X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে আলাদা ইউনিট প্রয়োজন: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

আমানুর রহমান রনি
২৩ মে ২০১৬, ০৭:৫১আপডেট : ২৩ মে ২০১৬, ০৮:০৭

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো সুষ্ঠুভাবে তদন্তের জন্য একটি আলাদা ইউনিট প্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান য়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান। মঙ্গলবার মিরপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সে বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। তার সাক্ষাৎকারটি পাঠকের জন্য প্রশ্ন-উত্তর পর্ব করে তুলে ধরা হলো।

বাংলা ট্রিবিউন: কেমন আছেন?

মহাপরিচালক: জ্বি, ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?

বাংলা ট্রিবিউন: আমিও ভালো আছি।

মহাপরিচালক: সমস্যাতো অনেক। কোন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন? দ্রুত শুরু করুন।

বাংলা ট্রিবিউন : হ্যাঁ, দ্রুত শুরু করবো। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস প্রায়ই সময় মত ঘটনাস্থলে যেতে পারে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগকে আপনি কিভাবে দেখেন?

আরও পড়তে পারেন: পালিত হলো পবিত্র শবে বরাত

মহাপরিচালক: দেখুন, ভুক্তভোগীরা বিপদের সময় অনেক কথাই বলেন। ক্ষতির সম্মুখীন মানুষগুলো তার সম্পদ বাঁচানোর জন্য দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা চান। তবে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করি। যেকোনও অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই।

বাংলা ট্রিবিউন: তাহলে অভিযোগের কি কোনও ভিত্তি নেই?

মহাপরিচালক: কোনও কোনও ক্ষেত্রে থাকতে পারে। তবে তা কর্মীদের জন্য না। যানজট, সরু সড়কের কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতো কখনও কখনও একটু সময় লাগে। তারপরও আমরা চেষ্টা করি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর। তাছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ভুক্তভোগীরাই আগুন নেভানের চেষ্টা করেন। যখন আর তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না, সেই মূহুর্তে খবর দেন। তখন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

বাংলা ট্রিবিউন: আগুন নিয়ন্ত্রণে কর্মীরা কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন?

মহাপরিচালক: অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো সাধারণত শুষ্ক মৌসুমে বেশি ঘটে। এ সময় পানিরও সংকট থাকে। রাজধানীতে মূল সমস্যা পানির সংকট। প্রকৃত পানির উৎসগুলো এখানে নেই বললেই চলে। বড় কোনও পুকুর নেই, ঝিল নেই। এমনকি যেসব বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে সেই বাড়িতেও পানির রিজার্ভের কোনও চেম্বার পাওয়া যায় না। আমরা এতোটাই অসচেতন যে সবকিছু ধ্বংস করে ফেলছি। জলাধারগুলো ভরাট করে ফেলা হয়েছে। তারপরও সরকার চেষ্টা করছে জলধারগুলো ঠিক রাখতে। দখল হওয়াগুলো উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। হাতিরঝিল, গুলশান, ধানমন্ডি ও বনানী লেক সংস্কার করছে। ঢাকার চারপাশের নদীগুলো রক্ষা করার চেষ্টায় প্রকল্প নিচ্ছে। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি জলাধারগুলো প্রস্তুত রাখতে হবে।  

বাংলা ট্রিবিউন: ঘটনার পর তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে আসে না। ফলে কারণও জানা যায় না। তাছাড়া ঘটনার পর নাশকতার অভিযোগ উঠে।

আরও পড়তে পারেন: বিএনপি দমনে মামলাকেই ‘অস্ত্র’ ভাবছে আ. লীগ

মহাপরিচালক: এ অভিযোগটি সত্য না। সব ঘটনার তদন্ত হয়। সেই রিপোর্ট আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে জমা দেই। তদন্ত রিপোর্টে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও আমাদের পরামর্শ থাকে। তবে আমাদের জনবল কম থাকায় কখনও রিপোর্ট জমা দিতে একটু দেরি হয়। কারণ যারা তদন্ত করে তারাই আগুন নিয়ন্ত্রণেরও কাজ করে। এতো ঘটনা ঘটে যে তারা সময় নিয়ে তদন্ত করতে পারেন না। তাই আমরা সুপারিশ করেছি, তদন্তের জন্য আলাদা একটি ইউনিট গঠনের। যারা অগ্নিকাণ্ডের পর শুধু তদন্ত করবে। বিশ্বের অনেক দেশেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে আলাদা ইউনিট আছে। আমরাও চাই এমন একটি ইউনিট গঠন হোক। তাহলে কাজে আরও গতি আসবে।

বাংলা ট্রিবিউন: অগ্নিকাণ্ডের সময় প্রয়োজনীয় যন্ত্রাপাতি ও দক্ষ জনবলের অভাব দেখা যায় কেন?

 সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন আমানুর রহমান রনি মহাপরিচালক: দেখুন, এক সময় ছয়তলা ভবনের ওপরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করতে পারতাম না। তবে এখন আমরা ২০ তলা ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে পারি। এধরণের দু’টি যন্ত্রের ব্যবস্থা সরকার করেছে। আমাদের সদস্যদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হচ্ছে। তারা চীন, জাপান, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসছেন। ভালো কাজ করছেন। তবে আমাদের জনবল কম। জনবল বাড়াতে হবে। শহর, নগরের পরিধি বাড়ছে, তাই জনবলও বাড়াতে হবে।

বাংলা ট্রিবিউন: জনবল বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে কি না?

মহাপরিচালক: হ্যাঁ, জনবল বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে অন্যান্য বাহিনীর জনবলের মত এটা ওইভাবে হয়তো গুরুত্ব পাচ্ছে না। তারপরও জনসংখ্যা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে ফায়ার সার্ভিসেরও জনবল বাড়াতে হবে। এক সময় ফায়ার সার্ভিস অবহেলিত ছিল, এখন আর নেই। এখন এখানে বরাদ্দ ও প্রশিক্ষণ বাড়ানো হয়েছে।

বাংলা ট্রিবিউন: অগ্নিকাণ্ডের পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য আর কি প্রস্তাব আছে আপনার?

মহাপরিচালক: রাজধানীতে আরও সাতটি ফায়ার স্টেশনের কথা বলেছি আমি। আমাকে আর সাতটি স্টেশন দিলে আমি আরও দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে পারব। যেমন, ফার্মগেটের গ্রিনরোড, কেরানীগঞ্জ, কমলাপুর ও গুলশান, বারিধারা ও উত্তরায়। এসব এলাকার পরিধি বেড়েছে। সেখানে ফায়ারস্টেশন দরকার।

বাংলা ট্রিবিউন: বর্তমানে সারাদেশে ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা ও জনবল কত?

মহাপরিচালক: সারাদেশে বর্তমানে চালু ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা ২৯১ টি। কর্মরত জনবল প্রায় ৮ হাজার। বর্তমান সরকারের আমলে ৮০টি ফায়ার স্টেশন নির্মিত হয়েছে।

বাংলা ট্রিবিউন: নতুন কি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে?

মহাপরিচালক: মাননীয় প্রধানন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী চারটি প্রকল্পের অধীনে দেশের প্রতিটি উপজেলায় নূন্যতম একটি ফায়ার স্টেশন স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা হবে ৫৪৯টি। জনবলও বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ হবে।

বাংলা ট্রিবিউন: অগ্নিকাণ্ডে ও দুর্যোগমোকাবেলায় আপনারা কী কী কাজ করছেন?

মহাপরিচালক: মানুষকে সচেতন করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রশিক্ষিত সেচ্ছাসেবক দল গড়ে তুলছি। সারা দেশে ৮৫ হাজার ৬৪০ জনকে আমরা দুর্যোগ বিষয়ে সচেতন করেছি। যারা অন্যকে সচেতন করবেন। ৬২ হাজার প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক তৈরির লক্ষ্য নিয়ে ইতিমধ্যে আমরা ৩২ হাজার সেচ্ছাসেবক তৈরি করেছি। প্রতিমূহুর্ত আমাদের দেশে দুর্যোগ আঘাত হানছে। তবে তা মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল।

বাংলা ট্রিবিউন: কাজ করতে গিয়ে আপনারা কি ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হন?

মহাপরিচালক: আসলে আমাদের অনেক কিছু মাথায় রেখে সমস্যার কথা বলতে হবে। আমাদের অর্থনৈতিক, আর্থ-সামাজিক ও নৈতিকতার বিষয়টি ভেবে সমস্যার কথা বলতে হবে। আমাদের দেশে এখনও মানুষ বিল্ডিংকোড না মেনে ভবন বানাতে উৎসাহী হয়। এরকম ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। সড়কগুলো প্রশস্ত করতে হবে। তা না হলে আমাদের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারবে না। অনেকে ভবনের জন্য প্লান পাস করিয়ে নিলেও আবার সেইভাবে ভবন তৈরি করে না। এটাও সমস্যা। তাই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নতুন হাউজিং কোম্পানিগুলো ফায়ার স্টেশনের কোনও জায়গা রাখছে না। এটাও আমাদের ভাবতে হবে। বড় বড় হাউজিং হচ্ছে অথচ তারা থানা, ফায়ার স্টেশনসহ জরুরি সার্ভিসের জন্য কোনও সার্ভিস বাহিনীকে জায়গা দিচ্ছে না।

বাংলা ট্রিবিউন: ভূমিকম্প মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস কি প্রস্তুত?

আরও পড়তে পারেন:দেড়শো কোটি টাকার ক্ষত রেখে গেলো রোয়ানু
মহাপরিচালক:
আমি আগেই বলেছি, আমাদের বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করতে হবে। ভূমিকম্পের সময় করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা মানুষকে সচেতন করছি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলার জন্য সরকারকে বলছি। সেগুলো ভেঙ্গে ফেলার কাজ চলছে।

বাংলা ট্রিবিউন: আর কি ধরণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন?

মহাপরিচলাক: আমরা প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ্যবইয়ে বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত করেছি। শিশুরা সচেতন হচ্ছে। আমরা পোশাক কারখানাগুলোর জন্য ওই ধরণের ভবন নির্মাণের সুপারিশ করেছি যা ঝাকুনি সহ্য করতে পারবে। কারণ দেশের অর্থনীতির বড় অংশ পোশাক কারখানার ওপর নির্ভর করে। আমরা স্কুলগুলোকেও ভূমিকম্প সহনীয় করে নির্মাণের কথা বলেছি। কারণ আমাদের একটা প্রজন্ম সবসময় স্কুলে থাকে। তারা যেন ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তাহলে একটি প্রজন্ম আমাদের ধ্বংস হয়ে যাবে। এছাড়াও প্রায় ১০০ কোটি টাকার তাবু ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে মানুষকে আশ্রয় দেওয়া যেতে পারে। 

বাংলা ট্রিবিউন: তাহলে আমরা বলতে পারি দুর্যোগ মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রস্তুত?

মহাপরিচালক: দুর্যোগ কখনও বলে কয়ে আসে না। তবে আমরা প্রস্তুত। দুর্যোগে দেশের মানুষও সহায়তা করে। তারা বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যা বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রে দেখা যায় না। আমরা মানুষকে সেবা দিতে প্রস্তুত। তবে মানুষকে সময় মত বিপদের কথা জানাতে হবে। এজন্য আমাদের হট লাইন ২৪ ঘণ্টা খোলা রয়েছে। ফোন দিলেই সেখান থেকে উত্তর পাবে।

বাংলা ট্রিবিউন: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মহাপরিচালক: আমি চাই মানুষ সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিস সম্পর্কে আরও বেশি জানবে। বাংলা ট্রিবিউনকেও ধন্যবাদ।

ছবি তুলেছেন: নাসিরুল ইসলাম

/এআরআর/এসএনএইচ /এমএসএম /

সম্পর্কিত
আলাপচারিতায় ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম ও মানস ঘোষমুজিবনগরে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও সংবাদ সংগ্রহ
করারোপ নীতি শিক্ষা সম্প্রসারণকে বাধাগ্রস্ত করবে: সলিমুল্লাহ খান
বাংলা ট্রিবিউনকে ওয়াসিকা আয়শা খান‘নারীরা যে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়ে চলেছেন, এর নেপথ্যে শেখ হাসিনা’
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা