বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘সাংবাদিকদের যদি অনুসন্ধানের সুযোগ না থাকে, দুর্নীতি প্রকাশ না করা হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী জানবেন কীভাবে? তবে এই আইনটি (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) যেহেতু পাস হয়েই গেছে, এখন খেয়াল রাখা উচিত এটার অপপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা। যখন অপপ্রয়োগ হবে, তখন একটি হুলস্থুল কাণ্ড ঘটবে। তখন এই আইনটি আলোচনায় আসবে। তখন যদি কিছু জায়গায় সংশোধন আনা হয়।’
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তায় অনিরাপদ সাংবাদিকতা?’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘আইনে সাংবাদিকদের জন্য আলাদা করে কিছু বলা হয়নি। এই আইনের আওতায় আনা হয়েছে সবাইকে। কিন্তু যখন প্রয়োগ হবে, তখন বেশি ভিকটিম হবেন কারা? প্রয়োগ হবে বেশি সাংবাদিকদের ওপর। কারণ, সাংবাদিকদেরকেই তথ্য নিয়ে কাজ করতে হয়।’
জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘ধরুন, একজন সাংবাদিক কোনও একটি প্রতিবেদনের জন্য কোনও সরকারি কর্মকর্তার মন্তব্য নিলেন। সেই বক্তব্য ওই সাংবাদিক রেকর্ড করলেন। পরে সেটা ছাপাও হলো। কিন্তু প্রতিবেদনটি যখন ছাপা হবে, তখন ওই কর্মকর্তা যদি দাবি করেন তিনি ওই বক্তব্য দেননি। কিন্তু তার এই কথাটি যে সত্য নয়, তা প্রমাণ করতে ওই সাংবাদিক তার রেকর্ডটি দেখাতেও পারবেন না। কারণ, সেটি দেখাতে গেলেও তিনি মামলায় ফাঁসবেন। কারণ, এমন কথোপকথন রেকর্ড করা বেআইনি। তাহলে সাংবাদিকতা কোথায় গিয়ে ঠেকছে এই আইনের কারণে।’
রাজধানীর শুক্রাবাদে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিও থেকে এ আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করে এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে লাইভ তা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। মাহমুদুল হকের সঞ্চালনায় বৈঠকিতে অংশ নেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল সারা বাংলা এবং গাজী টিভির এডিটর ইন চিফ ইশতিয়াক রেজা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু, ডিবিসি’র সম্পাদক ও সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আরিফ জেবতিক।
বৈঠকির আরও খবর:
‘শুধু সাংবাদিকদের জন্য নয়, গবেষকদের জন্যও আইনটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে’
‘ডিজিটাল নিরাপত্তায় অনিরাপদ সাংবাদিকতা?’ শীর্ষক বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকি শুরু