সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের লকডাউনের মধ্যে আজ শুক্রবার (৯ এপ্রিল) থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে প্রজ্ঞাপনের সঙ্গে সঙ্গেই রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলে দেন। কেউ কেউ দোকানপাট খুলে দেন সরকারের নির্দেশনা আসার আগেই। যারা বন্ধ রেখেছিলেন তারাও দুপুরে প্রজ্ঞাপনের খবর জানার পরপরই দোকানপাট খুলে দেন। তবে ক্রেতা ছিল কম।
ব্যবসায়ীরা আগেই দোকান খুলে দিলেও বেলা ১২টায় নগরীর সাহেব বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সহ-সভাপতি আলী আসরাফ খোকন। সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলীসহ অন্য ব্যবসায়ী নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা পাঁচ দফা দাবি জানান।
দাবিগুলো হলো, আগামী ঈদুল ফিতরের আগে লকডাউন না দিয়ে এর বিকল্প চিন্তা করা; প্রয়োজনে পুলিশ-প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন মার্কেট-বাজার প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি করে প্রত্যেক বাজার ও মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মনিটরিং করা; ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদী কিস্তিতে পরিশোধ যোগ্য ঋণ বিতরণ করা; ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের অবিলম্বে করোনার টিকার আওতায় আনা; বিগত এক বছরের ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ করা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চলতি অর্থবছর অর্থাৎ ২০২০-২১ এর ভ্যাট ও আয়কর মওকুফ করা।
লকডাউনের দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ীরা এসব দাবি জানালেও দুপুরের পরই নগরীতে প্রায় সব দোকানপাট খোলা দেখা গেছে। মার্কেটগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও রাস্তায় ছিল রিকশা-অটোরিকশার চাপ। অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতোই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় যানজট দেখা গেছে। লকডাউনের ভেতর মানুষের এমন অবাধ চলাচলের সময় স্বাস্থ্যবিধি বলতে শুধু মুখে মাস্ক দেখা গেছে। কারও কারও মুখে মাস্কও ছিল না। কোথাও দেখা যায়নি সামাজিক দূরত্ব।
এ প্রসঙ্গে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম বলেন, মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রতিদিনই অভিযান চালানো হচ্ছে। এটা চলবে। আর সরকার যে শর্তে মার্কেট-শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছে সেসব শর্ত পূরণের জন্যও তারা তৎপর থাকবেন। শর্ত ভাঙলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।