ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর আমবাগিচা এলাকায় রতন নামের এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কর্তনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার প্রেমিকা প্রিয়া ওরফে তানজিলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ জুন) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামানের আদালত আসামি প্রিয়ার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই (নিরস্ত্র) আবদুল কুদ্দুছ আসামি প্রিয়াকে আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, প্রিয়া ও রতনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গত ১৯ জুন রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে রতন গোলাম বাজারে অবস্থান করছিল। প্রিয়াসহ আরও তিন-চারজন তাকে ঝাউবাড়ী ব্রিজের কাছে নিয়ে যায়। রাত আড়াইটার দিকে প্রিয়ার নির্দেশে তার সঙ্গীরা রতনকে জাপটে ধরেন। পরে চাকু দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ আলাদা করে ফেলা হয়। রতন তার বিবাহিতা স্ত্রীকে ফোন করে বিষয়টি তার স্ত্রীকে জানান। পরে তার স্ত্রীসহ কয়েকজন তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওইখানের চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রতনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় পরে রতনের স্ত্রী মুক্তা বেগম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় প্রিয়াসহ অজ্ঞাত তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।