X
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
২৩ আষাঢ় ১৪৩২

পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
৩০ জুন ২০২১, ১৮:১৫আপডেট : ৩০ জুন ২০২১, ১৮:১৫

টানা বৃষ্টি ও সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে সীমান্তবর্তী উপজেলা দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, ছাতক, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দোয়ারাবাজার উপজেলার ১০টি গ্রামের নিচু ঘরবাড়ি ও গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুন) চিলাই নদী ও খাসিয়ামারা নদীর তীর উপচে দোয়ারাবাজারের বাংলাবাজার ও বোগলা ইউনিয়নের পুরান বাঁশতলা, চিলাইপাড়, পেকপাড়া, ঘরুয়া, রাজারগাঁও,আলমখালী, উরুরগাঁও, কিরণপাড়, ইদুখালী, ক্যাম্পের ঘাট, চৌধুরীপাড়া প্লাবিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বোগলা ইউনিয়নের আলমখালী গ্রামে। এ গ্রামের ২০০টি পরিবারের ঘরবাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে  ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জিআর চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

এছাড়া বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ও দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের নিচু এলাকার ঘরবাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বড়দল উত্তর দক্ষিণ বালিজুড়ি ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এলাকায় ১০০ মিটার সড়ক পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ায় সুনামগঞ্জের সঙ্গে তাহিরপুরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। লোকজন বিকল্প উপায়ে নৌকা দিয়ে তাহিরপুরে যাতায়াত করছেন।

বুধবার বেলা ৩টায় শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদী পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ নিয়ে এবং তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় সীমান্তে যাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৩৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বোগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তার ইউনিয়নের আলমখালী গ্রামের ২০০ পরিবারের বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শন করেছেন।’ ১নং বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন চৌধুরী রানা জানান, সীমান্ত নদী দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও  টানা বর্ষণে তার ইউনিয়নের বেশ কয়কটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’ তবে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনও খবর তাদের কাছে এখনও আসেনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান জানান, বৃষ্টিপাত না হলে ও উজানের পানির চাপ কমে গেলে ঢলের পানি দ্রুত নেমে যাবে। সুরমা নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

/এমএএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টিভিতে আজকের খেলা (৭ জুলাই, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (৭ জুলাই, ২০২৫)
মধ্যরাতে সংবর্ধনায় বিশ্বকাপ স্বপ্নের কথা বললেন ঋতুপর্ণা ও আফঈদারা 
মধ্যরাতে সংবর্ধনায় বিশ্বকাপ স্বপ্নের কথা বললেন ঋতুপর্ণা ও আফঈদারা 
গণভবন জয় করেছি, এবার জাতীয় সংসদ জয় করবো: নাহিদ ইসলাম
গণভবন জয় করেছি, এবার জাতীয় সংসদ জয় করবো: নাহিদ ইসলাম
একটি দলের কারণে ঐকমত্য কমিশনে মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাবনা আটকে যাচ্ছে: আখতার
একটি দলের কারণে ঐকমত্য কমিশনে মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাবনা আটকে যাচ্ছে: আখতার
সর্বাধিক পঠিত
আসছে নতুন কারিকুলাম: ফ্রেমওয়ার্ক ডিসেম্বরে, ‘বড় পরিসরে’ থাকবে জুলাই
আসছে নতুন কারিকুলাম: ফ্রেমওয়ার্ক ডিসেম্বরে, ‘বড় পরিসরে’ থাকবে জুলাই
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক 
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক 
ফার্মেসিতে ওষুধের আড়ালে ‘ট্যাপেন্টাডল’ বিক্রির অভিযোগ, আটক ৫
ফার্মেসিতে ওষুধের আড়ালে ‘ট্যাপেন্টাডল’ বিক্রির অভিযোগ, আটক ৫
লোহিত সাগরে জাহাজে হামলায় আগুন, ডুবে যাওয়ার শঙ্কা
লোহিত সাগরে জাহাজে হামলায় আগুন, ডুবে যাওয়ার শঙ্কা
সেই ব্যাংক কর্মকর্তার খোঁজ মিলেছে
সেই ব্যাংক কর্মকর্তার খোঁজ মিলেছে