আকাশ মেঘলা থাকলেও গুমোট গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, একমাত্র টানা বৃষ্টি হলেই কমবে এই তাপদাহ। আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিকাল থেকে সন্ধ্যার পর যেকোনও সময় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি অঞ্চলে। এতে কিছুটা কমতে পারে তাপদাহ।
গতকাল রাতে হঠাৎ কালবৈশাখী হানা দেয় রাজধানীতে। এতে বাতাসের গতিবেগ উঠেছিল ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার পর্যন্ত। তবে বাতাসের তুলনায় বৃষ্টি হয়েছে কম। মাটির তপ্তটা কমেনি। তাই রাতে তাপমাত্রা কম থাকলেও দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই আবারও সূর্য তাপ ছড়াতে শুরু করে। পরে দুপুরের দিকে আকাশ আবারও মেঘলা হয়ে যায়। এতে রোদের তীব্রতা কমলেও বেড়ে যায় গরমের অনুভূতি। গুমোট গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষ।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আকাশে মেঘ আছে। বিকালের দিকে বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া।’
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেটের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এতে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, আজ সীতাকুণ্ড, নোয়াখালী, ফেনী, রাঙ্গামাটি, মৌলভীবাজার, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আজ বিকালের পর কমতে পারে।
আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় আজ ৩৬ দশমিক ৫, ময়মনসিংহে ৩৩ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ৩৩ দশমিক ৭, সিলেটে ৩৪ দশমিক ৯, রাজশাহীতে ৩৮ দশমিক ৬, রংপুরে ৩২ দশমিক ২, খুলনায় ৩৭ দশমিক ৮ এবং বরিশালে ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেটের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।