‘নদী নালা খাল বিল গজারীর বন, টাঙ্গাইলের শাড়ি তার গর্বের ধন’- জনপ্রিয় এই প্রবাদ রয়েছে ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে। যেকোনো উৎসবে নিজেকে সাজাতে চাই টাঙ্গাইলের শাড়ি। আর উপলক্ষ যদি হয় পহেলা বৈশাখের মতো বাঙালি উৎসব, তবে পছন্দের টাঙ্গাইলের শাড়ি তো চাই-ই।
আর মাত্র কয়েকদিন পর বাংলা নববর্ষ। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লী। বৈশাখকে সামনে রেখে শাড়িতে যোগ হয়েছে বাহারি রং আর নতুন কারুকাজ। বৈশাখ উপলক্ষে মাস জুড়েই ব্যস্ততা থাকে টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লীর। বেশ কিছুদিন আগেই নিপুণ হাতে বৈশাখী শাড়ি তৈরির কাজ শেষ করছেন তাঁতিরা।
এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। শো-রুমগুলোতে উপচে পড়া ভিড়ই বলে দেয় আর মাত্র কয়েকদিন পরই নববর্ষ। টাঙ্গাইল সদরের বাজিদপুর,দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ও চন্ডী ও কালিহাতীর বল্লা রামপুরের তাঁত সমৃদ্ধ এলাকায় একই চিত্র দেখা যায়।
দেশের সবচেয়ে বড় তাঁতের শাড়ির হাট টাঙ্গাইলের করটিয়া ঘুরে দেখা যায়, বেশ সরগরম দোকানগুলো। শাড়ি বিক্রেতা মীর জাকির হোসেন বলেন,বর্তমানে স্থানীয় ও বহিরাগত অধিকাংশ গ্রাহকের চাহিদাই বৈশাখী শাড়ি। বিক্রির হারও বেড়েছে।
তাঁতশিল্পী লাভলু মিয়া বলেন,সামনে পহেলা বৈশাখ তারপর ঈদ। সব মিলিয়ে ব্যস্ততা অনেকটাই বেড়েছে।
শাড়ি তৈরির জন্য বুটি কাটা, সুতার বুনট তৈরি,নতুন নতুন নকশা তৈরিতেও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা। নকশা তৈরি করছিলেন আবুল হোসেন। তিনি জানান, বৈশাখী শাড়ি তৈরির জন্য নতুন নকশা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। এখন শুরু হচ্ছে ঈদের ব্যস্ততা।
টাঙ্গাইল শাড়ী ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন জানান,উৎসব অনুযায়ী টাঙ্গাইল শাড়ির কারুকাজ ভিন্ন হয়। বৈশাখকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল শাড়িতে যোগ হয়েছে ভিন্নধর্মী নকশা ও কারুকাজ। পুরো দেশেই সরবরাহ করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের শাড়ি।