X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘বাংলাদেশকে যেন শরণার্থীদের প্রতি তিক্ত হতে না হয়’

ব্রজেশ উপাধ্যায়, ওয়াশিংটন
০১ আগস্ট ২০১৮, ১৭:০০আপডেট : ০১ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৫২

বাংলাদেশ এককভাবে রোহিঙ্গা সংকটের বোঝা বহন করছে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, বাংলাদেশকে যেন শরণার্থীদের প্রতি তিক্ত হতে না হয়। এমনটাই মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কেলি ই কুরি।

‘বাংলাদেশকে যেন শরণার্থীদের প্রতি তিক্ত হতে না হয়’ জাতিসংঘের ইকনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কেলি ই কুরি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের জন্য বাড়তি সমর্থন চেয়ে তিনি বলেন, আশ্রয়দাতা দেশকে বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যার একটি বোঝা বহন করতে হচ্ছে। তারা যেন সব সহায়তা পায় বিশ্বকে অবশ্যই এটা নিশ্চিত করতে হবে।

কেলি ই কুরি বলেন, আমরা এমনটা দেখতে চাই না যে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ব্যাপারে তারা তিক্ত ও রাগান্বিত হয়ে পড়েছে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।

চলতি বছরের এপ্রিলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করেন কেলি ই কুরি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের একক বৃহত্তম দাতা দেশ। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এ ইস্যুতে দেশটি ২০৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছে। এরমধ্যে ৮০ ডলারেরও বেশি পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে বাংলাদেশকে দেওয়া মানবিক সহায়তার পেছনে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে নতুন করে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ শুরুর পর জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের 'পাঠ্যপুস্তকীয় দৃষ্টান্ত' হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা সংঘটনের প্রমাণ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বহু মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ।

ওয়াশিংটনে প্রভাবশালী গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ ফাউন্ডেশনে দেওয়া ভাষণে কেলি ই কুরি বলেন, আমরা কী বলছি সেটা নয়; বরং আমরা কি করছি সেটাই বড় বিষয়। রাখাইনের ঘটনায় দায়ীদের শনাক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে। বার্মিজ কর্মকর্তাদের ওপর পুনরায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দেশটির সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক অবদমন করা হয়েছে।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত জাতিগত নিধনযজ্ঞে খুন-ধর্ষণ-সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মতো ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে থাকে ধারাবাহিকভাবে। পাহাড় বেয়ে ভেসে আসতে শুরু করে বিস্ফোরণ আর গুলির শব্দ। পুড়িয়ে দেওয়া গ্রামগুলো থেকে আগুনের ধোঁয়া এসে মিশতে থাকে বাতাসে। মানবাধিকার সংগঠনের স্যাটেলাইট ইমেজ, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন আর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায়, মায়ের কোল থেকে শিশুকে কেড়ে শূন্যে ছুঁড়ে ফেলে বর্মি সেনা। কখনও কেটে ফেলা হয় তাদের গলা। জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় মানুষকে। এমন বাস্তবতায় নিধনযজ্ঞের বলি হয়ে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় অন্তত সাত লাখ রোহিঙ্গা।

মিয়ানমার সরকারের দাবি, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) হামলার কারণেই রোহিঙ্গা সংকটের উদ্ভব। তবে মিয়ানমারের এমন দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতিসংঘ।

/এমপি/
সম্পর্কিত
হামাসের সংশোধিত প্রস্তাব গাজায় যুদ্ধবিরতি অচলাবস্থা ভাঙতে পারে: যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
ইসরায়েল কি যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হবে?
সর্বশেষ খবর
আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের মামলায় প্রতিবেদন ১০ জুন
আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের মামলায় প্রতিবেদন ১০ জুন
‘কোন মার্কায় ভোট দেবে’ পাশে দাঁড়িয়ে বলে দিচ্ছেন আরেকজন
‘কোন মার্কায় ভোট দেবে’ পাশে দাঁড়িয়ে বলে দিচ্ছেন আরেকজন
নিজ্জার হত্যা: কানাডার আদালতে হাজির অভিযুক্ত তিন ভারতীয়
নিজ্জার হত্যা: কানাডার আদালতে হাজির অভিযুক্ত তিন ভারতীয়
পাওল নাটোর্পের রবীন্দ্র-মূল্যায়ন
পাওল নাটোর্পের রবীন্দ্র-মূল্যায়ন
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা