ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) মাকাতি সিটির জুপিটার ব্রাঞ্চের ম্যানেজার মাইয়া সান্তোস দিগুইতো সিনেট কমিটির শুনানিতে দাবি করেছেন, ওই অর্থ চুরির ঘটনায় এক সন্দেহভাজন কিম অং ব্যাংকটির প্রেসিডেন্ট ও সিইও লরেঞ্জো তানের বিশেষ বন্ধু। তার দাবি, কিমের নির্দেশনা অনুযায়ীই সব কাজ করেছেন তিনি। কিম সবই জানতেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম ইনকোয়ারার এই খবর নিশ্চিত করেছে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়, চীনা বংশোদ্ভূত কিম অং সহ আরও চারটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ ফিলিপাইনে পাচার করা হয়। পরে কিম তার অ্যাকাউন্টের ওই অর্থ প্যারানাকি সিটির ক্যাসিনোতে পাঠান।
দিগুইতো অভিযোগ করেন, অন্য চার সন্দেহভাজনের (মাইকেল ফ্রান্সিসকো ক্রুজ, জেসি ক্রিস্টোফার লাগরোসাস, এনরিকো তেওদোরো ভাসকুয়েজ, আলফ্রেড সান্তোস ভারগারা) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ে অং নিজেই তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
দিগুইতো বলেন, ‘আমি ওই পাঁচ জনের সঙ্গে সোলেয়ার হোটেলে দেখা করেছি। যেমনটা আমি আগেও বলেছিলাম, একজন ব্যাংক ম্যানেজার হিসেবে আমি মার্কেটিংয়ের জন্য ব্রাঞ্চের বাইরে যেতেই পারি। ওই পাঁচ জন সেখানেই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য তাদের পরিচয় দেন। আমি তাদের ওপেনিং ফরম দিই। যা তারা যথাযথ দলিল সহ পূরণ করে আমার কাছে জমা দেন।’ দিগুইতো ব্যাংক ব্রাঞ্চে দেখা না করে কেন তাদের সঙ্গে দেখা করতে সোলেয়ার হোটেলে গেলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কিম অং ব্যাংক প্রেসিডেন্টের (লরেঞ্জো তান) ঘনিষ্ট বন্ধু। এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়।’