X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এসএসসি পরীক্ষা: প্রশ্নফাঁসে শুরু, ব্যাপক পরিবর্তনের ঘোষণায় শেষ

রশিদ আল রুহানী
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২১:৩১আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৫:৪৮

এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন শিক্ষামন্ত্রী ( ফাইল ছবি)

বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হয়ে উঠলেও ঠেকানো যায়নি প্রশ্নফাঁসের ঘটনা। শেষ পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁসের ‘রেকর্ড’ গড়েই আজ শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয়েছে এসএসসি পরীক্ষার তত্ত্বীয় অংশ। শিক্ষাবিদরা বলছেন, এভাবে টানা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা আর কখনও ঘটেনি। আর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে পরীক্ষা পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার তত্ত্বীয় অংশের শেষ পরীক্ষা ছিল আজ শনিবার। এর আগে মোট ১৩টি বিষয়ের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও শেষ দিনটাতে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে এবারে যেভাবে একের পর এক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, এমন নজির আগে কখনও দেখা যায়নি বলে মন্তব্য মনে করেন অভিভাবক, শিক্ষাবিদ, শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাসহ সচেতন মহল।

মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল দেখা গেছে প্রায় পরীক্ষার দিনে

এর আগে, ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরও থেমে থাকেনি প্রশ্নফাঁস। ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার কয়েকটি বিষয়ের প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়।

আগের দুই বছরের প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের বাধ্যবাধকতাও আরোপ করা হয়। নির্দেশ দেওয়া হয়, কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কারও কাছেই মোবাইল থাকা যাবে না। কেন্দ্র সচিবও স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। অন্যদিকে, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কেউ প্রশ্নফাঁস করলে তাদের ধরতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নজরদারির অনুরোধও জানানো হয়। এমনকি প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা চলাকালীন বা আরও আগে থেকে ইন্টারনেট বন্ধ রাখতে বিটিআরসিকে অনুরোধও করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, তবে নানা কারণেই সে অনুরোধ রাখেনি বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ।

এরপর ব্যাপক প্রস্তুতি সত্ত্বেও প্রথম দিনেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের ধরিয়ে দিলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গঠন করা হয় ‘মূল্যায়ন কমিটি’। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে একাধিক বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সমালোচনার মুখে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না করলেও নেওয়া হয় ইন্টারনেটের গতিকে ধীর রাখার সিদ্ধান্তও। তবু বিজ্ঞানের সব বিষয়সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রই ফাঁস হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পরীক্ষার কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে পাওয়া যাচ্ছিল এসব প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের সঙ্গেই পরীক্ষার মূল প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে। বিষয়গুলো মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডকে জানানো হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তারা প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে স্বীকার করেনি। বিভিন্ন ধরনের তদন্ত কমিটি, মূল্যায়ন কমিটি গঠনের মধ্যেই তারা সীমাবদ্ধ ছিল। সবশেষে অবশ্য প্রশ্নফাঁস ও বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শিক্ষা ক্যাডারের ৩০ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের এমন হুবহু মিল দেখা গেছে বারবার

প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১৫৩ জনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে পরীক্ষার্থী, কোচিং শিক্ষক, অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও স্কুল শিক্ষকও রয়েছেন। তারপরও একে একে বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, গণিত, আইসিটি, পদার্থবিজ্ঞান, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, রসায়ন, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, জীববিজ্ঞান এবং উচ্চতর গণিতের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।

অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর প্রশ্নপত্র ফাঁসে রীতিমত ‘রেকর্ড’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্র এর আগেও ফাঁস হয়নি, তা নয়। কিন্তু বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর মেয়াদে এটা মহামারী আকার ধারণ করেছে। তারপরও এবারের মতো এভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস আগে হয়নি।’

অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘দুই-একটি বিষয় বাদ দিলে প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রই ফাঁস হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু এটা গুরু পাপে লঘু দণ্ড। দুর্নীতিবাজরা যেখানেই যাক না কেন, দুর্নীতি করবেই। প্রশ্নফাঁস করতে না পারলে অন্য দুর্নীতি করবে। ফলে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে শর্ষের মধ্যেকার ভূতকে শনাক্ত করে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে এটা রোধ করা সম্ভব।’

প্রশ্নপত্র ফাঁসের সমালোচনা করে অভিভাবক আসাদ উজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এমন টানা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা কখনও দেখিনি। প্রশ্নফাঁসের এই জাতি দিয়ে আমরা কী করবো? নতুন প্রজন্মের কাছে কী আশা করবো? এরাই একসময় দেশের হাল ধরবে। তারা এখন থেকেই দুর্নীতি-অনিয়ম শিখছে, প্রশ্নফাঁসের মতো একটি নোংরা বিষয়কে জায়েজ হিসেবে মেনে নিচ্ছে। সরকারকে এখনই এর বিরুদ্ধে কার্যকর ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’

ফেসবুক গ্রুপে এভাবেই বার্তা দিয়ে প্রশ্ন ফাঁস করে থাকে কিছু চক্র। এর শিকার হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

জানতে চাইলে ঢাকা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহেদুল খবির চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা যতটা সম্ভব প্রশ্নফাঁস ঠেকানোর চেষ্টা করেছি। পুলিশ-প্রশাসনসহ সব সংস্থা কাজ করছে। আগামী পরীক্ষাতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে, সেই চেষ্টা করবো।’ তবে এবারের মতো টানা প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তিনিও পাননি বলে স্বীকার করে নিয়েছেন।

প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ইতালি সফর শেষে গণভবনে এ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয় এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এজন্য শিক্ষামন্ত্রী বা শিক্ষা সচিবের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি সরাসরি শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ান। স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসের জন্য কি শিক্ষামন্ত্রী অথবা সচিব দায়ী? তারা কি কেন্দ্রে গিয়ে প্রশ্নফাঁস করেন? তাহলে তাদের পদত্যাগের কথা আসবে কেন?’

চট্টগ্রামের এই বাসে আসা ৫৬ শিক্ষার্থীর ২৪ জনকে ফাঁস করা প্রশ্ন কেনা ও দেখার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়।

তবে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ মেনে নিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টা আগেও ছিল। আমাদের সময়েও ছিল। তবে এখন অনেক বেড়ে গেছে।’

তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তেমন একটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সাধারণত কতক্ষণ আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়? ২০ মিনিট আগে? যদি কোনও পরীক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট বা একঘণ্টা আগে, অথবা দুই ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র পায়, তাহলে এমন ফটোজেনিক ও মেধাবী পরীক্ষার্থী কে আছে, যে চট করে প্রশ্ন দেখেই উত্তর মুখস্থ করে ফেলতে পারে? এত ট্যালেন্টেড কে আছে?’

তিনি বলেন, ‘এই প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজছি কিন্তু পাচ্ছি না। তবে হ্যাঁ, একটা বিষয় আছে, টিক মেরে উত্তর লেখা। সেটাও তো বই থেকে খুঁজতে হবে। এত অল্প সময়ে বই থেকে সেই উত্তর দেখে মুখস্থ করে নেবে? এটা কেউ পারবে?’ এরপরও প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের ধরিয়ে দিতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তুমুল আলোচিত হওয়ায় সার্বিক পরীক্ষা ব্যবস্থাতেই আমূল পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে। শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের পাশাপাশি এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও পরীক্ষা থেকে এমসিকিউ বা বহুনির্বচনী অভীক্ষা অংশটি তুলে দেওয়ার বিষয়টি রয়েছে জোর আলোচনায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা একমত হয়েছেন, পরের বছর থেকে নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রশ্নব্যাংক তৈরির পরিকল্পনার বিষয়েও একমত হয়েছেন সবাই। সর্বশেষ শিক্ষামন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, আগামী এইচএসসি পরীক্ষাতেই আসবে ব্যাপক পরিবর্তন। এতে কাজ হবে বলেও আশাবাদ জানান তিনি।

প্রশ্নফাঁসের বিরুদ্ধে শহীদ মিনারে প্রতিবাদ

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয় আলোচনায় রয়েছে। ছাপা প্রশ্নপত্র সরবরাহে নতুন পদ্ধতি খুঁজে বের করা, পরীক্ষাকেন্দ্রেই প্রশ্নপত্র ছাপানোর ব্যবস্থা করা, ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পৌঁছানো, প্রতিটি পরীক্ষার্থীর কাছে ডিজিটাল ফরম্যাটে প্রশ্ন সরবরাহের জন্য পৃথক পৃথক ডিভাইস পৌঁছে দেওয়ার মতো প্রস্তাবগুলো আলোচনায় রয়েছে।

শিক্ষাবিদ এ এন রাশেদা এ প্রসঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘প্রশ্নপত্র ফাঁস তো এবারই প্রথম হচ্ছে না,বেশ কয়েকবছর ধরেই হচ্ছে। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন পদ্ধতি ও বিতরণ পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনাও অনেকদিনের। অবশেষে এবার এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হতে না হতেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বিতরণ পদ্ধতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। কিন্তু এতদিন পরে কেন? আসলে রুটি সেঁকতে গেলে তাওয়া একটু গরম করে নিতে হয়। মন্ত্রণালয় তাওয়া গরম হওয়ার অপেক্ষায় ছিল। এবার তাওয়া একটু গরম হওয়াতেই রুটি সেঁকার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে মন্ত্রণালয়কে।’

এই শিক্ষাবিদ আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয় হিসাব করে দেখলো, নতুন করে এই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন পদ্ধতি পরিবর্তন করতে তিন হাজার কোটি টাকা লাগবে। কিন্তু এর আগে তো সরকারের টাকা নেই বলে তারা খরচ করতে চায়নি। এখন এই টাকা কোথায় পাবে? দেশের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে তারা খরচ করবে না। তাই যদি হতো, তাহলে আগেই এই প্রজেক্ট হাতে নিতে পারত সরকার।’

প্রশ্নপত্র প্রণয়ন থেকে কেন্দ্রে পৌঁছানোর ধাপগুলোর মধ্যে চারটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন শিক্ষাবিদরা

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ব্ভিাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এখনও পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। অনেকগুলো প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এমনকি, আগামী এইচএসসি পরীক্ষার ক্ষেত্রেও এসব আলোচনা কতটুকু প্রয়োগ করা যাবে, সে সিদ্ধান্তে আমরা আসতে পারিনি।’

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলা প্রথম পত্র বিষয় দিয়ে শুরু হয় এসএসসি পরীক্ষা। ওই বিষয়ের বহুনির্বাচনি অভীক্ষার ‘খ’ সেট প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষা শুরুর প্রায় এক ঘণ্টা আগে ফেসবুকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়। ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলা দ্বিতীয় পত্রের বহুনির্বচনি অভীক্ষার ‘খ’ সেটের উত্তরসহ প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় ফেসবুকে। এই প্রশ্নের সঙ্গেও মূল প্রশ্নের হুবহু মিল ছিল। পরে ৫ ও ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষাতেও একই ঘটনা ঘটে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ধারাবাহিকতায় পরে একে একে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষাগণিতআইসিটিপদার্থবিজ্ঞান, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংরসায়নবাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়জীববিজ্ঞান এবং উচ্চতর গণিতের প্রশ্নপত্রও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে পরীক্ষার এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগে।

 

/টিআর/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
চারতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মাদ্রাসাছাত্রীর মৃত্যু
চারতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মাদ্রাসাছাত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
এবার ঘুমটা ভালো হবে ডু প্লেসির
এবার ঘুমটা ভালো হবে ডু প্লেসির
সৎ মাকে বটি দিয়ে কোপালো কিশোর, ঢামেকে মৃত্যু
সৎ মাকে বটি দিয়ে কোপালো কিশোর, ঢামেকে মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত