X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

শহীদুল জহিরকে নিয়ে গাঁথার আয়োজন

মোহাম্মদ মারুফ
১৫ অক্টোবর ২০১৭, ২৩:২৭আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ১১:২৩

(বাম থেকে) হামীম কামরুল হক, মোজাফফর হোসেন এবং আফরোজা আক্তার টিনা ধানমন্ডির ইএমকে সেন্টারে গত ১৪ অক্টোবর বিকেলে নারীদের সংগঠন ‘গাঁথা’র নিয়মিত মাসিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘শহীদুল জহিরের গল্প : বাস্তবের জাদু কিংবা জাদুর বাস্তব’ শীর্ষক ওই আড্ডায় আলোচনা  করেন কথাসাহিত্যিক হামীম কামরুল হক এবং মোজাফফর হোসেন।

আড্ডায় শহীদুল জহিরের চারটি ছোটগল্পের উপর আলোচনা করা হয়। হামীম কামরুল হক ‘চতুর্থ মাত্রা’ ও ‘আগারগাঁও কলোনিতে নয়নতারা ফুল কেন নেই’ গল্প দুটির উপর আলোচনা করেন। মোজাফফর হোসেন ‘ডুমুর খেকো মানুষ’ এবং ‘কাঠুরে ও দাঁড়কাক’ গল্পের উপর আলোচনা করেন।

হামীম কামরুল হক বলেন, বাংলা ভাষায় শহীদুল জহিরের যে প্রবণতা তা আর কারো মধ্যে ছিল না। শহীদুল জহির ঠিক জাদুবাস্তববাদী লেখক নন। তার লেখার কাঠামো এবং বয়ান পাঠককে আকৃষ্ট করে। তিনি খুব সাধারণ বিষয়কে লেখার নিজস্ব ধারায় জাদুময়তার রূপ দিয়েছেন। নিজ দেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে তুলে ধরেছেন। তিনি মানুষের জীবনের দৈনন্দিন তুচ্ছতা খুঁজে বেড়াতেন এবং সেগুলো নিয়েই লিখতেন। এই তুচ্ছতাকে আমরা সাধারণত খেয়াল করি না। তাই এটাকে আমাদের কাছে জাদুবাস্তবতা বলে মনে হয়।

গল্পের প্রসঙ্গে হামীম কামরুল হক বলেন, আগারগাঁও কলোনিতে নয়নতারা ফুল কেন নেই- গল্পে শহীদুল জহির প্রকৃতি ও প্রেমের দারুণ উপমায় আমাদের দেশের একটি কঠিন সময়ের পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন।

মোজাফফর হোসেন বলেন, শহীদুল জহির জাদুবাস্তবতার সার্থক আখ্যানশিল্পী গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস এবং চেতনা প্রবাহ রীতির প্রবক্তা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। তার গদ্যে বাস্তবতার সঙ্গে রূপকথার এবং কথ্য ভাষার সঙ্গে মান ভাষার মিশ্রণে একটি স্বকীয় ধারা তৈরি হয়েছে।

মোজাফফর হোসেন আরো বলেন, তিনি কাঠামো সচেতন লেখক। তিনি ঐতিহ্যগত শৈলী থেকে বের হতে চেয়েছেন। তার ছোটগল্পের কাহিনিতে গভীর জীবন ও অন্তর্লোক একই সাথে মিলিত হয়। তাকে আমরা উত্তর কাঠামোবাদী ভাবতে পারি। তিনি ভাষাকে নতুন করে পরিসঞ্চালন করেছেন।

মোজাফফর আরো বলেন, ডুমুর খেকো মানুষের গল্পটি কিছুটা কল্পনাপ্রবণ। এই গল্পে শহীদুল জহির কল্পনা করেই ছেড়ে দেননি, বাস্তবতার উল্লেখও করেছেন। এখানে তিনি স্থান সময়েরও ব্যবহার করেছেন। এটি জাদুবাস্তবতা দিয়ে শুরু ও জনশ্রুতি দিয়ে শেষ হয়। অন্যদিকে কাঠুরে ও দাঁড়কাক গল্পটি জনশ্রুতি দিয়ে শুরু হলেও শেষ হয় জাদুবাস্তবতা দিয়ে। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কথাশিল্পী পাপড়ি রহমান এবং গাঁথার সাধারণ সম্পাদক জ্যাকি কবির। ডুমুর খেকো মানুষ থেকে নির্বাচিত অংশ পাঠ করেন ড. নাহিদ কায়সার এবং আগারগাঁও কলোনিতে নয়নতারা ফুল কেন নেই থেকে পাঠ করেন আফরোজা আক্তার টিনা। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন ড. ইশরাত তানিয়া।


 

আগামীকাল পড়ুন মোজাফফর হোসেনের সম্পূর্ণ আলোচনা।

//জেডএস//
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সেতুমন্ত্রীর মানহানির অভিযোগে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে জিডি
সেতুমন্ত্রীর মানহানির অভিযোগে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে জিডি
দাফনের ১৫ দিন পর তোলা হলো ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ
দাফনের ১৫ দিন পর তোলা হলো ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ
ফসলের মাঠে সোনারঙ, তীব্র গরমেও কৃষকের মুখে হাসি
ফসলের মাঠে সোনারঙ, তীব্র গরমেও কৃষকের মুখে হাসি
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়কে ভূমিকা রাখার আহ্বান
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়কে ভূমিকা রাখার আহ্বান
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
তাপপ্রবাহের গেটওয়ে যশোর-চুয়াডাঙ্গা
তাপপ্রবাহের গেটওয়ে যশোর-চুয়াডাঙ্গা