২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে সব ধরণের তামাকপণ্য সহজলভ্য হবে, ফলে হুমকির মুখে পড়বে জনস্বাস্থ্য। সরকার বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাবে- এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে সংসদ সদস্য, অর্থনীতিবিদসহ দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার (১৩ জুন) তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনলাইন বাজেট প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন তারা।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (প্রগতির জন্য জ্ঞান) প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রজ্ঞা জানিয়েছে, ওয়েবিনারে বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে), বাংলাদেশ এর লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মোস্তাফিজুর রহমান এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী সংযুক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রজ্ঞা’র পক্ষ থেকে তামাক কর বিষয়ক প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণ তুলে ধরে বলা হয় বর্তমানে সিগারেট বাজারের প্রায় ৭২ শতাংশ নিম্ন স্তরের সিগারেট এবং প্রায় ১৬ শতাংশ মধ্যম স্তরের সিগারেট। অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে এই দুই স্তরের সিগারেটের দাম ও করহার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
গ্যাটস ২০১৭ অনুযায়ী, ২০০৯ এর তুলনায় ২০১৭ সালে সিগারেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বাজেট পাস হলে আরেক দফায় সিগারেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়বে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
প্রজ্ঞার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সিগারেটে ত্রুটিপূর্ণ বহুস্তর বিশিষ্ট অ্যাড ভ্যালুরেম কর কাঠামো চালু থাকায় কমদামী সিগারেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। ফলে সরকার দামি সিগারেট থেকে অধিক পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তির সুযোগ হারাচ্ছে।