বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লাগার আগে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যদি নিশ্চিত করা হতো, তাহলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটতো না। কিন্তু এখন আগুন লাগার পর এত নিরাপত্তা কেন?
কথাগুলো বলেছেন, গ্রিন কোজি কটেজের আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদফতরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিনের বাবা আবুল কাশেম।
রবিবার (১০ মার্চ) তিনি বেইলি রোডে পুড়ে যাওয়া ভবনটির সামনে আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে।
আবুল কাশেম বলেন, ‘আমি কোথাও শান্তি পাচ্ছি না। আমার ছেলেকে বললাম— আমাকে বেইলি রোডে নিয়ে যাও। আমি এখানে এসে ভেতরে ঢুকতে চাইছিলাম। ঢুকতে দিলো না। এখন এত নিরাপত্তা, কিন্তু আগে যদি নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হতো— তাহলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটতো না, আর এত মানুষও মারা যেত না।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার আগের দিন আমার ছেলের সঙ্গে কথা হয়। তারপর আর কোনও কথা হয়নি।’
শাহজালালের বোন তসলিমা আক্তার লিমা বলেন, ‘যার চলে যায় সেই বুঝে। আর কেউ বুঝবে না এটা। এটা অনেক কষ্টের। মনে হয়, আমার ভাই আসবে। এই মনে হয় দাঁড়িয়ে আছে, মনে হয় ফোন করবে। ফোনের মধ্যে চেয়ে থাকি— কখন যে আমার ভাই ফোন করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের কাছে একটাই চাওয়া— এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক। এরকম যেন আর কেউ স্বজন না হারায়।’
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জন মারা যায়। ওই ঘটনায় নিহত হন শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদফতরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিন, তার স্ত্রী মেহেরুন নেসা জাহান এবং তাদের তিন বছর বয়সী সন্তান ফাইরুজ কাশেম জামিরা।
এদিকে রবিবার (১০ মার্চে) সকালেও ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দেখা যায় নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন। ভবনটির সামনে নিরাপত্তা বেষ্টনি দিয়ে রাখা হয়েছে। পথচারীরা এখনও সেই অগ্নিকাণ্ডের ভযাবহতার চিহ্ন দেখেন অপলক দৃষ্টিতে।