গাজীপুরে নিজ মেয়ে উম্মে হুমায়রা বিজলীর (১৭) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে মা হেলেনা বেগমের (৪২) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৭ মে) নিহতের বাবা মামলা দায়ের করলে বাসন থানা পুলিশ হেলেনা বেগমকে গ্রেফতার করে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) বাসন থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত উম্মে হুমায়রা বিজলী বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার বজলুর রহমানের মেয়ে। তার মা হেলেনা বেগম একই উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার হানিফ খানের মেয়ে।
ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ মিজানুর রহমান মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, বজলুর রহমান স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানার চান্দনা গ্রামের বুড়ির মোড় এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থেকে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করেন। গত ২১ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে বড় মেয়ে উম্মে হুমায়রা বিজলীকে শাসন করছিলেন তার মা হেলেনা বেগম। শাসনের একপর্যায়ে মেয়ে বিজলীর গায়ে কোরোসিন ঢেলে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন মা হেলেনা। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নেভান। ততক্ষণে বিজলীর শরীরের বিভিন্ন স্থান দগ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রথামিক চিকিৎসার পর বিজলীকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৬ মে) দুপুরে বিজলী মারা যায়। বিজলী গাজীপুর পুলিশ লাইনস স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।