মেডিক্যালের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর যমজ দুই ছেলের লেখাপড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের অটোরিকশাচালক বিল্লাল হোসেন। এ অবস্থায় দরিদ্র বাবার দুই মেধাবী সন্তানের লেখাপড়ার সব দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলাম। এছাড়া মন্ত্রী দুই ভাইকে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন নগদ এক লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) মনোহরগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মন্ত্রীর পক্ষে দুই ভাইয়ের হাতে নগদ এক লাখ টাকা তুলে দেন দলীয় তোকর্মীরা। এ সময় কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নেতা কামাল হোসেনসহ দলীয় অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার মানরা গ্রামের ইজিবাইকচালক বিল্লাল হোসেনের পুত্র আরিফ হোসেন জাতীয় মেধাতালিকায় ৮২২তম হয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ও তার ভাই শরিফ হোসেন ১১৮৬তম হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।
দুই ভাই আরিফ হোসেন ও শরিফ হোসেন বলেন, আমাদের সাফল্যের খবরে এলাকার কৃতি সন্তান ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি অতীতের মতো আবারও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এক লাখ টাকা নগদ উপহার হিসেবে দিয়েছেন। এই জন্য আমাদের পরিবার তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
বাবা বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রী আগেও আমার দুই ছেলের লেখাপড়ার জন্য সহায়তা করেছেন। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার খবরে তিনি এক লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছেন। দুই ছেলের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে আরও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এ জন্য আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।’
এদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারের আমলে অর্থাভাবে কারও লেখাপড়া বন্ধ হয়নি। শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও সহায়তায় এ সরকার আন্তরিক। মেধাবী সন্তান আরিফ হোসেন ও শরিফ হোসেন আমাদের এলাকার গর্ব। তারা প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে লেখাপড়ায় ভালো করেছেন।’
ভবিষ্যতে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে দুই ভাইকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।