শিশুদের ডাটা সংগ্রহ ও ব্যবহারে অনিয়মের দায়ে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজেদের অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল থেকে শিশুদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। কোনও অনুমোদন ছাড়াই তাদের ফোন নাম্বার, ভিডিও, প্রকৃত অবস্থান ও বায়োমেট্রিক ডেটা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের শিশু বিষয়ক কমিশনার অ্যানে লংফিল্ড। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
২০১৮ সালের ২৫ মে থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের টিকটক ব্যবহারকারী শিশু-কিশোরদের কাছ থেকেই মূলত অভিযোগ এসেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টির একটি সুরাহার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন অ্যানে লংফিল্ড। বিবিসিকে তিনি বলেন, অন্য সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যখন তথ্য সংগ্রহ করছে, সেখানে টিকটকের ‘অতিরিক্ত’ তথ্য সংগ্রহের নীতিমালা রয়েছে। ফলে তিনি প্রতিষ্ঠানটির দিকে নজর দিয়েছেন। তার দাবি, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের তথ্য সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করেছে টিকটক।
নিজেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে চীনা এই ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটিকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক শিশুকে হাজার হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ প্রদানের আইনি বাধ্যবাধতার মুখে পড়তে পারে। যদিও নিজেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে বরাবরই ভিত্তিহীন বলে দাবি করছে টিকটক। যে কোনও ধরনের আইনি চ্যালেঞ্চ মোকাবিলার কথাও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সব গ্রাহক, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে টিকটক সব সময় অগ্রাধিকার দেয় বলেও দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, শিশুদের তথ্য অপব্যহারের দায়ে ২০১৯ সালে টিকটককে ৫৭ লাখ ডলার জরিমানা করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাজ্যেও জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে।