে নেবে না। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকট নিরসনে দুটি রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব সমর্থনের বিষয়টিও পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশটি। জর্ডানের আম্মানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাদাফির সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো। জর্ডানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পেত্রা নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার জেরুজালেম ও রামাল্লায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপরের দিন মঙ্গলবার জর্ডানে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
একটি হিব্রু সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, নেতানিয়াহু ও আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে তারো কোনো তাদের টোকিওতে একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জেরার্ড কুশনারও এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে প্রস্তাব করা হয়। চ্যানেল টেন এর খবরে বলা হয়, যু্ক্তরাষ্ট্র রাজি হলে নেতানিয়াহু ওই বৈঠকে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। তারা জানায়, গত সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সম্মেলনের সময় জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিন জো অ্যাবের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে নেতানিয়াহুকে প্রথম এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সে সময় নেতানিয়াহু শর্ত দেন যদি মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে এতদিন ধরে ‘মধ্যস্থতাকারী’ যুক্তরাষ্ট্র উপস্থিত থাকতে হবে।
তবে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ওই সম্মেলনের ব্যাপারে কী মন্তব্য করেছেন তা জানা যায়নি।
এই সফরে কোনো প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জেরুজালেমের স্বীকৃতির সমালোচনা করেননি। তবে গত সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের জরুরি অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে জাপান।
আম্মানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জেরুজালেমের ভাগ্য শান্তি আলোচনায় নির্ধারিত হবে। শহরটির মর্যাদা ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সরাসরি সমঝোতার মাধ্যমে’ নির্ধারণ করা দরকার। ১৯৯৪ সালের শান্তিচুক্তি অনুসারে জর্ডান মুসলিম ও খ্রিস্টানদের পবিত্র শহর জেরুজালেমের তত্বাবধায়ক। তারা ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।