যুদ্ধকালীন সব সেনা সদস্যের ছুটি বাতিল করেছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে ডেকে পাঠানো হয়েছে সাত হাজার রিজার্ভ ফোর্স। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অব্যাহত বিমান হামলার মাঝে সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত সেনা সদস্য ও ট্যাংক মোতায়েন করা হয়েছে। ইসরায়েলি এসব পদক্ষেপের কারণে গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযানের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতা অব্যাহত রয়েছে। গত সোমবার থেকে দফায় দফায় নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলে পড়ছে দখলদাররা। পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাতেও আল আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর ভয়াবহ তাণ্ডব চালানো হয়। গত কয়েক দিনে শতাধিক বিমান হামলা চালিয়ে সন্তানসম্ভবা নারী ও শিশুসহ অন্তত ৮৩ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের বিভিন্ন ভবন, পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রসহ উপত্যকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। পাল্টা হিসেবে রকেট ছুড়ে প্রতিরোধ জারি রেখেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
বিমান হামলার পাশাপাশি গাজা সীমান্তে অতিরিক্ত সাত হাজার রিজার্ভ ফোর্স তলব করেছে ইসরায়েল। মোতায়েন করা হয়েছে ট্যাংক। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদাই জিলবারম্যান বলেন, রিজার্ভ ফোর্সের অর্ধেক সদস্য আকাশ প্রতিরক্ষা, গোলন্দাজ এবং মেডিক্যাল ইউনিটের হয়ে কাজ করবে।
এদিকে গাজায় অব্যাহত সহিংসতার অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। দুই নেতার মধ্যকার এক ভিডিও কলে এই আহ্বান জানান তারা। উভয় পক্ষকে অবিলম্বে সহিংসতা পরিহার করার তাগিদ দেন তারা।