মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে বদলে গেছে পুরো পৃথিবীর চিত্র। করোনার এই পরিস্থিতিতে নবজাতক কন্যাশিশুর জন্ম দিয়ে ক্লিনিকের শয্যায় রক্তশূন্যতায় কাতরাচ্ছিলেন রুনা খাতুন। ডাক্তার বলছিলেন রক্ত না পেলে বাঁচানো সম্ভব নয়।
প্রিয়জনকে বাঁচাতে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করছিলেন স্বজনরা। কোথাও রক্ত পাওয়া যাচ্ছিল না। এমন সময় ঈশ্বরদী থানার টহলরত পুলিশ সদস্যরা আসেন ক্লিনিকের সামনে। তাদের জানানো হয় রক্তের (ও নেগেটিভ) অভাবে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করছেন সদ্য জন্ম দেওয়া এক শিশুর মা।
ঠিক তখনই রক্তদানে এগিয়ে আসেন মানবিক পুলিশ সদস্য রূপপুর পারমাণবিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুল ইসলাম। রোজা রেখেই ওই মাকে রক্ত দান করেন। আর এতেই শারীরিক সুস্থতা ফিরে পান ওই মা।
গৃহবধূর বাবা সোহরাব আলী জানান, আজ শনিবার (১ মে) সকালে বকুলের মোড়ে অবস্থিত শোভন ক্লিনিকে তার মেয়ের সিজার হয়। পরে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে এ ঘটনা ঘটে।
শোভন ক্লিনিকের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম শামিম জানান, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। সেই মুহূর্তে রক্ত না দিলে তাকে বাঁচানো যেতো না।
এসআই আতিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে শিশুটির কথা ভেবে ওই মাকে রক্ত দেই। আল্লাহ এখন মা এবং মেয়েকে সুস্থ রেখেছেন। আমি এতেই খুশি।