X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১
লেখকের সৃষ্টির জায়গা তার পুণ্যভূমি

হরিপদ দত্তের সাক্ষাৎকার

সাক্ষাৎকার গ্রহণ : শারমিনুর নাহার
০৬ জুন ২০২৩, ১৭:০৩আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩, ১৭:৩১

কথাসাহিত্যিক হরিপদ দত্তের জন্ম ১৯৪৭ সালে নরসিংদীর পলাশ থানার খানেপুর গ্রামে। লেখালেখির হাতেখড়ি ছোটোবেলায় হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পড়াশোনা তাকে সাহিত্য রচনায় আরও নিবেদিত করেছে। ইতিহাস অনুসন্ধান, মহাভারতীয় রীতিতে গল্প বয়ান এবং যাদুবাস্তবতা তার উপন্যাসের মূল বৈশিষ্ট্য। ২০০৬ সালে তিনি কথাসাহিত্যে বাংলা একোডেমি পুরস্কার পান। ৪০টির বেশি উপন্যাসসহ ছোটোগল্প এবং প্রবন্ধ রচনা করেছেন। ২০১২ সালে তিনি ঢাকার আবাস ছেড়ে পরিবারের কাছে কলকাতা চলে যান। দীর্ঘ ১১ বছর পর গত সপ্তাহে তিনি দেশে এসেছেন।


শারমিনুর নাহার : প্রথমেই জানতে চাই, এগারো বছর পর দেশে ফিরে কেমন লাগছে?
হরিপদ দত্ত : নদীর চরে বা রাস্তাঘাটে কোনো শিশু হারিয়ে গেলে তার যে অনুভূতি—ভয়ার্ত, কম্পিত, উদ্ভ্রান্ত—বাবা-মাকে কাছে পাবার জন্য দিগ্‌বিদিক ছোটাছুটি; হয়ত চেনা বা অচেনা কেউ তাকে বাড়ির কাছাকাছি যখন পৌঁছে দেয়—তখন তার যে আনন্দ, তেমনই লাগছে; কষ্ট-আনন্দ মিলিয়ে এক মিশ্র অনুভূতি।
শিশুটি মায়ের কোলে ঝাঁপিয়ে পরে যেমন নিরাপত্তা বোধ করে ১১ বছর পর দেশে ফিরে তেমনই লাগছে। তবে রাস্তাঘাট, নগর, পরিকাঠামো সবকিছুর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। সবকিছু কেমন অচেনা হয়ে গেছে!

শারমিনুর নাহার : সবার মতো আমিও জানতে চাই, দেশ ছেড়েছিলেন কেন?
হরিপদ দত্ত : তুমি এটা ভালো করেই জানো, আমি অন্য দশটা মাইনরিটি মানুষের মতো দেশ ছেড়ে চলে যাইনি। আমাদের পরিবারও সেই কারণে দেশ ছেড়ে যায়নি। আমার বাবা ব্রিটিশ সরকারের চাকুরি করতেন। এক সময় অবসরে গেলেন। কিন্তু আমাদের যা ভূসম্পত্তি বা সবমিলিয়ে এমন অবস্থা যে, কোনোভাবেই ভারত যাবার কথা কেউ চিন্তাও করেনি। বাবা-কাকাদের যৌথ পরিবার ভেঙে যায় যখন উন্নয়নের নামে ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু হয়। আমাদের সব কৃষিজমি সেখানে চলে যায়। বিশাল একটা গ্রাম সরকার দখল করে নেয়। তখন সময়টা ছিল খুবই খারাপ, ১৯৬৫ সালের দাঙ্গা হয়ে গেছে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। আর কৃষিভিত্তিক একটি পরিবার তাদের জীবিকার প্রধান অবলম্বন হারিয়ে ফেলে। মাটির সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে। তারা কোনো রাজনীতি জানতেন না। কে জিন্নাহ, কে গান্ধি—এটা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা ছিল না। ভারতে চলে যাবার মূল বিষয়টাই ছিল অর্থনৈতিক। পশ্চিমবঙ্গের যেখানে বাবা-কাকারা গেলেন সেটা ছিল কৃষি প্রধান অঞ্চল।

শারমিনুর নাহার : এটা তো পরিবারের যাওয়া। আমি যতদূর জানি, আপনি যেতে চাইতে না। খুব কষ্ট করতেন, মেসে থাকতেন। ছেলেমেয়েরা বারবার বলার পরও যেতে রাজি ছিলেন না। পরে...
হরিপদ দত্ত : দেখো, আমি এখানে একা থাকতাম। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। কী ধরনের অসুখ সেটাও বুঝতে পারছিলাম না। পরে নিজেকে রাজি করিয়ে পরিবারের কাছে গেলাম। সেটাও একেবারে চলে যাবার জন্য যাইনি। যাবো, আবার চলে আসব ভেবেই গেলাম। কিন্তু যাওয়ার পর আরও অসুস্থ হয়ে গেলাম। প্রথমে নিউমোনিয়া হলো। মারাত্মক ধরনের। এরপরে কিডনির সমস্যা। দীর্ঘদিন চিকিৎসার মধ্যে থাকতে হয়। পরে সুস্থ হলে পাসপোর্টের জটিলতা দেখা দিলো, আবার ছেলেমেয়েরা কোনোভাবেই ছাড়তে চাইলো না। তাদের বিয়ে-সংসার সবই হলো। কিন্তু আমার অনেক ক্ষতি হলো। কোনো নতুন সৃষ্টি হলো না।
আমি সত্যিই কলকাতার জন্য কোনো লেখা লিখিনি। সেখানকার পত্রিকা, লেখক, বুদ্ধিজীবীমহল কারো সঙ্গেই আমার যোগাযোগ নেই। যেটুকু লিখতাম ঢাকায় পাঠিয়ে দিতাম। তবে উপকার একটা হয়েছে, সত্যি বলতে গেলে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় কলকাতা ঢাকার চেয়ে অনেক এগিয়ে। ফলে ওখানে হাত বাড়ালেই নানা বইপত্র পাওয়া যায়। বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষের সঙ্গে মেলামেশা না থাকলেও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার সঙ্গে যোগাযোগ ঠিকই ছিল।

শারমিনুর নাহার : দীর্ঘদিন পর ২০২৩-এর একুশে বইমেলায় আপনার নতুন উপন্যাস এসেছে। আর কী করতেন ওখানে?
হরিপদ দত্ত : মজার বিষয় হল, একবার আমার মনে হলো বয়স হয়েছে এবার একটু ধর্মকর্ম করা দরকার। এটা করোনা শুরু হওয়ার দুই বছর আগের কথা। মনে হলো, আমার সৃষ্টির জন্য পুণ্য অর্জন দরকার আছে। আমি পা বাড়ালাম—প্রথম যে তীর্থস্থানে গেলাম তার নাম শান্তিপুর। মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের বাড়ি, প্রথম মুসলমান লেখকের হাতে রচিত উপন্যাস ‘জোহরা’র লেখক। ওটাই আমার ধর্মস্থান। তীর্থ মানে আমার কাছে গয়া-কাশী-বৃন্দাবন নয়; লেখকের জন্য, লেখকের সৃষ্টির জায়গা তার পুণ্যভূমি, এটা আমি মনে করি। ওটাই আমার ধর্মস্থান। এর পরে গেলাম চৈতন্য দেবের আন্দোলনের স্থানে, নদীয়া। গেলাম কৃত্তিবাস ওঝার ওখানে। কৃত্তিবাস ওঝার জন্মস্থানে। একটা বটগাছ আছে। বটগাছের সঙ্গে একটা সাইনবোর্ড লাগানো। লেখা ‘এই বটবৃক্ষের নিচে বসিয়া মহাকবি কৃত্তিবাস রামায়ণ রচনা করিয়াছিলেন।’ নিচে সংস্কৃতেও লেখা আছে। দেখলাম গাছের ওখানে একটা ফুটা আছে। ওখানকার কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞেস করলাম ফুটা কেনো, সে বলল ভেতরের গাছটাই মূল গাছ। যেটা দেখতে পাচ্ছেন সেটার বয়স বড়োজোড় ৭০ বছর হবে। মূল গাছটাই ভেতরে। উপরেরটা নবীন গাছ। বটগাছ তো একজন আর একজনকে জড়িয়ে থাকে। এভাবেই তারা হাজার বছর টিকে থাকে। ওখানে একটা লাইব্রেরিও আছে। যদিও তেমন কিছু নেই, কিন্তু যেটা অবাক করল তা হলো, অনেকগুলো কবর ওখানে। কবরগুলো চৈতন্য দেবের শিষ্যের। হুসেন শাহ, হরিদাস, বলবান হরিদাসের। ভেতরের দিকে আরো আছে, যেতে পারলাম না; ঘন জঙ্গল হয়ে গেছে। এটা সাহিত্যের জায়গা। সেই বটবৃক্ষের উপরে একটি বেদি বাঁধানো আছে। সেই বেদির উপর বসে ভাবলাম, এখানেও হয়ত লেখা থাকতে পারত, ‘এই বটবৃক্ষের তলায় বসিয়া হরিপদ দত্ত জন্ম জন্মান্তর উপন্যাস রচনা করিয়াছিলেন’। এমন যদি হত খুব ভালো হত। হা হা হা।

শারমিনুর নাহার : চৈতন্য দেবের শিষ্যদের কবর দেয়া হত?
হরিপদ দত্ত : কবর দেয়া হত, কারণ ওরা সাধু, বৈষ্ণব। ওদের পোড়ানো হয় না। কবরগুলো সরকারিভাবে দেখাশোনা করা হয়। কবি জয়দেবের তীর্থ বীরভূম; সেখানে ভোজপুরি ভাষা। যেটা রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের মূল জায়গা। ওখানে একটা ভাঙা মন্দিরের মতো আছে। এই জায়গাগুলো আমার কাছে তীর্থস্থানের মতো। এই জায়গাগুলোতে গেলে প্রেরণা পাওয়া যায়। সাহিত্যের প্রেরণা পাওয়া যায়।

শারমিনুর নাহার : এভাবে ২ বছর ঘুরেছেন?
হরিপদ দত্ত : আরও ঘুরেছি। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘হাসুলী বাঁকের উপকথা’ আমার অত্যন্ত প্রিয় উপন্যাস। বীরভূম, যেখানের কথা এই মহাকাব্যিক উপন্যাসে বলা হয়েছে। জঙ্গল এলাকা। বাঙালি, সাঁওতাল, কাহার পাশাপাশি দীর্ঘ বছর বসবাস করে।

শারমিনুর নাহার : সেই হাসুলির বাঁকটা আছে?
হরিপদ দত্ত : আরে বাঁকটা হলো অনেকটা কল্পনা। কোপাই নদীটা শান্তিনিকেতন যাবার পথে দেখা যায়। আমি যখন গেলাম তখন শীতকাল। পানি তেমন নেই। হাঁটতে হাঁটতে দেখলাম নদীর চরার ওপারে একটা বটগাছ আর তার সঙ্গে লাগোয়া একটা দহ। গভীর দহ, দূর থেকে দেখা যায়। হেঁটে ওদিকে যাওয়া নিষেধ, চোরাবালি আছে। উপন্যাসে কালো বউ, নাম নয়ান—যে পরকীয়া করে ধরা পড়ে, পরে একটা জায়গায় বটগাছের কাছে সাপ তাকে ছোবল মারে, পরে দহের মধ্যে পড়ে মারা যায়। হেঁটে গিয়ে ওই দহের কাছে যাবার পর মনে হলো এটা সেই জায়গা। তারাশঙ্করের বর্ণনার সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। ওখানে বটগাছ আছে অনেক। দহও অনেক আছে। হয়ত ওটা নয়—ওটার মতো। কবির কল্পনা যখন মানুষকে স্পর্শ করে তখন এমন হয়।
আমার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের একটা অংশ চুঁচুড়ার দিকে থাকে। এই স্টেশন দিয়ে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ বহুবার গিয়েছেন। ওয়ালীউল্লাহর বাবা ব্রিটিশ সরকারের চাকুরি করতেন। ওয়ালীউল্লাহ্ থাকতেন ওনার সঙ্গে। ওই পথে কলকাতা আসতেন যেতেন। একটি তুলসী গাছের কাহিনী গল্পে যে চরিত্রগুলো পাওয়া যায়—ওই যে গৃহকর্তী দেশভাগের পর ট্রেনে করে চলে গেলেন; কোথায় গেলেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ জানেন না। কিন্তু যখন সন্ধ্যায় তুলসী গাছের কথা বললেন—এখানে যে লিলুয়া, বৈদ্যবাটি, সেখানে গিয়ে ঠিক একটা বাড়ি দেখে আমার বারবার গল্পটির কথা মনে হতে লাগল। আমি সেই বৈদ্যবাটি স্টেশনে নেমে গেলাম। দেখি কী হয়। মুশকিল হলো ওসব জায়গায় মিশতে গেলে একটা ভাষা লাগে। জোর করে হলেও উত্তরবঙ্গীয় ভাষায় বলবার চেষ্টা করলাম। একজনকে বললাম ওই পাশে যাবার পথ কোনটা? তখন সে বলল, আপনি কেনো যাবেন? আমি বললাম, ওই যে বাড়ির উঠান, ওখানে একটু যাবো। উঠানে একটা শাড়ি আড়াআড়ি করে মেলে দেয়া। মনে হলো একটা গৃহস্থ বাড়ি। ঠিক গল্পে যেমন আছে। কোনও রকম ঢুকেই যাচ্ছিলাম, পেছন থেকে একজন ডাক দিলো, কেনো যাবেন, কী কাজ? কোথা থেকে এসেছেন? বললাম, পাশের গ্রামে আমার আত্মীয় থাকেন। এখানে একটু বেড়াচ্ছি। যাই হোক নানা প্রশ্ন। আর তর্ক করলাম না। কিন্তু দেখো ওয়ালীউল্লাহ্ গল্পটা লিখছেন ১৯৪৮ কিন্তু আমি এখন তাড়িত হচ্ছি। সাহিত্য কীভাবে মানুষকে আকর্ষণ করে, কীভাবে বিভ্রান্ত করে, আমিই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

শারমিনুর নাহার : এখন কী লিখছেন?
হরিপদ দত্ত : এবার একুশে বইমেলায় বেরিয়েছে ‘চার পৃথিবীর মানুষ’ এটি আমার শেষ উপন্যাস। এর পরে আর লিখতে পারবো না। উপন্যাস লেখার মতো ধৈর্যশক্তি আমার ফুরিয়ে গেছে। আমার পক্ষে আর উপন্যাস লেখা সম্ভব নয়।

শারমিনুর নাহার : এমন কেনো বলছেন, দাদা? মাহমুদুল হকের মতো কোনও পুনরাবৃত্তি সংক্রান্ত বিষয় নয় তো?
হরিপদ দত্ত : না, এখন মানসিক শক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। আমি তো আর কোনো কাজ করিনি। সারাজীবন লেখার কাজই করেছি। কিন্তু এখন দেখি আমার সামর্থ্য কমে গেছে। খেই হারিয়ে ফেলি। এবার ঈদ সংখ্যায় তিনটা গল্প লিখেছি। এবার ফিরে গিয়ে ওসব নিয়ে বসব। ভাষা ও আঙ্গিকের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করবো। দেখি কতটুকু হয়।

শারমিনুর নাহার : আপনার শুরুর লেখা ‘জন্ম জন্মান্তর’ থেকে একেবারে এখন পর্যন্ত শেষ লেখাটা ‘চার পৃথিবীর মানুষ’ পর্যন্ত যদি ধরি, আপনি কীভাবে নিজেকে মূল্যায়ন করবেন?
হরিপদ দত্ত : নিজের লেখা নিয়ে আমার ভীষণ অতৃপ্তি আছে। এই অতৃপ্তিটা খুব ক্ষতি করে আমার। আমার আত্মীয়ের মধ্যে একজন মানসিক ডাক্তার আছেন, তাকে বলেছিলাম, ‘আমি খুব দুঃস্বপ্ন দেখি।’ তিনি আমাকে নানা রকম প্রশ্ন করেছেন, সেসব প্রশ্নের উত্তর খোলাখুলি বলা যায় না। বলেছিল, আমি অবাস্তব জগতে বাস করি। যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই।

শারমিনুর নাহার : কোনো অতৃপ্তি আছে?
হরিপদ দত্ত : জানি না, বুঝি না। আমার কোনও কিছু চাওয়া-পাওয়া নেই।

শারমিনুর নাহার : তরুণদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।
হরিপদ দত্ত : এখানে তরুণদের ব্যবহার করা হচ্ছে। পরিস্থিতি আসলে মানুষকে বাধ্য করে। আমি এখন এই বাস্তবতায় কোনো তরুণকে বলব না, সেই তিরিশ দশকে মতো ছাত্র আন্দোলন করো। তখন পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। ঔপনিবেশিক শক্তি ক্ষমতায় ছিল। শত্রু-মিত্র চিহ্নিত ছিল। এখন স্বাধীন দেশ। আন্দোলন করতে হবে অন্যভাবে। কিন্তু সেই অন্যভাবে করাটাই জটিল হয়ে গেছে টেকনোলজির কারণে। টেকনোলজি মানুষকে বদলে দিয়েছে। মানুষ যা ভাবে টেকনোলজি তার আগে চলে যায়। টেকনোলজির কাছে সে পরাজিত। এখন সে নিজের বিরুদ্ধে লড়াই করবে নাকি টেকনোলজির বিরুদ্ধে লড়াই করবে?
শিল্প-সাহিত্য এমন একটা জিনিস মানুষ যতদিন টিকে থাকবে, এটাও থাকবে। কোন ফর্মে থাকবে সেটা হয়ত তখন দেখা যাবে। তোমরা তোমাদের কাজ করে যাও। সাহিত্য সৃষ্টি করো। নিজেদের সৃজনশীল রাখার চেষ্টা করেই যেতে হবে। কিন্তু আবার খেয়ে পরে বাঁচতে হবে। ক্ষুধার অন্ন জোগাবে নাকি মনের ক্ষুধা মেটাবে? দুটোর সমন্বয় করে চলতে হবে। কাউকে নকল করতে যেও না। প্রভাবিত হতে পারো। নকল হুবহু বিষয় আর প্রভাবিত হলো মুগ্ধতা।  

শারমিনুর নাহার : আবার কবে আসবেন?  
হরিপদ দত্ত : আগামী বইমেলায়, মানে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসার চেষ্টা করব।

শারমিনুর নাহার : আমাকে সময় দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
হরিপদ দত্ত : তোমাকেও ধন্যবাদ।

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বরুণের স্পিনের পর সল্ট ঝড়ে দিল্লিকে হারালো কলকাতা
বরুণের স্পিনের পর সল্ট ঝড়ে দিল্লিকে হারালো কলকাতা
বেতন বৈষম্যে উচ্চশিক্ষার মান হারাচ্ছে বেসরকারি কলেজগুলো
বেতন বৈষম্যে উচ্চশিক্ষার মান হারাচ্ছে বেসরকারি কলেজগুলো
খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে ক্যাশলেস লেনদেন চালু
খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে ক্যাশলেস লেনদেন চালু
ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবা উদ্ধার, নদীতে ঝাঁপিয়ে পালালো পাচারকারীরা
ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবা উদ্ধার, নদীতে ঝাঁপিয়ে পালালো পাচারকারীরা
সর্বাধিক পঠিত
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
আজ কি বৃষ্টি হবে?
আজ কি বৃষ্টি হবে?
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে