পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টির সিরিজের প্রথম দুটিতে হেরে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। সিরিজ বাঁচাতে বৃহস্পতিবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি স্বাগতিক বাংলাদেশের কাছে বাঁচা-মরার লড়াই। এমন কঠিন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশ আবারও ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হয়েছে! ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে উইকেটে টিকে থাকতে পারলেও স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান তুলতে পারেনি। আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে হলে ভারতকে করতে হবে ১১৮ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। ব্যাটিংয়ে নেমে পুরনো অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। পাওয়ার প্লেতে বেশ কিছু উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ দলের পুরনো অভ্যাস। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসতে পেরেছে তারা।
এদিন প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোন উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ তুলে ফেলে ৪৪ রান। যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দারুণ সংগ্রহ। তবে পাওয়ার প্লের পরের ওভারেই মোর্শেদা খাতুনকে হারায় তারা। ১৬ বলে ৯ রান করে রান আউট হন আগের ম্যাচে দারুণ ইনিংস খেলা বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর মোর্শেদাকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে বিস্ফোরক ব্যাটিং করতে থাকা দিলারা আক্তার সাজঘরে ফেরেন। ২৭ বলে ৫ চারে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন এই ওপেনার।
দিলারার বিদায়ের পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার সোবাহানা মোস্তারিকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সোবাহানা ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট বিপদ বাড়ে। দলের রান তখন ৮৫। সোবাহানার রান আউটের পরের বলেই ফাহিমা লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর অধিনায়কের ওপর চাপ বাড়ে। রান করার চাপ থেকেই আউট হন জ্যোতি। ৩৬ বলে ১ চারে ২৮ রানের ইনিংস খেলেছেন উইকেট কিপার এই ব্যাটার। জ্যোতির এলবিডাব্লিউ আউটটা দুর্ভাগ্যজনক বলতে হবে। বল অনেকটাই স্ট্যাম্প ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু অভিষিক্ত আম্পায়ার সাজেদুল ভারতের আবেদনের প্রেক্ষিতে আঙুল তুলে দিয়েছেন।
প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৬ রান করা বাংলাদেশ শেষ দুই ওভারে তুলতে পারে ৫১ রান, হারায় আরও ৬ উইকেট। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৭ রান। ভারতকে জিততে হলে করতে হবে ১১৮ রান।
ভারতের বোলারদের মধ্যে রাধা যাদব দুটি এবং পূজা বস্ত্রাকার, রেনুকা সিং ও শ্রেয়াঙ্কা পাতিল প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন।