X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
শেখ আফজালের একক চিত্র প্রদর্শনী

‘ক্যানভাসকে জীবন্ত করতেই রঙ নিয়ে খেলি’

বন্যা মির্জা
২৮ এপ্রিল ২০১৬, ১২:১৩আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০১৬, ১২:১৭




শেখ আফজাল ও বন্যা মির্জা গ্যালারি এথেনাতে যখন পৌঁছাই তখন খাঁ খাঁ দুপুর। প্রায় দুটা বাজে। যার জন্য অপেক্ষা তিনি তখনও পৌঁছাননি। পথে আছেন। আমার সঙ্গে আমার একজন কলিগ আছেন। আমরা তখন ছবি মানে পেইন্টিং দেখা শুরু করলাম। পুরো এক্সিবিশনটা চক্বর দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতেই হাসিমুখে শেখ আফজাল ঢুকলেন।

তার সঙ্গে আমার আগে কখনও দেখা হয়নি। তবে আমি তার ছবি দেখেছি। সেখান থেকেই কথা বলার আগ্রহ। যে সময়ে বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিক শিল্পী অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট- এর দিকে ঝুঁকছেন, ঠিক তখন তিনি রিয়েলিস্টিক পেইন্টিংয়ে আগ্রহী কেন, তা আমার আগ্রহের মূল কারণ।

কোণার দিকের একটি সোফায় বসে চায়ের সঙ্গে চলল আলাপচারিতা।

মনে হলো আপনার চিত্রগুলোতে অনেক শিশু, শিশুর সঙ্গে সম্পর্ক, বাবা-মা বা প্রকৃতিতে একলা শিশু, আবার বিষন্ন শিশু। কেন এমনটা হলো? ভাবনাগুলোই বা কী?
শেখ আফজাল: ৯৩ সালের পর থেকে আমি শিশুদের নিয়ে কাজ করি। উমম না, ঠিক তাও নয়, আমি আগেও করতাম। আমার প্রথম ছবিটিও তাই। আমি একদম গ্রাম থেকে আসা। গ্রামের সাধারণ পরিবারে বাচ্চার জ্বর হলে বাবা-মা মাথায় পানি দিত। এসব দৃশ্য আমার দেখা। তখন প্রথম যে ছবিটা এঁকেছিলাম এতদিন পরেও সেই ছবিটাকে আমার অনেকটাই নির্ভুল মনে হয়। এখন আর্টের অনেক কিছু বদলেছে। কিন্তু তারপরও তখনকার আঁকা ছবিটা আমার কাছে এখনকার আঁকাগুলোর সঙ্গে খুব বড় কোনও ভিন্ন বিষয় নয়। খুব বেশি পার্থক্য নেই। অনেক কিছুর পর সেজন্য আমি রিয়েলিস্টিক ছবি আঁকি। শিশুরাও সেভাবেই আছে।

এমন কি হয় যে প্রজ্ঞার সঙ্গে সঙ্গে ছবির ধরন বদলায়? আপনার ক্ষেত্রে কী হয়েছে?
শেখ আফজাল: তা হয়। যখন মাস্টার্সে পড়ি, তখন হয়তো এতটা বুঝিনি যে আমি কী আঁকব বা মডার্ন ছবি কী? আজকাল সবাই মডার্ন ছবি বলতে অ্যাবস্ট্রাক্ট ফর্মটাকেই বোঝেন। কিন্তু সবই তো মডার্ন। অ্যাবস্ট্রাক্ট একটা লাইন, সুরিয়েল আরেকটা লাইন। যিনি যখন যেটা আঁকেন সেটাই আসলে মডার্ন। তবে উপস্থাপনার দিক থেকেই আমাদের বুঝতে হবে কোনটা মডার্ন, কোনটা কনটেম্পরারি।

শেখ আফজাল একটা ছবিতে দেখলাম মা অপেক্ষা করছেন। ছবির ক্যাপশন ‘ওয়েটিং’, এই অপেক্ষাটা কীসের?
শেখ আফজাল: আসলে এই অপেক্ষা হয়তো ‘সেই অপেক্ষা’। হয়তো মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া সন্তানের জন্য অপেক্ষা। আমি নিজে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। ফলে এমন একটা অনুভূতি থেকে ছবিটা আঁকা। একবার আমি বঙ্গবন্ধুর সামনে বসে ছবি এঁকেছিলাম। ঘটনাটা ৬৬ সালের। হরিনারায়ণপুর কুষ্টিয়া জেলায়। জায়গাটা আমার বাড়ি থেকে খুব কাছে। তখন ক্লাস ফোরে পড়ি। আমাকে আর্ট কলেজের কথা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন। বলেছিলেন জয়নুল আবেদীনের কথাও। বলেছিলেন, যেন আমি আর্ট কলেজে যাই, তিনি আমায় ভর্তি করিয়ে দেবেন। তেমনটি হয়নি। আমি ৭৬ সালে মেট্রিক পাস করি।

শেখ রাসেলকে নিয়েও আমার ছবি আঁকা আছে। আর বঙ্গবন্ধুর বুকের কাছে শিশু- এরকম একটি ছবিও আছে আমার। সেটি আমার শৈশবের সেই অনুভূতি থেকে আঁকা।

আপনার ছবি দেখলে মনে হয়, বাংলাদেশের গ্রামকে আপনি খুব কাছে থেকে দেখেছেন। বাংলাদেশের খুব কম শিল্পীই রিয়েলিস্টিক ছবি এঁকে থাকেন। কিন্তু আপনি এই ধারা বেছে নিলেন কেন?
শেখ আফজাল: আমাদের ধর্ম ইসলাম। সেখানে অনেক বিধি-নিষেধ আছে। সেটা হয়তো অনেকে ভাবেন। কিন্তু আসলে ছবিটা আঁকা যদি কারও মাথায় ঢুকে যায়, তখন আর এসব কাজ করে না। ছবিটা তার বিষয় হয়ে ওঠে। আঁকাটা ভালোবাসলে, প্রখরভাবে তা ধারণ করলে সে আর এসব কিছু নিয়ে ভাবে না।

আমি স্কলারশিপ নিয়ে জাপানে যাই পড়তে। ঢাকায় যে ধারায় ছবি আঁকতাম সেইটাকে খানিক ডেভেলপ করে একটু অ্যাবস্ট্রাক্ট ফর্মে আঁকতে শুরু করি। আমি সেখানে এনএএইচকে পুরস্কারও পেয়েছিলাম। কিন্তু আমার প্রফেসর ইয়ামামামাতো ফুমিহিগো আমার প্রোফাইল দেখার পর বলেছিলেন, আমি যে পুরস্কার পেয়েছি সেটা বড় বিষয় নয়। তিনি বলেছিলেন, তোমার যেটা কাজ সেটা করো। প্রতি রবিবারই আমাকে টোকিও যেতে হতো তার নির্দেশমতো। দেখতে হতো মানুষ, জনজীবন, পেশা, রং। তার সঙ্গে মিউজিয়াম আর গ্যালারিতে ছবি দেখা। এর পনেরো দিন পর তাকে ছবি দেখাতে বললেন। দেখালাম।

শেখ আফজাল সেই ছবিগুলো কি সেমি অ্যাবস্ট্রাক্ট ধরনের?
শেখ আফজাল: হ্যাঁ তেমনটাই। আমার শিক্ষক আমার প্রোফাইল দেখে বলেছিলেন, তুমি যেমনটা আঁকছ সেটা ঠিক তোমার ছবির মতন না। কিন্তু আমি ঠিক তখনও জানি না, আমি কী আঁকতে চাই বা সেটা হয়ে উঠছে কিনা। বুঝতেও পারছিলাম না ছবিগুলো কেমন হওয়া উচিত। অথচ আমি কিন্তু তখন বড় বড় ছবি আঁকি। এশিয়ান আর্ট ফেস্টিভ্যালেও ছবি দিয়েছিলাম। কিছু ফিগারও ছিল ছবিতে। খুব স্পস্ট নয় অবশ্য।

আপনি কি ছবিতে নিজের ছাপ রাখার কথা ভাবছিলেন? যাতে ছবি দেখেই বোঝা যায় এটা শেখ আফজালের ছবি?
শেখ আফজাল: হ্যাঁ, ঠিক তাই। আমি জাপানে অনেক পেইন্টিং দেখার পর আমার শিক্ষক বললেন, ‘এতদিনে তুমি যেটা আঁকতে চাও, মনে হয় তুমি সেটা আঁকতে পারবে।’ অর্থাৎ আমি একটি গাইডলাইন পেলাম। আমি পড়তাম সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ে। যেখানে গিয়াসউদ্দিন, জামাল ভাই বা মাহমুদুল হকের মতো মানুষেরা পড়েছেন। আমার শিক্ষক বললেন, ‘এখন যদি বাংলাদেশে ফিরে যাও তখন দেশের সঙ্গে তোমার এখনকার প্রশিক্ষণ মিললে তোমার মতো করে একটা কাজ দাঁড়াবে।’

যখন আমরা অন্য কোনও সংস্কৃতিতে যাই এবং সেই জায়গার শৈলী শিখি তখন কি আমাদের ওপর সেই দেশের শৈলীর বা ধারার প্রভাব পড়ে? আপনার ছবি আঁকার ক্ষেত্রে কি সেই প্রভাব পড়েছিল?
শেখ আফজাল: অবশ্যই। আপনি আমার ছবির টেকশ্চার দেখলেন না! এই ডেভেলপমেন্টটা আমার আগে ছিল না। জাপানের ছবি দেখার পর টেকশ্চারের বিষয়টি আমার ভালো লাগলো। এটি ছবিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করে। যেটি কিবরিয়া স্যারের ছবিতে ছিল। আমার মনে হলো, আমি এটা ব্যবহার করতে পারি। জাপানেও কনটেম্পরারি এবং রিয়েলিস্টিক ছবিতে এরা টেকশ্চার ব্যাবহার করে এবং খুব একাডেমিকেলি করে।

শেখ আফজাল আপনি ছবিতে ব্যবহার করেছেন ওয়াটার কালার, অ্যাক্রিলিক, অয়েল, মিক্সড মিডিয়া, প্যাস্টাল। তাই তো?
শেখ আফজাল: মূলত আমি জাপানে পড়ার সময় থেকে অয়েলেই কাজ বেশি করি। কিন্তু ওয়াটার কালারও আছে। ওটা ওপেকভাবে ব্যবহার করা হয়। কমবেশি আমি সব মিডিয়াতেই কাজ করি।

শুরুতেই আমি জানতে চেয়েছিলাম শিশুদের নিয়ে আপনার কাজ আছে সেই বিষয়ে। আরেকবার বলবেন?
শেখ আফজাল: ও হ্যাঁ। আমি বাচ্চাদের খুবই পছন্দ করি। আসলে ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের বিষয়গুলোই আমার পছন্দ। নানানভাবে বাচ্চাদের আদর করে বা বিরক্ত তরে দেখেছি তাদের নানান রকমের এক্সপ্রেশন। তাদের সঙ্গে আমি মিশি অন্যরকম করে। বাচ্চাদের ক্যারেকটার খুব আলাদা। সব প্রাণীর বাচ্চাদেরই। এদের শারীরিক গড়নও বড়দের থেকে খুব আলাদা। শরীরের প্রোপোরশনটাই আলাদা। মাথাটাই ধরেন তিন ভাগের এক ভাগ। তার মধ্যে এদের কোনও ভয়ডর নেই। কোনও একদিকে হয়তো হাঁটা শুরু করে দিল। এই বিষয়গুলো আমি খুব এনজয় করি। এটা একদম আলাদা ক্যারেকটার। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করতে আমার ভালো লাগে।

আপনার ছবিতে শিশুর পাশাপাশি নারীর উপস্থিতিও অনেক বেশি। যেমন একটা ছবি আছে, ‘প্রসন্না’জ ওয়ার্ল্ড’। সেই ছবিটা নিয়ে কিছু বলবেন?
শেখ আফজাল: প্রসন্না হলো মা। আর সন্তানের জন্য তার অপেক্ষা। এই ছবির উপস্থাপনাটা এমন। আমরা তো ছবি আঁকার সময় একাডেমিকভাবেই আঁকি, ছবির কম্পোজিশন, পার্সপেক্টিভ মেইনটেইন করি। প্রসঙ্গত, আমার শিক্ষক বলেছিলেন, তুমি কী আঁকছ বা ছবির গল্পটা মাথায় রেখো না। তোমার যা ভালো লাগে তাই তুমি ক্যানভাসে উপস্থাপন কর। আমি সেটা মাথায় রেখেছি। এটার সঙ্গে আমি টেকশ্চারও যোগ করেছি। যেমন এই ছবির ক্ষেত্রে একটি বাচ্চা মাথার ওপর আছে। সেটা কম্পোজিশনের কারণেই করেছি। তাতে করে একটা মডার্ন কম্পোজিশন তৈরি হয়েছে। আমি একটা বিখ্যাত ম্যুরাল দেখেছিলাম জাপানে। সেখানে অনেক ফিগার ছিল। তার ভেতরে একটা গল্পও ছিল। আসলে সেটা আলাদা করে তৈরি করা না। ছবির ভেতর দিয়ে গল্পটা এমনিই তৈরি হয়ে যায়। আমি পুরুষের ফিগার কমই আঁকি। কারণ, শিশু ও নারী আমার কাছে প্রশান্তির প্রতীক মনে হয়।

শেখ আফজাল ও বন্যা মির্জা আপনার ছবিতে বিশেষত গ্রামের ছবিগুলোতে কর্মজীবী মানুষকে বেশি দেখা যায়। যেমন- ‘নবান্ন’, ‘উইন্টার মর্নিং’, ‘বাফেলো বয়’, ‘লাইফ অব ফার্মার’, ‘ফ্যামিলি’, ‘ডেইলি লাইফ’ অথবা ‘জলকে চল’।
শেখ আফজাল: আমি তো গ্রামের ছেলে। গ্রামের এসব চিরচেনা দৃশ্যগুলো আমার ভেতরে গেঁথে আছে। সেগুলোই আমার ছবির বিষয় হয়ে আসে। আমি তো দশ বছর পর বাংলাদেশে এক্সিবিশন করছি। আমরা তো আর ওসব দৃশ্য পাব না। কিন্তু যদি সময়গুলো ছবির ভেতর দিয়ে গেঁথে রাখতে পারি তাহলে আমার ভালো লাগবে।

আপনার ছবিতে প্রচ্ছায়া আছে অনেক। প্রায় সব ছবিতেই। কী ভাবনা কাজ করে?
শেখ আফজাল: আমরা তো ছবি একভাবে দেখি, একটা ফ্ল্যাট স্পেইসে। সেটাকে রঙের মাধ্যমে থ্রি ডাইমেনশনাল করার চেষ্টা করি। আর প্রচ্ছায়াগুলোর কারণে আমার মনে হয় আমি মুভমেন্টটা দেখাতে পারি। বা কখনো কখনো তা কম্পোজিশনের জন্যও করে থাকি। ছোট্ট একটা ক্যানভাসকে জীবন্ত করে তুলতে এটা আমি করি। একটা জিজ্ঞাসাও তৈরি হয়। আমরা যখন গল্প পড়ি, গল্পটাকে আমরা আমাদের কল্পনা দিয়ে নানানভাবে দেখতে পাই। ছবিও তেমনি যখন যিনি দেখেন তিনি তার কল্পনা দিয়ে তার অর্থ তৈরি করতে পারেন।

কথায় কথায় সময় শেষ। তবু হয়তো আরও কথা থেকে যায়। শেখ আফজাল তার ছবিতে উপস্থাপন করেছেন তার দেখা চিরচেনা গ্রাম, গ্রামের কর্মজীবী মানুষ, আর মানুষের সম্পর্ক। তুলিতে রঙে অনবদ্য ৮০’র দশকের এই আঁকিয়ে সীমিত ক্যানভাসে তৈরি করেছেন পরিব্যপ্ত জীবনের গল্প। আর মায়া-মমতাময় মানুষের ছবি। শেখ আফজালের রিয়েলিস্টিক ফর্মের এই ছবি আমাদের মনে করিয়ে দেবে বাংলাদেশের জনপদ, জনজীবন বারবার। জয়তু শেখ আফজাল!

ছবি: সাজ্জাদ হোসাইন

/এজে/

সম্পর্কিত
আলাপচারিতায় ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম ও মানস ঘোষমুজিবনগরে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও সংবাদ সংগ্রহ
করারোপ নীতি শিক্ষা সম্প্রসারণকে বাধাগ্রস্ত করবে: সলিমুল্লাহ খান
বাংলা ট্রিবিউনকে ওয়াসিকা আয়শা খান‘নারীরা যে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়ে চলেছেন, এর নেপথ্যে শেখ হাসিনা’
সর্বশেষ খবর
ধানক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে বুনো হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
ধানক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে বুনো হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
কোনও রান না দিয়ে ৭ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে ইন্দোনেশিয়ার বোলারের বিশ্ব রেকর্ড
কোনও রান না দিয়ে ৭ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে ইন্দোনেশিয়ার বোলারের বিশ্ব রেকর্ড
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত