X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাড়িতে জায়গা হয়নি মায়ের, আশ্রয় নিয়েছেন নৌকার নিচে

নড়াইল প্রতিনিধি
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৩৬আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৩৬

নৌকার নিচে আশ্রয় নেওয়া সেই মা

ছেলের বউয়ের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ৮৫ বছরে বয়সী মা মায়া রাণী কুন্ডুকে বছর দেড়েক আগে বাড়ি বের করে দেয় ছেলে দেব কুন্ডু। এরপর তিনি বিভিন্ন বাড়িতে ছিলেন। সর্বশেষ কোথাও জায়গা না পেয়ে আশ্রয় নেন চিত্রা নদীর পাড়ে রাখা নৌকার নিচে। এভাবে ১২ দিন সেখানেই ছিলেন। পরে শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে নড়াইল জেলা প্রশাসনের লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা এ তথ্য জানিয়েছেন।


জানা গেছে, নড়াইল শহরের কুরিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মৃত কালিপদ কুন্ডুর স্ত্রী মায়া রাণী কুন্ডু। তার দুই ছেলে দেব কুন্ডু (৫০) ও উত্তম কুন্ডু (৪০)। উত্তম কুন্ডু বিয়ের পর অন্যত্র বসবাস করায় দেব কুমার মায়ের দেখাশোনা করছিলেন। এরপর তিনি মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন এবং খেতে-পরতে ও থাকতে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর অমিত সাহা নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি মায়া রাণীকে কয়েক মাস তার নিজের বাড়িতে রাখেন। এভাবে গত দেড় বছর বিভিন্ন জায়গায় তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে কোথাও জায়গা না পেয়ে ১২ দিন আগে আশ্রয় নেয় বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান কমপ্লেক্স সংলগ্ন চিত্রা নদীর পাড়ে রাখা নৌকার নিচে। স্থানীয়রা তাকে যে খাবার দেন তাই দিয়ে চলে তার আহার। বিষয়টি শুক্রবার বিকালে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তাকে নৌকার নিচে থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়।

কান্না জড়িত কণ্ঠে মায়া রাণী বলেন, ‘দেড় বছরের বেশি সময় ছেলে ও ছেলের বৌ আমাকে খেতে-পরতে ও থাকতে দেয় না। আমার ৫ শতক জায়গা ছিল। ওই জায়গা কয়েক লাখ টাকায় বিক্রি করেছে বড় ছেলে দেব কুমার। এখন তারা দুর্ব্যবহার করে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। এরপর কিছু দিন বিভিন্ন জায়গায় ছিলাম। পরে নৌকার নিচে থাকা শুরু করি। এখানে থেকে আশেপাশের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার খেয়ে আসি।’
এ ব্যাপারে দেব কুন্ডু বলেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে মার বনিবনা না হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, মায়া রাণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে ছেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারা যদি রাজি না হয় তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃদ্ধার ভরণ-পোষণের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ডুবন্ত শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেলো আরেক শিশুরও
ডুবন্ত শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেলো আরেক শিশুরও
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ