আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রভাবের মধ্যে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ না চালু থাকবে, সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সিদ্ধান্ত নেবেন। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুর জানাজা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
করোনায় একের পর এক আইনজীবীর মৃত্যুর পরও আদালত খোলা থাকবে কিনা তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, করোনার এই অবস্থায় আদালত বন্ধ বা চালু রাখার এখতিয়ার প্রধান বিচারপতির। কিন্তু আমার বিশ্বাস, করোনা ভাইরাসের তীব্রতা বা কমে যাওয়া বিবেচনা করে প্রধান বিচারপতি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।
এসময় আবদুল মতিন খসরু প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, আবদুল মতিন খসরু আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগ করার সময় থেকে তাকে আমি চিনি। সিনিয়র আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে প্রথম তিনি আইন প্রতিমন্ত্রী হন। এর ছয় মাস পর তিনি পূর্ণমন্ত্রী হন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি আমাকে স্নেহ করতেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সময় তিনি তখন মন্ত্রী ছিলেন, কাজ শেষ করে তিনি সন্ধ্যাবেলা আসতেন, আমাদের কাজ শেষ হলে তিনি বাড়ি ফিরতেন। ১৯৯৬ সালে ইনডেমনিটি আইন বাতিলের সময় তিনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা আজও স্মরণীয়। সেদিন তার বক্তব্যে দেশের মানুষ কেঁদেছে। তার মৃত্যুতে আইন অঙ্গণে একটা বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।
আবদুল মতিন খসরু গত ১৫ মার্চ সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দেন। ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। পরে বুধবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
