X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আদালতে ভারতের কেন্দ্র সরকার

'সুরক্ষা আইন সংক্রান্ত রায় দলিতদের মনোবল নষ্ট করেছে'

বিদেশ ডেস্ক
০৪ মে ২০১৮, ১০:৫০আপডেট : ০৪ মে ২০১৮, ১১:৩৬
image

ভারতে দ্য শিডিউলড কাস্ট অ্যান্ড দ্য শিডিউলড ট্রাইবস প্রিভেনশন অব অ্যাট্রোসিটিজ অ্যাক্ট (তফশিলি জাতি ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সংরক্ষণ আইন) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায় দলিতদের 'মনোবল ও আস্থা' নষ্ট করেছে উল্লেখ করে স্থগিতাদেশ চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার (৩ মে) কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট এমন কোনও নিয়ম বা নির্দেশিকা তৈরি করতে পারে না যা সংসদে পাস হওয়া আইনের সঙ্গে বেমানান। সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশের জেরে জীবনহানি পর্যন্ত হয়েছে বলে জানিয়ে বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর দাবিও করেন তিনি। তবে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি এ কে গোয়েল ও বিচারপতি ইউ ইউ ললিতকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ ২০ মার্চের রায়ের পক্ষে কথা বলেছে। বেঞ্চ জানায়, আদালত শতভাগ তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের স্বার্থরক্ষা ও তাদের ওপর অত্যাচারে দোষীদের স্বার্থরক্ষার পক্ষে।

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
গত ২০ মার্চ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে তফশিলি জাতি ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উপর অত্যাচার বন্ধের আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই নিরপরাধ মানুষকে অভিযুক্ত বলে দেখানো হয়, সরকারি কর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয় না। তফসিলি আইন তৈরির সময় কিন্তু এটা লক্ষ্য ছিল না। তাই এখন থেকে আর নিয়োগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এই আইনে কোনও সরকারি কর্মীকে গ্রেফতার করা যাবে না। তফশিলি জাতি–উপজাতির উপর অত্যাচারের কোনও মামলা দায়ের করার আগে সেই ঘটনা ডিএসপি পর্যায়ের কোনও কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। এছাড়া এই ঘটনায় অভিযুক্ত কোনও সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

কেন্দ্র সরকার গত ২ এপ্রিল শীর্ষ আদালতে ২০ মার্চের রায় খতিয়ে দেখার আবেদন করে। সেই রায়ে ১৯৮৯ সালের তফসিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনে অভিযোগ জমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতারির ধারার ওপর কিছু রক্ষাকবচ বসানো হয়। শীর্ষ আদালত ২৭ এপ্রিল কেন্দ্রের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে একইসঙ্গে পরিষ্কার বলে দেয়, এ ব্যাপারে আর কোনও পিটিশন বিবেচনা করা হবে না।
বৃহস্পতিবার তফশিলি জাতি ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী আইনের ওপর সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে স্থগিতদেশ চান কেন্দ্রের প্রতিনিধি অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল। সুপ্রিম কোর্টে লিখিত আবেদনে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রায়ে তফসিলি আইনের কঠোর ধারাগুলি শিথিল করে দেওয়া হয়েছে, ফলে দেশের বড় ক্ষতি হয়েছে। তফসিলি সমাজে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, নষ্ট হচ্ছে সম্প্রীতি। ওই রায় ঘোষণার পর দলিতদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সহিংসতায় আটজন নিহত হয়েছে। সরকার সর্বোচ্চ আদালতে বলে, তাদের ওই রায় তফসিলিদের ব্যাপারে সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করবে। আইনের আগের ধারাগুলি ফিরিয়ে আনা হোক বলেও আবেদন জানানো হয়। তবে ২০ মার্চ পরবর্তী প্রাণহানির ঘটনায় আদালতের ওই রায়ের কোনও ভূমিকা নেই বলে উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

বেনুগোপালের যুক্তিকে প্রত্যাখ্যান করে বিচারপতি গোয়েল বলেন, ‘আমাদের রায় কাউকে অপরাধ সংঘটনে উসকে দেয়নি। আমাদের রায়কে ভুল বোঝা হয়েছে। শিডিউলড কাস্ট কমিউনিটির প্রতি এ আদালতের পূর্ণ সুরক্ষা আছে।’

/এফইউ/
সম্পর্কিত
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট কাল
ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য খালাস করে গেলেন যে নারী ট্রাকচালক
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা