মিয়ানমার সংকট এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর ওই সংকটের প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিল্লিতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়েও আলোচনা হয় এবং এই ইস্যুতে ভারতের সহায়তা চায় বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুই দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক তৈরি করার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ, তিস্তা ও গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কানেকটিভিটি, বিদ্যুৎ-প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উপ-আঞ্চলিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় সহযোগিতা করার বিষয়ে উভয় মন্ত্রী একমত হয়েছেন।
রমজান মাসসহ অন্যান্য সময়ে বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য যেন স্থিতিশীল থাকে সেজন্য ভারত থেকে নিরবচ্ছিন্ন পণ্য সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য ভারতকে অনুরোধ জানায় হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে বাংলাদেশি বিভিন্ন পণ্যের শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করার জন্য অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
তিস্তা চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার ওপর জোর দেন হাছান মাহমুদ। এছাড়া গঙ্গা চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে এবং এর নবায়নের ওপর জোর দেন তিনি।
ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) হাতে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয় এবং উভয় দেশ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষযে একমত হয়। এছাড়া সীমান্তে প্রাণঘাতি নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার নিয়েও আলোচনা হয় যাতে করে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা যায়।
বাংলাদেশে একটি সফল নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিনন্দন জানান। ভারতীয় ঋণের অধীনে বিভিন্ন প্রকল্প কীভাবে দ্রুত সম্পন্ন করা যায় সেটি নিয়েও আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন- হাছান মাহমুদ-জয়শঙ্কর বৈঠক: মিয়ানমার ইস্যুতে ভারতকে পাশে চায় বাংলাদেশ