X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আগারগাঁওয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন আগামী ১৬ এপ্রিল

ইতিহাস জানতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে

সাদ্দিফ অভি
২৬ মার্চ ২০১৭, ১৮:৩৭আপডেট : ২৬ মার্চ ২০১৭, ১৮:৪০

ইতিহাস জানতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বহুল প্রতিক্ষিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবন উদ্বোধন হচ্ছে আগামী ১৬ এপ্রিল। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আধুনিক এই জাদুঘরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রোগ্রাম কো-অরডিনেটর রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মৌখিক সম্মতি পেয়েছি আমরা, চিঠিও তৈরি আছে আশা করছি সোমবারের ভেতর পেয়ে যাবো আমরা। নতুন ভবন উদ্বোধনের আগ পর্যন্ত গ্যালারী সেগুনবাগিচায় জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ১৬ তারিখ থেকে আমরা নতুন ভবনে চলে যাবো।” বর্তমানে শুধুমাত্র প্রশাসনিক কার্যক্রম নতুন ভবনে চলছে বলেও জানান তিনি।

২০০৮ সালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থায়ী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণে ০.৮২ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক জুরিবোর্ডের মাধ্যমে স্থাপত্য নকশা চূড়ান্ত করা হয়। ৭০টি নকশার মধ্যেস্থপতি দম্পতি তানজিম ও ফারজানার স্থাপত্যকর্মটি চূড়ান্ত হয়। ২০১১ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১২ সালে জাদুঘরের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নিচে তিনটি বেজমেন্ট সহ নয় তলা বিল্ডিং এর মোট জায়গা প্রায় ২লক্ষ বর্গফুট। ছয়টি গ্যালারী নিয়ে কার্যালয়, পাঠাগার, আর্কাইভ, স্টোর, অডিটোরিয়াম, উন্মুক্তমঞ্চ, ক্যান্টিন, গিফট শপ রয়েছে নতুন ভবনে। সম্পূর্ণ অনুদানে নির্মিত হচ্ছে নতুন ভবন। যে কেউ চাইলেই এর অংশীদার হতে পারে।

দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এর মাঝে ঘটে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধের অজানা অধ্যায়গুলো সংরক্ষণের জন্য জনগণের উদ্যোগে ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি দোতলা বিল্ডিং এ প্রতিষ্ঠা করা হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের পাশাপাশি এই জাদুঘর কাজ করেছে ইতিহাস সর্বস্তরে পৌঁছানোর। ২০০১ সালে দু’টি ভ্রাম্যমান বাসে করে দেশের বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজে প্রদর্শনী করা হত। এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রায় ৯ লাখের উপর শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানো হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। এর পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত ব্যাক্তি কিংবা পরিবারের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হচ্ছে যুদ্ধের ঘটনাবলি।মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দলিল, ঘটনা, ব্যবহৃত দ্রব্য ও অস্ত্রসামগ্রী, অত্যাচারের নিদর্শন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অমানবিক হত্যার নিদর্শনসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতিসংরক্ষিত থাকবে জাদুঘরে।

রবিবার বাদে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে সেগুনবাগিচার জাদুঘর।

/এফএএন/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পাঁচ মাস পর অবশেষে মুক্তির বার্তা
পাঁচ মাস পর অবশেষে মুক্তির বার্তা
এমপিপুত্র প্রার্থী হওয়ায় ‘আগুন জ্বলছে’ সেলিম প্রধানের গায়ে
এমপিপুত্র প্রার্থী হওয়ায় ‘আগুন জ্বলছে’ সেলিম প্রধানের গায়ে
ব্রাজিলিয়ানের গোলে আবাহনীতে স্বস্তি
ব্রাজিলিয়ানের গোলে আবাহনীতে স্বস্তি
স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করল ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভস্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করল ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
সর্বাধিক পঠিত
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!