যুদ্ধসন্তানদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন করেছে নারীপক্ষ। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানের সঙ্গে আলোয় ভরে ওঠে এই প্রাঙ্গণ।
১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিবছর বিজয়ের মাসে একেকটি প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘আলোর স্মরণে কাটুক আঁধার’ আয়োজন করে আসছে নারীপক্ষ। এবারের প্রতিপাদ্য ‘একাত্তরের যুদ্ধসন্তানদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি’।
অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নারীপক্ষের সদস্য ও সাবেক সভানেত্রী রেহানা সামদানী কণা। তিনি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নারীপক্ষ থেকে সরকারের প্রতি দুটি আহ্বান জানান। দাবি দুটি হলো- ১. দত্তকসূত্রে বিদেশে অবস্থানরত সকল যুদ্ধসন্তানকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নাগরিকত্ব গ্রহণের জন্য উন্মুক্ত আহ্বান জানানো। ২. রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির মাধ্যমে দেশে বসবাসরত যুদ্ধসন্তানদের পরিচয়কে সম্মানসূচক অবস্থানে স্থাপনের জন্য সামষ্টিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
নারীপক্ষের সদস্য কামরুন নাহারের সঞ্চালনায় কবিতা আবৃত্তি করেন আসমাউল হুসনা আঁখি, ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়। গান গেয়ে শুনিয়েছেন সোমা দাস। স্মৃতিচারণ করেন যুদ্ধসন্তান নিমসানা আক্তার খানম ও মুক্তিযোদ্ধা সুধীর।