X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কর্মীর তুলনায় রেমিট্যান্স কেন কম?

সাদ্দিফ অভি
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০০আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০০

প্রবাসীদের ফেসবুক গ্রুপে দিনে অনেক পোস্ট আসে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে পোস্ট সবার নজর কাড়ে সেটি হচ্ছে—  ‘কাজ নাই বসে আছি! কারও কাছে ভালো কোনও কাজ থাকলে জানাবেন’। ‘ঠেকায় পড়ে ৬ মাস হয় কলিং ভিসায় এসেছি নতুন, আজকে আমি ১২ দিন ধরে বসা। যদি কারও মনে মায়া হয়, দয়া করে একটু হেল্প করবেন’। ‘মালয়েশিয়ায় ২০১৮ সালে আসার পর থেকে এই গ্রুপের মেম্বার হয়ে আছি, অনেক বিষয় নিয়ে পোস্ট কমেন্ট ও করি। আসলে কোনও দিন ভাবি নাই, এই গ্রুপে আমার কাজ চেয়ে পোস্ট করতে হবে। আসলে গত চার মাস ধরে বসে রইছি।  রুম ভাড়া আর খাওয়ার টাকা এখন আর বাড়ি ফোন দিয়ে আনতে লজ্জা বোধ হয়। যদি কেউ একটা কাজ করে দেন খুব উপকার হয়।’ এভাবেই প্রবাসীদের আহাজারি চলে কাজের খোঁজে। অথচ বৈধভাবেই সরকারি সব নির্দেশনা মেনে বিদেশ পাড়ি দিয়েছিলেন তারা।

বিদেশে এই মুহূর্তে কতজন প্রবাসী কর্মী অবস্থান করছেন, তার হিসাব নেই কারও কাছে। আবার কাজ না পেয়ে ফিরে এসেছেন কতজন, তারও হিসাব নেই কারও কাছে। বিদেশে গিয়ে কাজ পাচ্ছেন না– এমন কতজন তাও জানে না কেউ। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর কাছে শুধু একটি হিসাব আছে, সেটি হচ্ছে— ১৯৭৬ সাল থেকে ব্যুরোর ছাড়পত্র নিয়ে বিদেশ গেছেন প্রায় দেড় কোটি কর্মী। এর মধ্যে অনেকেই একাধিকবার বিদেশে গেছেন কাজের উদ্দেশ্যে। তাই প্রকৃত রেমিট্যান্স কত আসতে পারে, কিংবা কী পরিমাণ আসছে,  তার ধারণা কারও নেই।

দেশের রেমিট্যান্স আয়  হ্রাস পেয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে এক দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়, যা চলতি বছরের প্রথম আট মাসের গড় রেমিট্যান্স প্রবাহের তুলনায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার কম। এমনকি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরেও বাংলাদেশে ১৫৩৯.৬০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। করোনা মহামারির সময়ও বাংলাদেশ এত কম পরিমাণ রেমিট্যান্স পায়নি। বাংলাদেশ ২০২০ সালে ২১.৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১ সালে ২২.২১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। ২০২২ সালের রেমিট্যান্স সামান্য কিছুটা কমে ২১.৫০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়।

চলতি ডিসেম্বরের প্রথম আট দিনে বৈধ উপায়ে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে ৫৩ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে গড়ে দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৬৫ লাখ ৯৩ হাজার ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম আট  দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪৬ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স আসে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। আগস্টে রেমিট্যান্স আসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া, সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। অক্টোবর মাসে এসেছিল ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার।  

বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

চলতি বছরের নভেম্বরে দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। এসময় দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আরও  রয়েছে— যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, কুয়েত, মালয়েশিয়া, কাতার, ওমান ও বাহরাইন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাজ্য থেকে।

বিদেশে পাঠানো কর্মীর পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত ১১ মাসে বিদেশে কর্মী গেছেন ১২ লাখ ১০ হাজার ২৫৬ জন। গড়ে বছরে ১১ লাখ কর্মী বিদেশ যান বাংলাদেশ থেকে। সবচেয়ে বেশি কর্মী যাচ্ছে সৌদি আরবে। কিন্তু সেখান থেকে সেই পরিমাণ রেমিট্যান্স আসছে না। আবার কর্মী যাওয়ার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া থাকলেও বরাবর দেশটি থেকে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে, তার চেয়ে সামান্য কিছু বেড়েছে। অর্থাৎ যে অনুপাতে কর্মী যাচ্ছে সে অনুপাতে মালয়েশিয়া থেকেও রেমিট্যান্স আসছে না। একইভাবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মী যাওয়ার হার অনুযায়ী রেমিট্যান্স আসছে না। 

সম্প্রতি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর মাইগ্রেশন স্টাডিজের এক গবেষণায় জানা গেছে, বিদেশে কর্মী যাওয়ার হারের সঙ্গে তুলনা করলে রেমিট্যান্স আসার কথা অন্তত ৪০ বিলিয়ন ডলার। তবে বর্তমান প্রবাহের হার বলছে, বড়জোর ২০-২১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসতে পারে।

গবেষকদের মতে, অধিক হারে বিদেশে কর্মী পাঠানো মানেই বেশি রেমিট্যান্স নয়। প্রতি বছর যে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন, তার তুলনায় রেমিট্যান্স কিন্তু উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি। একটি প্রচলিত ধারণা হচ্ছে— অভিবাসীরা যে বছর বিদেশ যান তার পরের বছর রেমিট্যান্সের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। বিএমইটির তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে প্রায় ২ লাখ ১৭ হাজার নতুন অভিবাসী বিদেশে পাড়ি জমান, আর ২০২১ সালে তারা রেমিট্যান্স পাঠান প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ২০২১ সালে নতুন অভিবাসীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় তিনগুণ এবং ২০২২ সালে রেমিট্যান্স কমে দাঁড়িয়েছিল প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলারে। সেই হিসাবে এই রেমিট্যান্স অন্তত তিনগুণ বৃদ্ধি পাওয়ার কথা ছিল। আবার ২০২২ সালে নতুন অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখের ওপর, কিন্তু সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯ বিলিয়ন ডলার। এতে ধারণা করা যায় যে, চলতি বছরের শেষে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২১-২২ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক ড. জালাল উদ্দিন সিকদারের মতে, রেমিট্যান্সে বাংলাদেশের অর্জন বেশ সন্তোষজনক মনে হলেও বিপুল সংখ্যক অভিবাসীর তুলনায় তা যৎসামান্য। বাংলাদেশের বেশিরভাগ অভিবাসীর মূল গন্তব্য সৌদি আরব। ২০২০ সালে প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজারের মতো অভিবাসী বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যান এবং ২০২১ সালে তারা প্রায় সাড়ে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। ধারণা করা হয় যে, কোভিডের কারণে অভিবাসীরা তাদের পরিবার ও নিকট আত্মীয়দের কাছে বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু পরের বছর ২০২১ সালে প্রায় ৪ লাখ ৫৭ হাজার নতুন অভিবাসী সৌদি আরব পাড়ি জমান, যারা ২০২২ সালে প্রায় ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। কাজেই দেখা যাচ্ছে, বৈধপথে রেমিট্যান্স যে পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কথা ছিল, গন্তব্য দেশ অনুসারে সে পরিমাণ বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়নি। আমরা গবেষণায় রেমিট্যান্স কম আসার আটটি কারণ খুঁজে পেয়েছি। কাজ না থাকার পাশাপাশি অন্যতম কারণ হচ্ছে— হুন্ডি এবং অভিবাসন ব্যয়ের মধ্যে সংযোগ।

ড. জালাল উদ্দিন সিকদার বলেন, ‘হুন্ডির প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে অভিবাসন ব্যয় অনেকাংশে দায়ী। নির্ধারিত ব্যয়ের চেয়ে ৪-৫ গুণ বেশি টাকা খরচ করে বিদেশ যেতে হচ্ছে। এই টাকা চড়া সুদে ঋণ নেওয়া হচ্ছে। আবার অনেকে সম্পদ বিক্রি করে পাড়ি জমান বিদেশে। তাই যেকোনও মূল্যে উপার্জনের একটা চাহিদা তৈরি হয়। যেদিন থেকে কাজ শুরু করেন, সেদিন থেকেই দেশে টাকা পাঠানোর পরিকল্পনা করেন কর্মীরা। আর  হুন্ডিতে  বিনিময় মুদ্রা বেশি হওয়ার কারণে তারা সেই মাধ্যমেই টাকা পাঠাতে আগ্রহী হন। আবার হুন্ডি ব্যবসায়ীরা কর্মীদের সেবা দেন হাতে হাতে। অর্থাৎ একজন কর্মীকে হুন্ডিতে দেশে টাকা পাঠাতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না। কিন্তু বৈধ চ্যানেলে পাঠাতে তাকে অনেক দূর থেকে সফর করে অন্য জায়গায় যেতে হয়।’

ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান জানান, যদি সৌদি আরবকে উদাহরণ হিসেবে ধরি, তাহলে সেখান থেকে করোনাকালে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। পরবর্তীকালে ২০ লাখ নতুন লোক যাওয়ার পরও কেন ২ বিলিয়ন ডলার কম আসছে। এখানে গ্যাপ কোথায় তাহলে? সৌদি আরবে আমাদের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কয়টা শাখা আছে? একজন কর্মী এমন এমন জায়গায় কাজ করেন, ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে তাকে ছুটি নিয়ে দূরের ব্যাংকে যেতে হয়। আমরা তাদের কি কোনও ডিজিটালাইজড ব্যবস্থা দিতে পেরেছি? যে টাকা খরচ করে বিদেশ যাচ্ছে, কাজ করে সেটি কত দিনে তুলবে, আবার এত টাকা খরচ করে যাচ্ছে কাজ কি পাচ্ছে? এখানে শুধু একটা কারণ না যে, কাজ পাচ্ছে না— অনেকগুলো কারণ আছে।

তিনি বলেন, ‘এক সৌদি আরবের মার্কেটে আমাদের যে পরিমাণ লোক যাচ্ছে— সেই পরিমাণ তো আসছেই না, বরং এত লোক যাওয়ার পরও রেমিট্যান্স কমছে।’      

বিদেশে গিয়ে কাজ না পেয়ে কর্মীদের ভোগান্তির অভিযোগ সেভাবে মন্ত্রণালয় আসে না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগগুলো আপনাদের কাছ থেকে যেভাবে পাই, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে আমাদের কাছে সেভাবে আসে না। তারপরও নানা অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা গত ছয় মাসে ৪০ থেকে ৫০টি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স জব্দ করেছি।’

/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
‘বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রণোদনা ৩ শতাংশ বিবেচনা করা হবে’
পরিবারের অভাব দূর করতে সিঙ্গাপুরে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন রাকিব
রেমিট্যান্স প্রেরকদের জন্য আরও সুবিধা চায় সংসদীয় কমিটি
সর্বশেষ খবর
বিপুল পরিমাণ নকল জুস জব্দ, কারখানার মালিকের কারাদণ্ড
বিপুল পরিমাণ নকল জুস জব্দ, কারখানার মালিকের কারাদণ্ড
লিগের মাঝপথে গোপনে কানাডায় কেন বাংলাদেশি ফুটবলার!
লিগের মাঝপথে গোপনে কানাডায় কেন বাংলাদেশি ফুটবলার!
বাঁচতে হলে জানতে হবে
বাঁচতে হলে জানতে হবে
ইইউ দেশগুলোর সম্পর্ক জোরদারে মে মাসে জার্মানি সফরে যাচ্ছেন ম্যাক্রোঁ
ইইউ দেশগুলোর সম্পর্ক জোরদারে মে মাসে জার্মানি সফরে যাচ্ছেন ম্যাক্রোঁ
সর্বাধিক পঠিত
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু