মুক্তিযোদ্ধা সংসদে তার পরিচয় নিছক একজন খেলোয়াড় হিসেবে। কিন্তু মনেপ্রাণে ক্লাবটিকে ভালোবেসেছেন বলে খেলতে এসেও দলটির অন্যতম ত্রাণ কর্তার ভূমিকায় কাজ করে যাচ্ছেন জাপানি মিডফিল্ডার ইউসুকে কাতো। দলটির আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে নানানভাবে স্পন্সর নিয়ে আসছেন। বলতে গেলে দলকে চাঙা করে তুলছেন তিনি একাই।
কাতোর এমন কর্মকাণ্ড নিজ দেশ জাপানেও কম আলোচিত হচ্ছে না। এই তো জাপানের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দৈনিক আশাহি শিম্বুনে খবরও ছাপিয়েছে কাতো ও মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে। সেখানে এসেছে বাংলাদেশের ফুটবল প্রসঙ্গও।
জাপানি হয়েও ইউসুকে কাতো বাংলাদেশে খেলতে এসে এদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন। সবশেষ তো ভাষা দিবসে শহীদ মিনারে গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছাও দিয়ে এসেছেন। ফেসবুকে চেষ্টা করেছেন বাংলায় বার্তা দেওয়ার।
কাতোর এমন প্রচেষ্টা জেনে তাদের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা আশাহি শিম্বুনেতে আজ ছাপা হয়েছে খবরটি। কাতো এই প্রসঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব দলবদলে সংকটে ছিল। আমি চেষ্টা করেছি স্পন্সর আনার মাধ্যমে তাদের সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে। যে কারণে লিগে দলটির খেলতে সহজ হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসার কথাও এসেছে জাপানের পত্রিকায়।’
জাপান থেকে অনলাইনে জুমের মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে কাতো বাংলাদেশ ও মুক্তিযোদ্ধা দল নিয়ে কথা বলেছেন। কাতো চাইছেন মুক্তিযোদ্ধার জন্য এমন প্রচেষ্টা সামনের দিকেও অব্যাহত রাখতে। কেননা এই দেশকে যে অনেকটাই আপন করে নিয়েছেন এই জাপানি!