X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও স্ত্রীর কারাদণ্ড

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৯ মে ২০১৯, ২৩:৪৬আপডেট : ০৯ মে ২০১৯, ২৩:৪৮

হাইকোর্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের কোর্ট কিপার শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম ফারুক ও তার স্ত্রীকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তা দখলে রাখার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তাদেরকে দণ্ড দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। এ সময় কারাদণ্ড প্রাপ্ত দুই আসামি আদালতে হাজির না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেন বিচারক।

আসামি মো. গোলাম ফারুককে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৭০ লাখ ৫১ হাজার ২৯৬ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। একইসঙ্গে ২৭ (১) ধারায়ও তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। তার স্ত্রী সৈয়দা মমতাজকে স্বামীর অর্জিত সম্পদ নিজ দখলে রাখার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

এদিকে আদালত রায়ের আদেশে আরও বলেন, আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দুজনের অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায়ের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে গোলাম ফারুক কর্তৃক অবৈধভাবে তার দখলে রাখা সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, দুদক গোলাম ফারুককে সম্পদের বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিলে তিনি তা দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দুদক দেখে গোলাম ফারুক তার নিজ নাম ও দুই স্ত্রীর নামে সর্বমোট ৩ কোটি ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের হিসাব ও দায় হিসেবে মোট ১ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণ রয়েছে বলে বিবরণীতে উল্লেখ করেছেন। এতে তার নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় এক কোটি ৯৯ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টাকা।

গোলাম ফারুক নিজ নামে ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সৈয়দা মমতাজের নামে মোট ৬১ লাখ টাকার জমি অর্জন করেন মর্মে বিবরণীতে উল্লেখ করেন। অথচ তিনি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার ৮০৩ টাকা বিনিয়োগ করে অর্জন করেন। এতে তিনি ১২ লাখ ৮২ হাজার ৮০৩ টাকা মিথ্যা ও ভিত্তিহীণ তথ্য গোপন করেন। গোলাম ফারুক তার স্ত্রী মমতাজের নামে হাজারীবাগের রায়ের রাজার ৬ নম্বর রোডে সিকদার রিয়েল এস্টেটে আড়াই কাঠা জমির ওপর ৬ তলা বাড়ি নির্মাণ করেন। ওই জমি তিনি এক লাখ টাকা মূল্যে তার স্ত্রীর নামে ক্রয় করেন। এতে তিনি ৪৯ লাখ টাকা খরচ করে বাড়ি নির্মাণ করেন বলে বিবরণীতে উল্লেখ করেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে এক কোটি ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৩ লাখ ব্যয় করেন মর্মে দেখা যায়। গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে মোট ৭০ লাখ ৫১ হাজার ২৯৬ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়। আর তার স্ত্রী সৈয়দা মমতাজের বিরুদ্ধে তাকে সাহায্য করার অভিযোগ করা হয়। 

ওই ঘটনায় ২০১২ সালের ১৪ জুন দুদকের উপপরিচালক মোজাহার আলী সরদার রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এরপর ২০১৩ সালের ২ জুন  আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরে ২৯ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে বিভিন্ন সময়ে চার জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত।

 

/টিএইচ/এনআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসেডর যুবরাজ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসেডর যুবরাজ
অবশেষে মুক্তির বার্তা
অবশেষে মুক্তির বার্তা
এমপিপুত্র প্রার্থী হওয়ায় ‘আগুন জ্বলছে’ সেলিম প্রধানের গায়ে
এমপিপুত্র প্রার্থী হওয়ায় ‘আগুন জ্বলছে’ সেলিম প্রধানের গায়ে
ব্রাজিলিয়ানের গোলে আবাহনীতে স্বস্তি
ব্রাজিলিয়ানের গোলে আবাহনীতে স্বস্তি
সর্বাধিক পঠিত
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন