সালথায় পুলিশ ও স্থানীয়দের সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত হাফেজ মো. জুবায়ের হোসেনের (১৯) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকালে বাড়ির পাশে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানেই তাকে দাফন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, নিহত জুবায়ের উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের আশরাফ আলী মোল্যার বড় ছেলে। মাদারীপুর জেলার শিবচরের একটি মাদ্রাসা থেকে হাফেজি সম্পন্ন করে হাফেজ জুবায়ের সেখানে চার জামাতে পড়াশুনা করছে। তারা তিন ভাই ও এক বোন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান জানান, হামলা ও সংঘর্ষে র্যাব ও পুলিশের আট জন সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে সিআইডির ক্রাইম টিম কাজ শুরু করেছে। এছাড়া হামলার ঘটনায় অংশ নিয়েও অনেকে গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন যাদের পরিচয় জানা যায়নি বলে জানান তিনি।
সোমবার রাতের তাণ্ডবের পর মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকালে সালথা উপজেলা সদরে গিয়ে দেখা গেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ভবনের বিভিন্ন সরকারি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলা ত্রাণের গুদাম ও কৃষি অফিস।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনেও ভাঙচুর করা হয়েছে। দুটি সরকারি গাড়ি ও দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। আর দুটি মোটরসাইকেল হামলাকারীরা নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, সোমবার (৫ এপ্রিল) সালথায় লকডাউন চলাকালে বাজারের একটি দোকান বন্ধ করা ও সালথা উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সঙ্গে থাকা এক কর্মচারীর লাঠিপেটায় এক ব্যক্তির গুরুতর আহত হওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদ, থানা ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়সহ বিভিন্ন অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
আরও পড়ুন:
সালথায় সংঘর্ষে নিহত ১, উপজেলা পরিষদ ধ্বংসস্তূপ
যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে তুলকালাম
ফরিদপুরে থানা ও উপজেলা পরিষদে হামলা, ইউএনও’র বাসভবন ভাঙচুর