X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যাপিটলে সবাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন ট্রাম্প: প্রসিকিউটরদের দাবি

বিদেশ ডেস্ক
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:১০আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:১০
image

ক্যাপিটল হিলে সহিংসতার ঘটনায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওঠা উসকানির অভিযোগ প্রমাণে সিনেটে নতুন ভিডিও উপস্থাপন করেছেন ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রসিকিউটররা। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সিনেটে শুরু হওয়া অভিশংসন বিচার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ আলামত সরবরাহ করা হয়েছে। প্রসিকিউটরদের দাবি, সাবেক প্রেসিডেন্ট এক্ষেত্রে ‘প্রধান উস্কানিদাতা’র ভূমিকা পালন করেছেন। ক্যাপিটল হিলের সবাইকে সেদিন তিনি মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা ক্যাপিটল ভবনে উগ্র ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলার পর বিদায়ী প্রেসিডেন্টকে নির্ধারিত সময়ের আগেই পদ থেকে সরাতে ডেমোক্র্যাটরা প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপন করে। ১৩ জানুয়ারি সে প্রস্তাবের পক্ষে বিপক্ষে ভোটাভুটি হয়। ২৩২-১৯৭ ভোটে পাস হয় প্রস্তাবটি। ১০ জন রিপাবলিকানও এতে সমর্থন দেন। এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষে অভিশংসিত হন ট্রাম্প। চূড়ান্ত অভিশংসনের জন্য প্রস্তাবটি এখন সিনেটে পাঠানো হয়েছে। সেখানে বিচারপ্রক্রিয়ার পর দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে পাস করাতে হবে এটি। এর মানে হলো ট্রাম্পকে অভিশংসিত করতে হলে অন্তত ১৭ জন রিপাবলিকানের সমর্থন প্রয়োজন হবে।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিনেটররা প্রথম দিনের বিচারে বসেন। সেখানে দুই পক্ষকে ১৬ ঘণ্টা করে সময় দেওয়া হয় নিজেদের পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য। প্রধান প্রসিকিউশন ম্যানেজার জেমি রাস্কিন দাবি করেন, গত মাসের সহিংসতায় ট্রাম্প কোনও "নিরাপরাধ দর্শক" ছিলেন না। বরং তিনি এর জন্য কয়েক মাস ধরে  সহিংসতাকারীদের প্রশংসা করেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন এবং সহিংসতার ক্ষেত্র তৈরি করেছেন।

ডেমোক্র্যাট প্রসিকিউশন ম্যানেজাররা ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া বিভিন্ন পোস্ট ও ক্লিপ ব্যবহার করে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে তিনি কিভাবে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে ‘বড় ধরণের মিথ্যা’ প্রচারের চেষ্টা করেছেন।  দাবি করছিলেন যে তার কাছ থেকে নির্বাচনকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

৬ই জানুয়ারিতে ট্রাম্পের দেওয়া বক্তব্যের ফুটেজকে আলাদা আলাদা অংশে ভাগ করেছেন ডেমোক্র্যাটরা। এতে দেখানো হয়েছে যে তিনি কিভাবে ক্যাপিটল হিলে সহিংসতা চালানোর জন্য সমর্থকদের "উত্তেজিত" করে তুলেছিলেন। ট্রাম্প সমর্থক ওয়েবসাইটগুলোর স্ক্রিনশট প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে দেখানো হয়েছে ট্রাম্পের বক্তব্য থেকে তার উগ্রপন্থী সমর্থকরা হামলার পূর্ব-পরিকল্পনা করতে উৎসাহ পেয়েছে। আইনপ্রণেতাদের ওপর সহিংস হওয়ার ইচ্ছার ব্যাপারে খোলাখুলিই কথা বলেছে তারা।

বুধবার যে ফুটেজ দেখানো হয় তার মধ্যে মোবাইলে ধারণকৃত ফুটেজও ছিল। যারা যুক্তি উপস্থাপন করছিলেন তারা বার বার বিচারক হিসেবে নিয়োজিত সিনেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন। ঘটনার দিন তাদের (বিচারকদের) মানসিক অবস্থা কেমন ছিল তা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কংগ্রেস সদস্য এরিক সোয়ালওয়েল এক সিনেটরকে বলেন যে, "যেখানে সহিংসতা তার থেকে মাত্র ৫৮ কদম দূরে ছিলেন আপনি।"

রিপ্রেজেনটেটিভ ডেভিড সিসিলিন বলেন, ‘আপনি যেখানে রয়েছেন সেখানেই হামলাকারীরা দাঁড়িয়ে ছিলেন...তারা এই স্থানকে অপবিত্র করেছিল এবং প্রেসিডেন্ট খুশি হয়েই বসে ছিলেন, আমাদের সহায়তায় তিনি কিছুই করেননি। রিপাবলিকানদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এটা ঠিক করতে হবে এবং আপনারা সেটা ঠিক করতে পারেন।’

আরেক রিপ্রেজেন্টেটিভ জোয়াকুইন ক্যাস্ট্রো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্যাপিটলে উপস্থিত থাকা সবাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে গিয়েছিলেন।’

বৃহস্পতিবারও ডেমোক্র্যাট প্রসিকিউটররা তাদের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করবেন। এরপর খুব শিগগিরই ট্রাম্পের আইনজীবীরা তার পক্ষে সিনেটে যুক্তি-তর্ক তুলে ধরবেন। তবে এরইমধ্যে তিনি দাবি করেছেন যে, তার বিরুদ্ধে বিচার রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত এবং অসাংবিধানিক।

/এফইউ/
সম্পর্কিত
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই বন্ধ করতে পারে: আব্বাস
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
ভারতের মসলা নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র
সর্বশেষ খবর
১১ অঞ্চলে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ, ঢাকায় বেড়েছে ২ ডিগ্রি
১১ অঞ্চলে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ, ঢাকায় বেড়েছে ২ ডিগ্রি
ঢাকা-রাজশাহীর ২ হাসপাতালে দুদকের অভিযান
ঢাকা-রাজশাহীর ২ হাসপাতালে দুদকের অভিযান
সরকারি চাকরির বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটিতে আবেদন করা যাবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত
সরকারি চাকরির বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটিতে আবেদন করা যাবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত
ভারতকে ১৪৫ রানে থামালো বাংলাদেশ
ভারতকে ১৪৫ রানে থামালো বাংলাদেশ
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক