X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিসিআইএম প্রতিষ্ঠার সময়সীমা চেয়েছে বাংলাদেশ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৬ এপ্রিল ২০১৭, ০০:৪১আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০১৭, ০১:৩২

বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোর বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার ইকোনোমিক করিডর (বিসিআইএম ইসি) এই চারটি দেশের জনগণের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়তা করবে বলে মনে করে বাংলাদেশ। এই অর্থনৈতিক করিডোর প্রতিষ্ঠার জন্য সুনির্দিষ্ট সমসয়সীমা চেয়েছে ঢাকা। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) কলকাতার গ্র্যান্ড ওবেরয় হোটেলে এই চার দেশের প্রতিনিধিদল দুই দিন ধরে বিসিআইএমের ওপর করা স্টাডি নিয়ে একটি চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করার জন্য বৈঠকে মিলিত হন। ওই বৈঠকেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সময়সীমা চাওয়া হয়েছে।
শ্রীলঙ্কাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান রিয়াজ হামিদুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট সময়সীমা ও পথনির্দেশনা এবং ফলাফল দিতে সক্ষম ও সবার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য একটি ব্যবস্থার কথা বলেছি, যার মাধ্যমে আমরা এটি প্রতিষ্ঠা করার প্রক্রিয়া শেষ করতে পারি।’
রিয়াজ হামিদুল্লাহ আরও বলেন, ‘বিসিআইএমের আগের বৈঠকটি হয়েছিল ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে এবং গত ২৮ মাসে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এ সময়ের মধ্যে চারটি দেশের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক দ্বিপাক্ষিক সফর হয়েছে এবং নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হয়েছে।’
গত ২৮ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করেছেন, চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ঢাকা সফর করেছেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভারত সফর করেছেন। এছাড়া, অন্য দেশগুলোতেও এ ধরনের শীর্ষ পর্যায়ের সফর হয়েছে।
হামিদুল্লাহ বলেন, ‘বিসিআইএমের বিষয়ে চারটি দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা চেষ্টা করছি এর একটি চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করে রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে পেশ করার জন্য।’ তিনি জানান, মঙ্গলবার বাংলাদেশ তিনটি চ্যাপ্টারের ওপর রিপোর্ট দিয়েছে। এর মধ্যে একটি রিপোর্ট বিসিআইএমের কাঠামো সংক্রান্ত। বুধবারও এটি নিয়ে আলোচনা হবে।
এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বৈঠকে চীন বিসিআইএম প্রতিষ্ঠার জন্য দ্রুত একটি আন্তঃসরকার চুক্তি করার তাগাদা দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’ বিষয়টি নিয়ে সম্ভবত এখন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এবারের বৈঠকে বিসিআইএমের মোট ১১টি বিষয়ের মধ্যে চারটি বিষয়ের ওপর সামগ্রিক রিপোর্ট দেবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে থাকবে বিসিআইএমের উদ্দেশ্য, ধারণা (কনসেপ্ট), পরিধি, কার্যক্রম পরিচালনার নীতি, টেকসই উন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো। অন্যদিকে, বিনিয়োগ ও অর্থসংস্থান এবং যোগাযোগ নিয়ে চীন; জ্বালানী ও বাণিজ্য নিয়ে ভারত এবং সামাজিক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, মানুষে-মানুষে যোগাযোগ ইস্যু নিয়ে রিপোর্ট দেবে মিয়ানমার।
১৯৯৯ সালে ট্র্যাক টু কূটনীতির মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয় বিসিআইএম নিয়ে। ২০১৩ সালে এই উদ্যোগ সম্পর্কে চীন ও ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর সরকারি পর্যায়ে এটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত বছর ডিসেম্বর মাসে কুনমিংয়ে বিসিআইএমের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধন্ত হয়, প্রতিটি দেশ তাদের নিজস্ব জাতীয় পরিকল্পনা তৈরি করে দ্বিতীয় বৈঠকে আলোচনা করবে। আর কলকাতার তৃতীয় বৈঠকে চারটি পরিকল্পনার সবগুলো বিষয় বিবেচনায় নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।

আরও পড়ুন-

চীনের দূতকে ঢাকার বার্তা: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার আন্তরিক নয়

ডেভিড ক্যামেরন ঢাকায় আসছেন বুধবার

বিসিআইএম এর তৃতীয় বৈঠক মঙ্গলবার

/এসএসজেড/টিআর/এমএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার ‘এয়ারবাস’
যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার ‘এয়ারবাস’
ব্রাইটনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সতর্ক ম্যানসিটি
ব্রাইটনকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সতর্ক ম্যানসিটি
পরিবারের অভাব দূর করতে সিঙ্গাপুরে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন রাকিব
পরিবারের অভাব দূর করতে সিঙ্গাপুরে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন রাকিব
কেমন চলছে ভারতের লোকসভার দ্বিতীয় দফার ভোট?
কেমন চলছে ভারতের লোকসভার দ্বিতীয় দফার ভোট?
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ