X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

গতবারের চেয়ে এবার কৃষিঋণ ২০০০ কোটি টাকা বেশি বিতরণ করতে চায় ব্যাংক

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৯ জুলাই ২০২১, ১৫:৩৪আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২১, ১৫:৩৪

দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধামুক্তি এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের উদ্দেশ্যে পল্লী অঞ্চলে পর্যাপ্ত কৃষি ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। 

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) নতুন কৃষিঋণ নীতিমালা ঘোষণা করেছে। নতুন এই মুদ্রানীতিতে এই তিনটি বিষয়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

নতুন অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষকদের জন্য ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ রেখেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। যা আগের অর্থবছরের বরাদ্দের চেয়ে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বেশি।

নী‌তিমালায় বলা হয়, করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট মোকাবিলায় এবং সরকারের কৃষি ও কৃষকবান্ধব নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের টেকসই উন্নয়নের নির্ধারিত লক্ষ্যের কৃ‌ষি ও পল্লীঋণ নীতিমালায় তিনটি বিষয় জোর দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধামুক্তি এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের উদ্দেশ্যে পল্লী অঞ্চলে পর্যাপ্ত কৃষিঋণ প্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো। 

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক কৃষি ও পল্লীঋণ বিতর‌ণের লক্ষ্য ঠিক ক‌রে‌ছে ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর কৃষিঋণের লক্ষ্য ছিল ​২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকা।

এ নীতিমালায় আওতায় সোনালি মুরগী ও মহিষ এবং গাড়ল পালনের জন্য ঋণ দেওয়া হবে। কৃষিঋণের সুদহার ৮ শতাংশ।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহের জন্য ১১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ ১৭ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণ করবে।  

গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যাংকসমূহ ২৫ হাজার ৫১১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণ করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রা ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকার ৯৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

গত অর্থবছরে মোট ৩০ লাখ ৫৫ হাজার ১৬৬ জন কৃষিঋণ পেয়েছেন। যার মধ্যে ব্যাংকসমূহের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও এমএফআই লিংকেজের মাধ্যমে ১৬ লাখ পাঁচ হাজার ৯৪৭ জন নারী প্রায় নয় হাজার ২৮৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ পেয়েছেন। একই অর্থবছরে ২২ লাখ ৪৫ হাজার ৫১২ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ১৭ লাখ ৬৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন এবং চর, হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার সাত হাজার ৭৯৬ জন কৃষক প্রায় ৩৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ পেয়েছেন।

 

/জিএম/এনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
১০ জন নিয়েও কৃত্রিম আলোয় ইয়ংমেন্সের উৎসব
১০ জন নিয়েও কৃত্রিম আলোয় ইয়ংমেন্সের উৎসব
পোড়া রোগীদের যন্ত্রণা বাড়াচ্ছে তাপপ্রবাহ
পোড়া রোগীদের যন্ত্রণা বাড়াচ্ছে তাপপ্রবাহ
নিখোঁজের ২৫ দিন পর ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার
নিখোঁজের ২৫ দিন পর ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার
যুক্তরাষ্ট্র বড় শক্তি, তাদের পরোয়া করতে হয়: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র বড় শক্তি, তাদের পরোয়া করতে হয়: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
৭ দফা আবেদন করেও প্রশাসনের সহায়তা পায়নি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট
৭ দফা আবেদন করেও প্রশাসনের সহায়তা পায়নি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট