নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের হাসেম ফুডস লিমিটেডে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ ২১ শ্রমিকের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে শনিবার (৭ আগস্ট)। এর আগের সপ্তাহে যেদিন বাকি মরদেহ স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় সেদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গের সামনে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয় ।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) বিকালে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা ১৫টি ও ঢামেক হাসপাতালের মরচুয়ারীতে থাকা ৮টি মরদেহ ঢামেক মর্গে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের লাশ কথা রয়েছে।
ঢামেক মর্গের মর্গ সহকারী সেকান্দর আলী জানান, ৪৮টি মরদেহের মধ্যে ২৪টি হস্তান্তরের পর আমাদের এখানে একটি মরদেহ ছিল। বাকি ২৩টি ছিল সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মরচুয়ারীতে। সেখান থেকে শুক্রবার বিকালে সবগুলো আমাদের মর্গে পৌঁছেছে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের হাসেম ফুডস লিমিটেডে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া ৪৮ মরদেহের মধ্যে ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে ৪৫ শ্রমিকের পরিচয় পাওয়া গেছে।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিআইডি’র এডিশনাল এসপি জীবন কান্তি সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছিলেন, পরিচয় পাওয়া ৪৫ জনের মধ্যে বাকি ২১ জনের মরদেহ শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর আগে ৪৫ জনের মধ্যে বুধবার (৪ আগস্ট) ২৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করে সিআইডি।
২১ জনের মধ্যে যাদের নাম রয়েছে তারা হচ্ছেন- মোসা. মাহমুদা আক্তার, সান্তা মনি, মাহবুবুর রহমান, জিহাদ রানা, রহিমা আক্তার, মিনা খাতুন, মো. নোমান, আমেনা আক্তার, মোসা. রহিমা, রাবেয়া আক্তার, মো. আকাশ মিয়া, মো. নাজমুল হোসেন, কল্পনা রানী বর্মন, স্বপন মিয়া, শেফালী রানী সরকার, মোসা. অমৃতা বেগম, মো. শামীম, সেলিনা আক্তার, তাসলিমা আক্তার, ফাকিমা আক্তার, মো. হাসনাইন।